শিক্ষার্থী নির্যাতনের প্রতিবাদ পাবিপ্রবি শিক্ষকের
Published: 19th, May 2025 GMT
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আরিফ ওবায়দুল্লাহ।
সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে একাই এ কর্মসূচি পালন করেন তিনি। এ সময় হাতে ছিল একটি প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড, মুখে ছিল নীরব প্রতিবাদের দৃঢ়তা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রবিবার (১৮ মে) বাংলা বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার কবির সোহানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল শাখার কয়েকজন নেতা-কর্মী শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। পরে তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হলে ছাত্রদলের কর্মীরা তাকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী বলে অভিযোগ তোলেন। পরে তারা সোহানকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানায়। এরর প্রতিবাদে একক মানববন্ধনে করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
জাবিতে আবাসিক হলের পাশে একাডেমিক ভবন নির্মাণের প্রতিবাদ
যুক্তরাষ্ট্রে মেট রোভ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে যাচ্ছে ‘ইউআইইউ মেরিনার’ দল
ড.
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ড. আরিফ বলেন, “তোমরা নিজেদের মধ্যে সবরকম ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে সহাবস্থান করো, বিভক্ত হয়ো না। অতীতের ভুল ক্ষমা করে একে অপরের পাশে দাঁড়াও।”
রবিবার (১৮ মে) সাধারণ শিক্ষার্থী শাহরিয়ার কবির সোহানকে নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মূল ফটকের সামনে তাদের মুখোমুখি অবস্থানে পরিস্থিতি থমথমে হয়ে ওঠে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ঢাকা/আতিক/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তজুমদ্দিনে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বিএনপির দুই পক্ষের পৃথক মানববন্ধন, ইটপাটকেল নিক্ষেপ
ভোলার তজুমদ্দিনে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলার আসামিদের শাস্তির দাবিতে পৃথক মানববন্ধন করেছে উপজেলা বিএনপির দুটি পক্ষ। আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার পর উপজেলা সদরে এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় ‘তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে ‘উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটায় তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায় উপজেলা শ্রমিক দল।
উল্লেখ্য, তজুমদ্দিন উপজেলার একটি ইউনিয়নে স্বামীকে রাতভর নির্যাতনের পর স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তজুমদ্দিন থানায় সোমবার একটি মামলা হয়। গত রোববার সকালে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে উল্লেখ করে ওই মামলায় শ্রমিক দল, যুবদল ও কলেজ ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মীসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। ভুক্তভোগী গৃহবধূকে মঙ্গলবার ডাক্তারি পরীক্ষার (ফরেনসিক) জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয় বলে জানিয়েছেন তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাব্বত খান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ব্যানারে সন্ধ্যা ছয়টায় উপজেলা সদর রোডে ‘নারীর শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং প্রকৃত দোষীদের বিচারের দাবিতে’ ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করা হয়। নেতারা ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং প্রকৃত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব ওমর আসাদ বলেন, ‘এই বর্বর ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা যে–ই হোক না কেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে এবং অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, ‘উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে’ সদর রোডের মোল্লা পুকুর পাড়ে গণধর্ষণ মামলার আসামিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মোল্লা পুকুর পাড়ে কয়েক শ মানুষ জমায়েত হলে তাঁদের ওপর অতর্কিত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় তজুমদ্দিন কলেজ ছাত্রদলের সদস্যসচিব মামুনুল ইসলাম, প্রস্তাবিত উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক প্রার্থী মেহরাব হোসেন, চাঁদপুর ইউনিয়ন দক্ষিণ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির তালুকদার, কলেজ ছাত্রদলের নির্বাহী সদস্যসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আটজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে এবং বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক প্রার্থী জাহিদুর রহমান বলেন, তাঁরাই প্রথম উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মোল্লা পুকুর পাড়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের আয়োজন করেন। কিন্তু বিএনপির আরেক পক্ষ ওই একই স্থানে মানববন্ধনের ডাক দেয়। পরে ওই পক্ষ শহরে মানববন্ধন করে তাঁদের আন্দোলন কর্মসূচি পণ্ড করতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
তবে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব ওমর আসাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের আন্দোলন কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত। কে বা কারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন, তা জানেন না। হয়তো ধর্ষক পক্ষের কেউ হতে পারে।