ভারতের বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
Published: 20th, May 2025 GMT
ক্ষমতায় আসার পর থেকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন অবৈধ অভিবাসন নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ক্রমাগত বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ট্রাম্প সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ভারতীয় বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থার মালিক, প্রধান নির্বাহী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১৯ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে ভারতীয় ভ্রমণ সংস্থার বিরুদ্ধে ভিষা নিষেধাজ্ঞা আরোপের এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় এসব সংস্থা সচেতনভাবে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ করেছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের মিশনগুলোর সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে মেট রোভ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে যাচ্ছে ‘ইউআইইউ মেরিনার’ দল
ক্যান্সারে আক্রান্ত জো বাইডেন
তবে ভারতীয় ট্রাভেল এজেন্সি–সংশ্লিষ্ট ওই ব্যক্তিদের পরিচয় বা তাদের সংখ্যা কত, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। পরিচয় বা নাম প্রকাশ না করার বিষয়টি ব্যতিক্রমী কিছু নয়। ওয়াশিংটন প্রায়ই ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করে না।
ট্যামি ব্রুস বলেন, “বিদেশি পাচার চক্রকে দমনের লক্ষ্যে ট্রাভেল এজেন্সির মালিক, নির্বাহী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আমরা ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে থাকব।” তবে কীভাবে ওই ট্রাভেল এজেন্সিগুলো অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা করেছে, তা উল্লেখ করেননি তিনি।
গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসনীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।
সেই তালিকায় আছে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয়রাও। কিছুদিন আগে হাতে ও কোমরে রশি বেঁধে বিমানে তুলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতীয়দের ফেরত পাঠায় মার্কিন প্রশাসন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী