সিদ্ধিরগঞ্জে নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণাধীন পাঁচটি ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে রাজধানি উন্নয়ন কতৃপক্ষ (রাজউক)।

 এর মধ্যে চারটি ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বিদ্যুতের মিটার জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া একটি বহুতল ভবনের নকশা বহির্ভুত বর্ধিত অংশ ভেঙ্গে অপসারণ সহ এর মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত 

রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শান্তা রহমানের নেতৃত্বে সোমবার (১৯ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার কালু হাজী রোড ও ধনু হাজী রোডের চারটি স্থানে এই অভিযান পরিচালিত হয়। 

রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শান্তা রহমান বলেন, রাজউকের অনুমোদিত নকশার ব্যত্তয় ঘটিয়ে নির্মাণ কাজ করায় পাঁচটি ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ সহ ইমারত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

পরবর্তীতে রাজউকের নকশা অনুযায়ী নির্মান কাজ করা হবে এই মর্মে ভবনগুলোর মালিকদের কাছ থেকে আমরা মুচলেকা আদায় করেছি।  রাজউকের অনুমোদন ও নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণাধীন সব ভবনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে এবং অব্যাহত থাকবে"। 

আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় পরিচালিত এই অভিযানে রাজউকের জোন-৮/২ এর পদ শূন্যকালীন প্রতিকল্প অথরাইজড অফিসার এফ.

আর. আশিক আহমেদ, সহকারী অথরাইজড অফিসার নিপেন চন্দ্র সিদ্ধা, প্রধান ইমারত পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক এবং ইমারত পরিদর্শক মাজেদুল ইসলাম সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র জউক র ভবন র ন

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। 

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

আরো পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের

শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।” 

শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।

মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।

তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি।  ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।

ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। 

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ