ডেপুটি হাইকমিশনার শাবাবকে দেশে ফেরার নির্দেশ
Published: 22nd, May 2025 GMT
দ্য হেগে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (স্থানীয়) শাবাব বিন আহমেদকে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। তাকে কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যোগদান করার আগেই তিনি কলকাতা মিশনে কোরবানি দেওয়ার প্রথা বন্ধের নির্দেশ দেন। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সমালোচনার মুখে তাকে কলকাতা মিশনে বদলির আদেশ বাতিল করে দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোরবানি বন্ধের নির্দেশনা দেওয়ার পর গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে শাবাব নিজের অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দিয়ে জানান, হোস্ট কান্ট্রির (ভারত) আস্থা অর্জন করাটা আমাদের জন্য জরুরি। এই আস্থা অর্জনের জন্যই তিনি এই নির্দেশনা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কলকাতা মিশনে কোরবানি করার রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে কলকাতা মিশনে কোরবানি হয়ে আসছে। প্রতিবছরই পাঁচ থেকে সাতটি গরু এবং ছাগল কোরবানি করা হয়। এই কোরবানির গোশতের একটি বড় অংশ বিভিন্ন এতিমখানায় পাঠানো হয়। এছাড়া মিশনের চারপাশে বসবাসকারী মুসলিমদের মাঝেও কোরবানির গোশত বিতরণ করা হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এআই এজেন্ট ব্যবহারে গোপন তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন প্রতিষ্ঠানের কাজের গতি বাড়িয়েছে, তেমনি অজান্তেই তৈরি করছে নতুন এক নিরাপত্তার ঝুঁকি। আর তাই এআই এজেন্ট ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত এআই এজেন্ট অনেক সময় অসাবধানতাবশত ব্যবহারকারীর গোপন তথ্য প্রকাশ করে ফেলছে।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, এআই এজেন্টগুলো শেয়ারপয়েন্ট, গুগল ড্রাইভ, অ্যামাজন এসথ্রি বা নিজস্ব তথ্যভান্ডারের সঙ্গে যুক্ত করা হলে অনেক সময় ব্যবহারকারীর গোপন তথ্য ইন্টারনেটে প্রকাশ করে ফেলছে। এমনকি গুগল ড্রাইভসহ বিভিন্ন উৎস কাজে লাগিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় ব্যবহারকারীর সংবেদনশীল তথ্য ভুল ব্যক্তিদের কাছেও পাঠিয়ে দেয়।
আরও পড়ুনপ্রতিষ্ঠানে কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করছে ‘এআই এজেন্ট’০৮ জানুয়ারি ২০২৫অধিকাংশ সময় এসব তথ্য ফাঁস ঘটে ভুল কনফিগারেশন, অপ্রয়োজনীয় অনুমতি বা লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের (এলএলএম) আউটপুটের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতার কারণে। এআই এজেন্ট যদি অভ্যন্তরীণ বেতনকাঠামো, অনানুষ্ঠানিক পণ্যের নকশা কিংবা বাজারে না আসা নীতিমালা অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রকাশ করে ফেলে, তবে এর প্রভাব হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি ও ক্ষতিকর।
প্রসঙ্গত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির চ্যাটবটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দ্রুত জানা যায়। তবে একই চ্যাটবট কাজে লাগিয়ে চাইলেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য জানা সম্ভব হয় না। এ সমস্যা সমাধানে ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন কাজের ধরন ও প্রয়োজন অনুযায়ী নিজস্ব এআই এজেন্ট তৈরির সুযোগ দিয়ে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এসব এআই এজেন্টের মাধ্যমে ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজ করার পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্রেতা বা গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানানো যায়।
সূত্র: দ্য হ্যাকার নিউজ