৩ জুন থেকে ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ চালু করবে বিআরটিসি
Published: 20th, May 2025 GMT
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিআরটিসি ঘরমুখো মানুষের সহজ ও আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করতে আগামী ৩ জুন থেকে ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ চালু করবে।
সোমবার (১৯ মে) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিটিআরসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ মে থেকে বিআরটিসির সংশ্লিষ্ট ডিপো থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে এবং আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত ঈদ সার্ভিসের বাস চলাচল করবে। ঢাকার মতিঝিল, জোয়ারসাহারা, কল্যাণপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো (চাষাড়া) থেকে বিভিন্ন রুটগুলোর (ঢাকা থেকে) অগ্রিম টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
যেসব ডিপো থেকে রুট পরিচালনা করা হবে তার মধ্যে মতিঝিল বাস ডিপো থেকে রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট রুটে; কল্যাণপুর বাস ডিপো থেকে আরিচা, পাটুরিয়া, ভাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, বরিশাল রুটে; গাবতলী ডিপো থেকে রংপুর, বরিশাল, খুলনা, গোপালগঞ্জ, পাটুরিয়া, বগুড়া রুটে; জোয়ারসাহারা বাস ডিপো থেকে রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নওগাঁ, বরিশাল, বগুড়া, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল রুটে; মিরপুর বাস ডিপো থেকে রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, মাওয়া, পাটুরিয়া, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গোপালগঞ্জ, ভাটিয়াপাড়া, ময়মনসিংহ রুটে; মোহাম্মদপুর বাস ডিপো থেকে রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, বগুড়া, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, পাটুরিয়া, বরিশাল, গোপালগঞ্জ রুটে; গাজীপুর বাস ডিপো থেকে ময়মনসিংহ, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, খুলনা, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম রুটে; যাত্রাবাড়ী বাস ডিপো থেকে রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, ভাঙ্গা, ফরিদপুর, বরিশাল রুটে; নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো থেকে রংপুর, কুষ্টিয়া, জামালপুর, নওগাঁ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজশাহী, ভাঙ্গা, নেত্রকোণা রুটে; নরসিংদী বাস ডিপো থেকে স্বরূপকাঠী, রংপুর, নওগাঁ, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, বগুড়া রুটে; কুমিল্লা বাস ডিপো থেকে সিলেট, সুনামগঞ্জ রুটে; সিলেট বাস ডিপো থেকে ময়মনসিংহ, রংপুর, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম রুটে; দিনাজপুর বাস ডিপো থেকে ঢাকা-দিনাজপুর রুটে; সোনাপুর বাস ডিপো থেকে চট্টগ্রাম রুটে; বগুড়া বাস ডিপো থেকে যশোর, রংপুর, বরিশাল রুটে; রংপুর বাস ডিপো থেকে পঞ্চগড়, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা রুটে; খুলনা বাস ডিপো থেকে রংপুর, কিশোরগঞ্জ, ঢাকা রুটে; পাবনা বাস ডিপো থেকে গাজীপুর, কুষ্টিয়া, ঢাকা রুটে; ময়মনসিংহ বাস ডিপো থেকে গাইবান্ধা (সুন্দরগঞ্জ), ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, শেরপুর, ঘাটাইল, সিলেট, ঢাকা রুটে; চট্টগ্রাম বাস ডিপো থেকে রংপুর, সিলেট, ভোলা রুটে; টুঙ্গীপাড়া বাস ডিপো থেকে ঢাকা, চিলমারী, পাটগাতী রুটে; বরিশাল বাস ডিপো থেকে ঢাকা, রংপুর, কুয়াকাটা রুটে যাত্রীদেরকে বিআরটিসির ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ এর সেবাগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বাস রিজার্ভের জন্য ম্যানেজার (অপা.
ঢাকা/এএএম/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ ব আরট স বর শ ল ঠ ক রগ
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা’ চিরকুট লিখে আত্মহত্যা
চিরকুট নোট লিখে ধ্রুবজিৎ কর্মকার (২২) নামে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসআই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। আজ রোববার দুপুরে কলেজের অমর একুশে হলের ৩০৭ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
চিরকুটে ধ্রুবজিৎ কর্মকার লেখেন, ‘সরি মা, বাবা। আমি ধ্রুবজিৎ, সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ব্যাংকের কার্ডের টাকাগুলো মাকে দিয়ে দিও। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। পরের বার ফার্মেসি নিয়ে পড়ব। এত চাপ আমার পক্ষে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। বিদায়। হরে কৃষ্ণ।’
জানা যায়, ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের মনোতোষ কর্মকার ও সুপ্তা কর্মকারের ছেলে ধ্রুবজিৎ।
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রোববার পরীক্ষা চলাকালীন ধ্রুবজিৎ নকলসহ ধরা পড়ে। কর্তব্যরত শিক্ষকরা তাৎক্ষণিকভাবে তার খাতা নিয়ে তাকে হল থেকে বের করে দেন। এ ঘটনার পরপরই হোস্টেলের নিজ কক্ষে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে ধ্রুবজিৎ। বিষয়টি জানার পরপরই উদ্ধার করে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ধ্রুবজিৎ এর পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক সজীব কুমার বাড়ৈ সমকালকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।