দ্য হেগে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (স্থানীয়) শাবাব বিন আহমেদকে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। তাকে কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে বদলি করা হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যোগদান করার আগেই তিনি কলকাতা মিশনে কোরবানি দেওয়ার প্রথা বন্ধের নির্দেশ দেন। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সমালোচনার মুখে তাকে কলকাতা মিশনে বদলির আদেশ বাতিল করে দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

কোরবানি বন্ধের নির্দেশনা দেওয়ার পর গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে শাবাব নিজের অবস্থানের পক্ষে যুক্তি দিয়ে জানান, হোস্ট কান্ট্রির (ভারত) আস্থা অর্জন করাটা আমাদের জন্য জরুরি। এই আস্থা অর্জনের জন্যই তিনি এই নির্দেশনা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, কলকাতা মিশনে কোরবানি করার রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে কলকাতা মিশনে কোরবানি হয়ে আসছে। প্রতিবছরই পাঁচ থেকে সাতটি গরু এবং ছাগল কোরবানি করা হয়। এই কোরবানির গোশতের একটি বড় অংশ বিভিন্ন এতিমখানায় পাঠানো হয়। এছাড়া মিশনের চারপাশে বসবাসকারী মুসলিমদের মাঝেও কোরবানির গোশত বিতরণ করা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বদল ক রব ন কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল

সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।

আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’

মঞ্চে আর্টসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ