পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ও শালবাহান ইউনিয়নের ফসলি জমি কেটে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলনের দায়ে দুই ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ভজনপুর এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে শাকিল সালেক (৩৫) এবং শালবাহান এলাকার সোলেমান আলীর ছেলে কাবুল হোসেন (৪১)।

বুধবার (২১ মে) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এ দণ্ডাদেশ দেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজি।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ভজনপুর ইউনিয়নের ভুতিপুকুর এলাকায় অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলনের সময় একটি স্কেভেটর ও দুটি ট্রাক্টরের ব্যাটারি জব্দ করা হয়। এখান থেকে শ্রমিকদের সর্দার শাকিল সালেককে আটক করে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০’ এর ১৫(১) ধারা অনুযায়ী ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

অন্যদিকে, শালবাহান ইউনিয়নের সানু বালাবাড়ি এলাকায় একই অপরাধে শ্রমিকদের নেতৃত্ব দেওয়া কাবুল হোসেনকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তার ব্যবহৃত একটি ট্রাক্টরের ব্যাটারিও জব্দ করা হয়েছে।

অভিযানে জব্দ করা ব্যাটারি থানার পুলিশের জিম্মায় দেওয়া হয়। পরবর্তীতে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে পুলিশের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ অভিযানে অংশ নেয় বিজিবির ভুতিপুকুর বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার ও তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশ।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহন মিনজি বলেন, ‘‘ফসলি জমির সুরক্ষা এবং পরিবেশ রক্ষায় আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।’’ 

ঢাকা/নাঈম/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে নৌপরিবহন উপদেষ্টাকে অবাঞ্ছিতের ঘোষণায় শোকজ, পরে ক্ষমা প্রার্থনা

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে চট্টগ্রাম বন্দরে অবাঞ্ছিত করার ঘোষণা দেওয়ার পর ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক সিবিএ নেতা হুমায়ুন কবীর। 

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ২৮ জুন চট্টগ্রাম বন্দর অকশন শেড সংলগ্ন শ্রমিক দলের কার্যালয়ে এক কর্মীসভায় ওই সাবেক সিবিএ নেতা উপদেষ্টাকে নিয়ে এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন। তবে পরে এমন বক্তব্য ভুলবশত, অনিচ্ছাকৃত এবং অজ্ঞতাবশত বলে উল্লেখ করেন তিনি। এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করে উপদেষ্টার কাছে এক কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন হুমায়ুন কবীর। 

ওই সাবেক সিবিএ নেতার এমন বক্তব্যের কারণ জানতে চেয়ে গত ১ জুলাই  কারণ দর্শানো নোটিশ ইস্যু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে তাকে এর উত্তর জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে নোটিশের জবাবে হুমায়ুন কবীর ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

মো. হুমায়ুন কবীর চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও পরিদর্শন বিভাগের সুপারিন্টেনডেন্ট অডিট হিসেবে কর্মরত। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের (সাবেক সিবিএ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। এনসিটি বিদেশিদের কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। সর্বশেষ এক কর্মসূচিতে উপদেষ্টাকে নিয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় আসেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ