পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আরিফ ওবায়দুল্লাহ।

সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে একাই এ কর্মসূচি পালন করেন তিনি। এ সময় হাতে ছিল একটি প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড, মুখে ছিল নীরব প্রতিবাদের দৃঢ়তা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রবিবার (১৮ মে) বাংলা বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার কবির সোহানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল শাখার কয়েকজন নেতা-কর্মী শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। পরে তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হলে ছাত্রদলের কর্মীরা তাকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী বলে অভিযোগ তোলেন। পরে তারা সোহানকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানায়। এরর প্রতিবাদে একক মানববন্ধনে করেন তিনি।

আরো পড়ুন:

জাবিতে আবাসিক হলের পাশে একাডেমিক ভবন নির্মাণের প্রতিবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে মেট রোভ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে যাচ্ছে ‘ইউআইইউ মেরিনার’ দল

ড.

আরিফ ওবায়দুল্লাহ বলেন, “আমি চাই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখুক এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তারা পড়াশোনা করুক। কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী যেন অযাচিতভাবে হয়রানির শিকার না হয়। শিক্ষার্থীরা যদি কোনো ভুল করলে রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। কিন্তু বিচার না করে, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার যে প্রবণতা. তা কখনোই কাম্য নয়। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।”

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ড. আরিফ বলেন, “তোমরা নিজেদের মধ্যে সবরকম ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে সহাবস্থান করো, বিভক্ত হয়ো না। অতীতের ভুল ক্ষমা করে একে অপরের পাশে দাঁড়াও।”

রবিবার (১৮ মে) সাধারণ শিক্ষার্থী শাহরিয়ার কবির সোহানকে নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মূল ফটকের সামনে তাদের মুখোমুখি অবস্থানে পরিস্থিতি থমথমে হয়ে ওঠে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ঢাকা/আতিক/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জবিতে নিখোঁজ ৩ ছাত্রদল নেতার সন্ধানে মানববন্ধন

২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নিখোঁজ তিন ছাত্রদল নেতার সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ছাত্রদল। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির নেতারাও সংহতি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “ছাত্রদল নেতা মাজহারুল ইসলাম রাসেল, আসাদুজ্জামান রানা ও আল-আমিনকে নিখোঁজের ১১ বছর পরও উদ্ধার করা যায়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম-খুন, পেটোয়া বাহিনীর হামলা ও নির্যাতন ছিল নিয়মিত ঘটনা।”

আরো পড়ুন:

ভাইকে তো পাব না, অন্তত বিচার যদি পাই: বিশ্বজিতের ভাই

বিশ্বজিৎ হত্যার দৃশ্যচিত্র আজো দেশের মানুষকে কাঁদায়: অধ্যাপক রইছ

বক্তারা সব নিখোঁজ নাগরিকের সন্ধান নিশ্চিত করা এবং বিচার বিভাগের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

জবির ছাত্রদল সমর্থিত জাকসুর প্যানেলের জিএস প্রার্থী ও শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খাদিজাতুল কোবরা বলেন, “আজ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে বহু মানুষ গুম হয়েছে। স্বাধীন দেশে ভাইদের খুঁজতে রাস্তায় দাঁড়াতে হয়, এটাই আমাদের বেদনা। আমরা এমন দেশ চাই যেখানে কেউ গুম হবে না এবং সবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।”

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “ফ্যাসিস্ট আমলে বহু বিএনপি নেতা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। ছাত্রলীগের হাতে বহু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আমাদের অনেকে ফিরে এলেও জবির তিন ভাইকে এখনো পাইনি। দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা মৃত্যুকে উপেক্ষা করে আন্দোলন করছি। গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।”

মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ্ উদ্দিন বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে গুম-খুন ছিল নৈমিত্তিক ঘটনা। জুলাই আন্দোলনের পরও অনেকের সন্ধান পাইনি। জবির তিন ছাত্রদল নেতা, আমার কাজিন ইলিয়াস আলীসহ বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ। প্রতি ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন করি, পরদিন ভুলে যাই-এটাই দুঃখজনক।”

শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, “অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তদন্ত কমিটি হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো জবিতে এখনো হয়নি। আমরা চাই, জবি থেকে গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক।”

ঢাকা/লিমন/জান্নাত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পদচারী–সেতু নির্মাণের দাবিতে গাজীপুরে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ
  • শিবচরে শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  • রংপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • আওয়ামী লীগ আমলে গুমের শিকার তিন ছাত্রদল নেতার সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন
  • জবিতে নিখোঁজ ৩ ছাত্রদল নেতার সন্ধানে মানববন্ধন