ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার নোবেল, যা বললেন সাবেক স্ত্রী সালসাবিল
Published: 20th, May 2025 GMT
সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে সোমবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। তার বিরুদ্ধে এক নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডেমরা থানায় একটি নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে বলে জানান ডেমরা থানার ওসি মাহমুদুর রহমান।
তিনি জানান, মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নোবেলের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ্য আসার পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তার সাবেক স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল মাহমুদ। মঙ্গলবার দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে সালসাবিল লিখেছেন, ‘আমি বর্তমানে বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছি এবং আমি কারও বিরুদ্ধেই কোনো প্রকারের মামলা দায়ের করিনি।’
২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিল মাহমুদকে বিয়ে করেন। পরে তিনি নোবেলের বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। পরে দুজনের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
ডেমরা থানায় করা এক নারীর মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোবেলের সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয় এবং নোবেলের সঙ্গে তার মাঝে মধ্যে মুঠোফোনে যোগাযোগ হতো। গত বছরের ১২ নভেম্বর নোবেল ওই নারীর সঙ্গে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গিয়ে দেখা করেন। তারপর নোবেল তার ডেমরার বাসার স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ওই নারীকে বাসায় নিয়ে যান। সেখানে আরও ২/৩ জনের সহযোগিতায় নোবেলের বাসায় তাকে আটক রাখেন। ঘটনার সময় নোবেল ভিকটিমের মোবাইল ভেঙে ফেলেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মারধর করেন। তারপর ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে রাখেন।
ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গতকাল ১৯ মে পর্যন্ত ভুক্তভোগীকে নোবেলের বাসায় আটক রাখেন। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই নারীকে নোবেলের মারধরের একটি ভাইরাল হয়, যার মাধ্যমে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে চিনতে পেরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে। পরে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার ঘটিকায় ডেমরা থানা পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে।
দুই বছর আগেও নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। সেবার প্রতারণার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। একটা অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছিলেন নোবেল। কিন্তু পরে আর তিনি সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। এ ঘটনায় ২০২৩ সালে নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর স লস ব ল ওই ন র
এছাড়াও পড়ুন:
গোল্ডম্যান স্যাকসে জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দিলেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকস। গতকাল মঙ্গলবার এক ঘোষণায় ব্যাংকটি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী বাড়তে থাকা ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও নীতিমালা সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার মধ্যে ব্যাংকিং খাতে অভিজ্ঞ নীতিনির্ধারকদের যুক্ত করার প্রবণতার অংশ হিসেবে গোল্ডম্যান স্যাকস এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঋষি সুনাক এখনো উত্তর ইংল্যান্ডের একটি আসনে কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে বিশ্লেষক হিসেবে গোল্ডম্যান স্যাকসেই কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। এরপর বিভিন্ন হেজ ফান্ডে কাজ করেন। প্রায় দুই দশক পর আবারও তিনি এই ব্যাংকেই ফিরলেন।
অতীতে আর্থিক খাতে চাকরি এবং তাঁর স্ত্রীর পারিবারিক সম্পদের কারণে সুনাক ছিলেন ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে ধনী প্রধানমন্ত্রী। গত বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি হেরে যায়। দলটির এক শ বছরের ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে বাজেভাবে পরাজয়ের নজির। এর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ঋষি সুনাক। তখন থেকেই মূলত তিনি লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গেছেন। সম্প্রতি অক্সফোর্ড ও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু শিক্ষা ও গবেষণামূলক কাজেও যুক্ত হন সুনাক।
গোল্ডম্যান স্যাকসের প্রধান নির্বাহী ডেভিড সলোমন বলেন, ‘ঋষিকে আবার আমাদের সঙ্গে পেয়ে আমি আনন্দিত। তিনি আমাদের বৈশ্বিক গ্রাহকদের পরামর্শ দেবেন এবং নিজের অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নানা ইস্যুতে সহায়তা করবেন।’