খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) সাবেক মেয়র ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক ও তাঁর স্ত্রী সাবেক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমক কমিশনের (দুদক) খুলনার উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ।

আদালতের আদেশের পর এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশ সুপার, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট দপ্তরকে চিঠি দিয়েছে দুদকের সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়।

আবদুল ওয়াদুদ বলেন, সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে তদন্ত করছে দুদকের খুলনা কার্যালয়। অনুসন্ধানকালে তাঁরা যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন, সে জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তা মঞ্জুর করে তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। আদালতের ওই আদেশ ইমিগ্রেশনের বিশেষ পুলিশ সুপার, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ওই দুই দপ্তর থেকে আজ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে ২৪ মার্চ তালুকদার আবদুল খালেক ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করে দুদক। খালেক ও তাঁর স্ত্রী হাবিবুন নাহার এখনো দেশেই আছেন বলে মনে করছেন দুদক কর্মকর্তারা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ শত য গ আবদ ল

এছাড়াও পড়ুন:

হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত, তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি প্রত্যাহার

হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আলী আহমেদ।

গতকাল সোমবার বিকেল থেকে কলেজের ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী নতুন ও পুরোনো দুটি ছাত্র হল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন।

হল খুলে দেওয়া নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়ে শিক্ষার্থী আলী আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে আজ একটি সভা হয়েছে। সভায় যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে, এর আলোকে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে যাচ্ছি। আমাদের মূল দাবি ছিল, দীর্ঘদিন ধরে হল যে বন্ধ রয়েছে, সেটা যাতে চালু করা হয়। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হচ্ছে ঈদের আগেই হল উদ্বোধন হবে। ঈদের বন্ধে হলের বাকি কাজ করা হবে। পয়লা জুলাই শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবেন।’

আলী আহমেদ আরও বলেন, ‘হল যাতে চালু হয় সেটিই চেয়েছিলাম। সেটি যেন নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হয়। অবশেষে কলেজ প্রশাসন থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যাঁরা আবেদন (হলে থাকতে) করেছিলেন, তাঁরা খোঁজ নেবেন। আর কলেজ প্রশাসন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেই সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হলে আবারও কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরে কলেজের ছাত্রাবাসে ছাত্রদের আবাসিক সিট বরাদ্দ ও শিক্ষার্থীদের বসবাসের উপযোগীকরণের বিষয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সভা হয়। সভায় ৫টি সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো—ছাত্রদের দাবিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ে ছাত্রাবাস চালু, আগামী ৩০ মের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষে কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট ‘শহীদ মামুন ছাত্রাবাস’ হস্তান্তর, শহীদ মামুন ছাত্রাবাসে আসন বরাদ্দের তালিকা ২৫ মে প্রকাশ, আসনপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আগামী ৪ জুনের মধ্যে নির্ধারিত হোস্টেল ফি অনলাইনে জমা দেবেন, পয়লা জুন শহীদ মামুন ছাত্রাবাসের উদ্বোধন এবং পয়লা জুলাই থেকে আবাসিক ব্যবস্থা চালু এবং আক্কাছুর রহমান আঁখি ছাত্রাবাস শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে কার্যাদেশ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ছাত্রদের জন্য চালুর সিদ্ধান্ত হয়।

জরুরি সভায় কলেজের অধ্যক্ষ ছদরুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক, কলেজের নিরাপত্তা কমিটি, শৃঙ্খলা কমিটি ও হোস্টেল পরিচালনা কমিটির সদস্যরা এবং সব হোস্টেলের পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনহল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে তিতুমীর কলেজের ১০–১৫ শিক্ষার্থী১৯ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ