বার্সেলোনার হোঁচট, রিয়ালের জয়ে পিচিচির দৌড়ে এগিয়ে এমবাপ্পে
Published: 19th, May 2025 GMT
স্প্যানিশ লা লিগার চূড়ান্ত পর্বে এসে নাটক যেন পিছু ছাড়ছে না। শিরোপা আগেই নিশ্চিত হলেও বার্সেলোনা রাঙাতে চেয়েছিল নিজেদের শেষ হোম ম্যাচ জয় দিয়ে। কিন্তু দুর্দান্ত এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে সেই আনন্দ মাটি করে দিয়েছে ভিয়ারিয়াল।
ক্যাম্প ন্যুতে রোববার (১৮ মে) রাতের ম্যাচে ৩-২ গোলে হেরে গেছে বার্সেলোনা, আর সেই হারেই যেন আড়ালে পড়ে গেছে দলের শিরোপা উদযাপন। তবে বার্সার হার যতটা না কষ্টের, তার চেয়েও বড় চমক উপহার দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। লা লিগা পিচিচির লড়াইয়ে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছেন তিনি।
খেলার শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে বার্সা-ভিয়ারিয়ালের ম্যাচটি। চতুর্থ মিনিটেই ভিয়ারিয়ালকে এগিয়ে দেন পেরেস। তবে ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় নেয়নি বার্সেলোনা। তরুণ প্রতিভা লামিনে ইয়ামাল ৩৮ মিনিটে গোল করে বার্সাকে সমতায় ফেরান। এরপর ফের্মিন লোপেসের গোলে এগিয়েও যায় দলটি।
আরো পড়ুন:
দুই ম্যাচ হাতে রেখেই বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন
বার্সার অপেক্ষা বাড়িয়ে আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখলো রিয়াল
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ভিয়ারিয়াল রচনা করে নতুন চিত্রনাট্য। ৫০ মিনিটে ইয়েরেমি পিনোর চমৎকার পাস থেকে সমতা ফেরান সান্তি কোমেসানা। এরপর ৮০ মিনিটে গোল করে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন তাহন বুকানন। যিনি সের্হি কার্দোনার ক্রস থেকে বল পেয়ে অসাধারণ গতিময় শটে বার্সা গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন।
এ হারের পরও ৩৭ ম্যাচে ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে বার্সেলোনা শীর্ষে রয়েছে। অন্যদিকে ভিয়ারিয়াল ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে থেকেই চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা নিশ্চিত করেছে।
ম্যাচ শেষে ট্রফি হাতে উদযাপন করে বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। কোচ হান্সি ফ্লিক উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে জানান, “এই মৌসুমে আমরা তিনটি ট্রফি জিতেছি। লক্ষ্য থাকবে আগামী মৌসুমে ইউরোপিয়ান মঞ্চে (চ্যাম্পিয়নস লিগ) নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করা।”
এদিকে দিনের অপর ম্যাচে ৯ জনের সেভিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচেও নজর কাড়েন কিলিয়ান এমবাপ্পে ও জুড বেলিংহাম। ম্যাচের ১২ মিনিটেই এমবাপ্পেকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন লোইক বাদে। প্রথমার্ধে একজন বাড়তি নিয়ে খেলেও গোল করতে পারেনি রিয়াল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে সেভিয়ার ইসাক রোমেরো মাঠ ছাড়লে ৯ জনে নেমে আসে দলটি।
এ সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি এমবাপ্পে। ৭৫ মিনিটে দুর্দান্ত এক দূরপাল্লার শটে রিয়ালকে এগিয়ে নেন তিনি। এরপর ৮৭ মিনিটে গার্সিয়ার পাস থেকে বেলিংহাম নিশ্চিত করেন ২-০ ব্যবধানের জয়।
এই গোলের সুবাদে লা লিগার প্রথম মৌসুমেই ২৯ গোল করে গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে অবস্থান নিয়েছেন এমবাপ্পে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সার রবার্ট লেভানদোস্কি রয়েছেন ২৫ গোল নিয়ে। লা লিগার এবারের মৌসুমের একেবারে শেষপ্রান্তে এসে এখন সবার নজর পিচিচি পুরস্কারের দিকেই। যেখানে এমবাপ্পে নিজেকে এগিয়ে রেখেছেন সবার থেকে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল এমব প প গ ল কর
এছাড়াও পড়ুন:
বোনকে খুন করে লাশ বস্তায় ভরেন, পুলিশ জিজ্ঞেস করলে জানান বস্তায় গম
ভারতের উত্তর প্রদেশের গোরখপুরে এক তরুণ তাঁর বোনকে খুন করে লাশ একটি বস্তায় ভরে রেখেছিলেন। ওই বস্তা নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে ভেতরে কী আছে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ‘এর মধ্যে গম আছে।’
উত্তর প্রদেশের ৩২ বছর বয়সী রাম আশিস নিষাদ তাঁর ১৯ বছর বয়সী বোন নীলমকে খুন করেন।
ওই এলাকায় একটি সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। আশিসের বাবা চিংকু নিষাদ সেখানে সরকারের জমি অধিগ্রহণ বাবদ ছয় লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন।
পুলিশ জানায়, ওই ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া অর্থের ভাগাভাগি নিয়েই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই রুপি বোনের বিয়েতে খরচ করা হবে জেনে রাম আশিস ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাম আশিস একটি কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে বোন নীলমকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর নীলমের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভেঙে ফেলে দেহটি একটি বস্তায় ভরেন। পরে বাইকের সঙ্গে বেঁধে তিনি গোরখপুর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে কুশীনগরের একটি আখখেতে বস্তাটি ফেলে আসেন।
সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে অভিযুক্ত
সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে রাম আশিসকে একটি বস্তা নিয়ে যেতে দেখা যায়। সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই বস্তার মধ্যে ছিল তাঁর বোনের লাশ। কুশীনগর যাওয়ার পথে পুলিশ তাঁকে থামিয়ে বস্তায় কী আছে জানতে চেয়েছিল।
রাম আশিস পুলিশকে জানান, বস্তায় গম আছে। পরে আবার তিনি কুশীনগরের দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে যান। সেখানে তিনি আখখেতে নীলমের লাশ ফেলে দেন।
এরপর নীলমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর বাবা প্রথমে ধরে নেন, মেয়ে ছটপূজার জন্য কোথাও গেছে। তবে প্রতিবেশীরা যখন জানান, সোমবার রাম আশিস একটি বস্তা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তখন পরিবারের সন্দেহ হয় এবং ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়।
পুলিশ প্রথমে নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে ও তদন্ত শুরু করে। গত মঙ্গলবার নীলমের পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়, রাম আশিসই নীলমকে খুন করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় রাম আশিস প্রথমে কিছু না জানার ভান করেন। তবে পুলিশের টানা জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পরে বোনকে খুনের কথা স্বীকার করেন। গত বুধবার রাতে আখখেত থেকে নীলমের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আগামী জানুয়ারি মাসেই নীলমের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিয়ের সবকিছু ঠিকঠাকও হয়ে গিয়েছিল।
রাম আশিসের বাবা চিংকু অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া ওই ছয় লাখ রুপি মেয়ের বিয়েতে খরচ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এ কারণে রাম ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। কারণ, তিনি জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া ওই রুপির ভাগ চেয়েছিলেন।