কুমারখালীর ঐতিহ্যবাহী মেলা নিয়ে জামায়াত-বিএনপির সংঘাত, আহত ১১
Published: 21st, May 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা চাপাইগাছি বাজারে ঐতিহ্যবাহী গাজি-কালু-চম্পাবতী মেলা ঘিরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জামায়াত ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় দেড়শ বছরের পুরোনো এই মেলা প্রতি বছর বসে। তবে এবার মেলায় অশ্লীলতা ও জুয়া সংক্রান্ত অভিযোগ তুলে জামায়াত মেলা বন্ধের দাবি তোলে। অপরদিকে, প্রশাসনের অনুমতি না থাকলেও বিএনপি-সমর্থিত মেলা কমিটি মেলার আয়োজন করে। এ নিয়ে মঙ্গলবার বিকেল থেকে উত্তেজনার শুরু হলেও সন্ধ্যায় তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
আহতদের মধ্যে জামায়াতের পক্ষে রয়েছেন জগন্নাথপুর ইউনিয়ন উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানসহ আরও ৫ জন। তারা কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে, বিএনপিপন্থী আহতদের মধ্যে রয়েছেন খোকসা কলেজের প্রভাষক সরাফাত সুলতানসহ ৫ জন, যাদের কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, জামায়াত-শিবিরের শতাধিক নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অন্তত ৩০টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এক ব্যবসায়ী আরজ আলী জানান, তার প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, সংঘর্ষের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে দেখা যায়, টুপি পরা শত শত লোক দেশীয় অস্ত্র হাতে হুমকির ভঙ্গিতে ঘোরাফেরা করছে।
জামায়াত নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে মেলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে গেলে প্রতিপক্ষ হামলা চালায়। বিএনপির নেতারাও পাল্টা অভিযোগ করে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কুমারখালী থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করতে হবে : মমিনুল হক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকার বলেছেন, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডসহ ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই ) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে জুলাই আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের সাথে মত বিনিময়কালে এ বক্তব্য রাখেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ড. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা, দেওয়ান খোরশেদ আলম, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম প্রমূখ। শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহীদ ইমরানের পিতা সালেহ আহমদ, শহীদ মেহেদী হাসানের পিতা মো সানাউল্লাহ। আহতদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো বায়েজিদ, মেহেদী, আশিক, রাজু মণ্ডল, মাসুম প্রমূখ।
মত বিনিময় সভায় বক্তাগণ বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা গোটা বাংলাদেশে জুলুম নির্যাতনের স্টীম রোলার চালিয়ে নিজেকে নিকৃষ্ট স্বৈরাচার হিসেবে উপস্থাপন করেছিল। রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এমন পরিবর্তন আনতে হবে যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ স্বেরাচার হতে না পারে।
স্বৈরাচারী হাসিনা জনগণের বাক স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ছিলো, সংবিধানে এমন পরিবর্তন আনতে হবে যাতে কেউ সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে।