বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। যে দলে রাখা হয়েছে এক মাসের মধ্যে ৪ সেঞ্চুরি করে আলোচনায় আসা ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানকে। বাংলাদেশের সিরিজের দলেও সুযোগ পাননি বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাদ পড়েছেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিও। যা বড় চমকই বটে।

পাকিস্তান সর্বশেষ সিরিজ খেলেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।  শাহিন আফ্রিদি ছাড়াও ওই সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন ওমর ইউসুফ, আব্দুল সামাদ, আব্বাস আফ্রিদি, জাহানদাদ খান, মোহাম্মাদ আলি, সুফিয়ান মুকিম ও উসমান খান। এদের মধ্যে পেসার আব্বাস আফ্রিদি পিএসএলের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক(১৭টি)।

সাহিবজাদা পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন কেউ নন। পাকিস্তানের হয়ে ৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই ব্যাটসম্যান। অভিষেক সেই ২০১৮ সালে। তবে ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের ক্যারিয়ার পুনর্জীবিত হয়েছে পিএসএলের আগে গত ১৪ মার্চে শুরু হওয়া ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে। সেই টুর্নামেন্টে তাঁর ছক্কা ছিল ৭ ম্যাচে ৪০টি। জানিয়ে রাখতেই হচ্ছে, ওই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কা ছিল ১৩টি।

পাকিস্তানের হয়ে ছয় বছরে ৯ ম্যাচ খেলে ৮৬ রান করা এই ব্যাটসম্যান ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে করেছেন ৬০৫ রান। ৭ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন ৩টি, ফিফটি ২টি। সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল ৭২ বলে অপরাজিত ১৬২।  তাঁর ১৬২ রানের অপরাজিত ইনিংসটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ।

টুর্নামেন্টে স্ট্রাইকরেট ছিল ১৮৯.

৬৫, আর গড়টা তো অবিশ্বাস্য—১২১। একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে তিন সেঞ্চুরি করা পঞ্চম ক্রিকেটার ছিলেন সাহিবজাদা। ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান কত ছিল জানেন, ২৮২। মানে সাহিবজাদার চেয়ে ৩২৩ রান কম। এমন অবিশ্বাস্য টুর্নামেন্ট খেলেই আলোচনায় এসেছেন পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যান। এরপর গত ১৪ এপ্রিল পিএসএলে আসরের দ্বিতীয় ম্যাচেই করেন সেঞ্চুরি। তাতে এক মাসের মধ্যে ৯ ইনিংস খেলে ৪ সেঞ্চুরি হয়ে যায় তার। স্পর্শ করেন এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ডও।

পিএসএলের এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান তারই। ১৫৪  স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৩৯৪ রান। সর্বশেষ ম্যাচেও ৪১ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করেছেন তিনি। বাংলাদেশ সিরিজ দিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে কোচ মাইক হেসন যুগের শুরু হতে যাচ্ছে। এই সিরিজের সূচি এখনো প্রকাশ হয়নি। তবে সিরিজের সবগুলো ম্যাচ হবে লাহোরে।

পাকিস্তান স্কোয়াড: সালমান আগা (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, হারিস রউফ, হাসান আলি, হাসান নাওয়াজ, হুসাইন তালাত, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হারিস, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, মোহাম্মাদ ইরফান খান, নাসিম শাহ, সাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প এসএল কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’

ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ