সিদ্ধিরগঞ্জে রাজউকের অভিযানে ৫টি ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ
Published: 19th, May 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণাধীন পাঁচটি ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে রাজধানি উন্নয়ন কতৃপক্ষ (রাজউক)।
এর মধ্যে চারটি ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বিদ্যুতের মিটার জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া একটি বহুতল ভবনের নকশা বহির্ভুত বর্ধিত অংশ ভেঙ্গে অপসারণ সহ এর মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শান্তা রহমানের নেতৃত্বে সোমবার (১৯ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার কালু হাজী রোড ও ধনু হাজী রোডের চারটি স্থানে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শান্তা রহমান বলেন, রাজউকের অনুমোদিত নকশার ব্যত্তয় ঘটিয়ে নির্মাণ কাজ করায় পাঁচটি ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ সহ ইমারত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পরবর্তীতে রাজউকের নকশা অনুযায়ী নির্মান কাজ করা হবে এই মর্মে ভবনগুলোর মালিকদের কাছ থেকে আমরা মুচলেকা আদায় করেছি। রাজউকের অনুমোদন ও নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণাধীন সব ভবনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে এবং অব্যাহত থাকবে"।
আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় পরিচালিত এই অভিযানে রাজউকের জোন-৮/২ এর পদ শূন্যকালীন প্রতিকল্প অথরাইজড অফিসার এফ.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র জউক র ভবন র ন
এছাড়াও পড়ুন:
অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতরা চাইলেন বিচার–মর্যাদা–সংস্কার
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বছর পেরোলেও বিচার ও মর্যাদা না পাওয়ায় এবং সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধারা। শুক্রবার রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের সম্মিলন’–এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। এই সময় তাঁরা ক্ষোভ ও কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন।
গণ–অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সম্মিলনের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণসংহতি আন্দোলন এ তথ্যগুলো জানিয়েছে।
এই সম্মিলন থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গত বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও হামলার বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।
সম্মিলনে শহীদ মনির হোসেনের স্ত্রী রেহানা বেগম বলেন, এক বছর হয়ে গেলেও এখনো তিনি স্বামীর লাশ পাননি।
এক বছর কেউ মনে রাখেনি বলে অভিযোগ করেন জুলাই শহীদ মাসুদ রানার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। তাঁর প্রশ্ন, এক বছর পর মনে পড়ল? জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, শহীদ পরিবার এখনো স্বীকৃতি পায়নি। এখনো বিচার হয়নি।
মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জাতির স্বার্থে সবাইকে এক থাকতে হবে। যত মতভেদ থাকুক, দেশের সংস্কারের জন্য একমত থাকতে হবে। নির্বাচনের আগেই যেসব সংস্কার সম্ভব, সেগুলো করে ফেলা জরুরি। আগামী নির্বাচনে উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি হলে ভালো হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শহীদ সানির মা রহিমা বেগম বলেন, তিনি এমন একটি দেশ চান, যেখানে আর কেউ শেখ হাসিনার মতো হতে পারবে না। শেখ হাসিনার আমলের মতো শহীদ বা আহত ব্যক্তিদের চৌদ্দগোষ্ঠীর চাকরি চান না।
এখনো যে বেঁচে আছেন, এটা বোনাস—বলে মন্তব্য করেন আহত জুলাই যোদ্ধা নাহিদ হাসান।
‘জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের সম্মিলন’–এ বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। শুক্রবার রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে