মানিকগঞ্জে কিশোর-তরুণদের আধিপত্যের দ্বন্দ্বে হামলা, ছুরি মেরে হত্যা
Published: 20th, May 2025 GMT
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে রাহুল আহমেদ খান (১৮) নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। ওই হামলায় আরও দুই তরুণ আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার খাসের চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাহুলের বাবা উপজেলার স্থানীয় ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক সদস্য ও মেদুলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম খানের ছেলে। প্রায় দুই বছর আগে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও এতে অংশ নেননি রাহুল। এ ছাড়া আহত ব্যক্তিরা হলেন রাসেল ও আসিফ। এই দুই তরুণও একই এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই দল কিশোর-তরুণদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় ১০ দিন আগে তুচ্ছ ঘটনার জেরে মেদুলিয়াসহ আশপাশের গ্রামের কয়েকজন কিশোর-তরুণের সঙ্গে রাহুল ও তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে খাসের চর গ্রামে দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে রাহুলের ওপর হামলা করেন ২০ থেকে ২৫ জন কিশোর-তরুণ। এ সময় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন রাহুল। সেই সঙ্গে তাঁর সঙ্গী রাসেল ও আসিফ-ও এ হামলায় আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে রাহুলকে উদ্ধার স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনেরা। এ সময় তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা।
খবর পেয়ে গতকাল রাত ১১টার দিকে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিহত রাহুলের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। আজ মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রাহুলের বাবা নজরুল ইসলাম খান অভিযোগ করেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় নয়াপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম (১৮); কামুড়া গ্রামের নাজমুল হোসেন (১৯) ও তানভীর হোসেন (১৮) এবং খাসের চর গ্রামের রাজীব হোসেনসহ (১৯) আরও কয়েকজন কিশোর-তরুণ রাহুলের ওপর হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে তাঁকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা জানিয়ে সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, এলাকায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে রাহুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তাঁর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত আছে। এ ঘটনায় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কিছু হলেই আমাকে নিয়ে টানাটানি কেন, প্রশ্ন পরীমণির
ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমণি। বর্তমানে অভিনয় ও দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। গতকাল রাতে হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে চিত্রনায়িকা পরীমণির মৃত্যুর গুজব। এরপর রাতেই নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে জানান, দেনে বেঁচে আছেন তিনি। শুধু তাই নয়, মানুষের এমন উদ্ভট কর্মকাণ্ড নিয়ে দারুণ বিরক্ত এই নায়িকা।
পরীমণি বলেন, ‘সারা দিন শুটিং করে যখন ফোন হাতে নিলাম, আমি শকড। ফোনকলের চেয়ে বেশি মেসেজ। ধরেন, আপনার কোনো আত্মীয়র মৃত্যুর খবর শুনলেন, আপনি সেই আত্মীয়কেই ফোন করে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি বেঁচে আছেন? যেকোনোভাবে গুজবটা ছড়িয়েছে, আমার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমার জন্য কতটা শকিং!’
এই অভিনেত্রী বলেন, ‘মৃত্যু তো আসলে আমার হাতে নেই। আপনি তো জানেন না, কখন চলে যাবেন। আল্লাহর কাছে স্বাভাবিক মৃত্যু চাই সব সময়।’
পরীমণি বলেন, ‘এই যে আমার ঝুলন্ত মরদেহটা উদ্ধার করল, তারপরও লাইভে এসে কথা বলছি আপনাদের সঙ্গে। কোনো একটা ফোকাস সরানোর জন্য মানুষ পরীমণিকেই বেছে নেয়। আলুর দাম কমাতে পারছে না বলে পরীমণির বিয়ের খবর করে দাও। এখন বিয়ে দিতে পারছে না বলে একদম মেরে ফেলল।’
আত্মহত্যা করা মতো কোনো ইস্যু তার জীবনে নেই বলেও জানান পরীমণি। তার কথায়, ‘আমি সুইসাইড করার মতো মেয়ে না। আমার জীবনে এখন সুইসাইড করার মতো কোনো ইস্যুই নাই। আমার দুইটা বাচ্চা নিয়ে, কাজ নিয়ে অনেক খুশি। এই খুশির মধ্যে আপনাদের জীবনযাপন ঢুকিয়ে দেবেন না। কিছু হইলে খালি পরীমণিকে নিয়ে টানাটানি কেন? আর কিছু খুঁজে পান না?’