গাজীপুরে বকেয়া পাওনার দাবিতে মহাসড়ক আটকে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিপেটা
Published: 23rd, May 2025 GMT
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বকেয়া পাওনার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা একটি কারখানার শ্রমিকেরা। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পুলিশের লাঠিপেটায় অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকার মাহমুদ জিনস লিমিটেড কারখানাটি গত বছরের ১০ অক্টোবর স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। বন্ধ কারখানাটির প্রায় দুই হাজার শ্রমিকের কিছু পাওনা বকেয়া আছে, যা সরকারিভাবে নিষ্পত্তি করার কথা ছিল। বেশ কয়েক দিন ধরে শ্রমিকেরা বকেয়া পাওনার দাবি জানালেও তা পরিশোধ করা হচ্ছে না। আজ সকালে বকেয়া পাওনার দাবিতে কারখানাটির শ্রমিকেরা চন্দ্রা এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, বিক্ষোভের এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিক শ্রমিকেরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর পুলিশ গিয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হন।
মাহমুদ জিনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসনিক) আবু তালেব প্রথম আলোকে বলেন, ‘শ্রম আইন অনুয়ায়ী গত ১০ অক্টোবর আমাদের কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে। তাঁদের পাওনাগুলো নিষ্পত্তি এখন শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন। কারখানা কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই।’
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াদ মাহমুদ বলেন, শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করলে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে ব্যবসায়ীর বাড়ি-ঘর ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনায় বিক্ষোভ
বন্দরে আওয়ামীলীগ আখ্যা দিয়ে ব্যবসায়ীর বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে শাহিদা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। ভুক্তভোগী রশিদ থানায় গিয়ে করতে পারেননি মামলা।
এ ঘটনায় ২৩মে শুক্রবার সকালে বন্দরের পূর্ব কল্যান্দী খালপাড় এলাকায় এলাকার শত শত নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে হামলাকারী শাহিদা-শাহাদাৎ বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোরদাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে।
এ সময় তারা শাহিদা-শাহাদাৎ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পরে। গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দা মকবুল হোসেন বলেন, আব্দুর রশীদ একজন পাগল ফকির মানুষ। আমাদের জানা মতে সে একজন গ্লোব ব্যবসায়ী। এলাকায় কোনদিন তাকে কেউ কোন রাজনৈতিক মিটিং মিছিলে দেখেছে কি না আমার জানা নেই।
অপর বাসিন্দা মোঃ সেলিম মিয়া জানান, তার বাড়ি যারা ভাংচুর এবং লুটপাট করেছে তারাই আওয়ামীলীগের দোসর। আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে তারা স্বামী-স্ত্রী এলাকায় অনেক রাজত্ব করেছে এখন আবার ভোল পাল্টিয়ে তারা নিজেদেরকে বিএনপি সাজানোর চেষ্টা করে রশীদ মিয়ার পরিবারের উপর এইসব লুটতরাজ চালিয়েছে। জিয়াবর মিয়া বলেন,আব্দুর রশীদের কোন দল নেই।
ছোট থেকে তাকে কোন দলের পক্ষে কাজ করা দূরের কথা কোন মিটিং মিছিলেও যেতে দেখিনি কিংবা কোন পার্টির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সখ্যতাও দেখিনি। এগুলো শাহিদা-শাহাদাৎ চক্রান্ত করে নিরীহ রশীদ মিয়াকে আওয়ামীলীগের সমর্থকের ট্যাগ দিয়ে তার বাড়ি-ঘরের মালামাল লুটপাট করেছে।
একই এলাকার বৃদ্ধা দেলোয়ারা বেগম বলেন,আব্দুর রশীদ মিয়াকে আমরা ৩০/৪০ বছর ধরে চিনি এবং জানি। তার বিরুদ্ধে কোনদিন কোন দলের অভিযোগ পাইনি। সে ব্যক্তিগতভাবে কোন দল করেন না। আমরা কোন দিন দেখিনি।
যারাই তার বিরুদ্ধে এসব কথা বলছে তারা রশীদ মিয়ার ক্ষতিসাধণের জন্য মিথ্যা ট্যাগ দিচ্ছে। বরং শাহিদা আর শাহাদাৎ তারা স্বামী স্ত্রীই বিতর্কিত। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। জানা গেছে, শাহিদার সাথে রশিদের জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মামলা মোকাদ্দমা চলছিল।
৫ আগস্টের পরে রশিদ আওয়ামীলীগ করে বলে শাহিদা থানায় গিয়ে অপপ্রচার করেন এবং ফায়দা লুটতে থাকেন।
রশিদের দাবি তদন্ত না করে আমার মামলা নিচ্ছে না ওসি। এলাকাবাসী আরো জানান আমরা রশিদকে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে চিনি কোথাও তার কোন ব্যানার ফেস্টুন সমাবেশ কোন কিছুই দেখিনি আট বছর মামলা চলমান থাকলেও আওয়ামীলীগের কোন ছিটেফোঁটাও ছিল না ব্যবসায়ী রশিদের গায়ে এলাকাবাসীর আবেদন অতি দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।