শহীদ পরিবারের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র: রিজভী
Published: 23rd, May 2025 GMT
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জুলাই আন্দোলনে শহীদের পরিবার ও আহতদের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম- মহাসচিব ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর প্রধান উপদেষ্টা রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার মেহেরপাড়ায় জুলাই আন্দোলনে শহীদ আরমান মোল্লার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, “শহীদ আরমান মোল্লার পরিবারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ গ্রহণ করেছে। যারা গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে, তাদের পরিবার যেন কোনো কষ্টে না থাকে সেটিই আমাদের লক্ষ্য।”
আরো পড়ুন:
জামিনে বেরিয়ে বিএনপি নেতাকে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি
ইশরাকের শপথ ঘিরে রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ
তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো বর্তমান সরকারের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু তারা সে দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।”
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, “কেন এই অবহেলা? কেন শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা সরকারের কাছে নেই? এসব প্রশ্নের উত্তর জনগণ একদিন অবশ্যই চাইবে।”
সাক্ষাৎ শেষে শহীদ আরমান মোল্লার স্ত্রী ও সন্তানদের হাতে নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন রিজভী।
এ সময় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান মিথুন, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র পর ব র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
কুমারখালীর ঐতিহ্যবাহী মেলা নিয়ে জামায়াত-বিএনপির সংঘাত, আহত ১১
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা চাপাইগাছি বাজারে ঐতিহ্যবাহী গাজি-কালু-চম্পাবতী মেলা ঘিরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জামায়াত ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় দেড়শ বছরের পুরোনো এই মেলা প্রতি বছর বসে। তবে এবার মেলায় অশ্লীলতা ও জুয়া সংক্রান্ত অভিযোগ তুলে জামায়াত মেলা বন্ধের দাবি তোলে। অপরদিকে, প্রশাসনের অনুমতি না থাকলেও বিএনপি-সমর্থিত মেলা কমিটি মেলার আয়োজন করে। এ নিয়ে মঙ্গলবার বিকেল থেকে উত্তেজনার শুরু হলেও সন্ধ্যায় তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
আহতদের মধ্যে জামায়াতের পক্ষে রয়েছেন জগন্নাথপুর ইউনিয়ন উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানসহ আরও ৫ জন। তারা কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে, বিএনপিপন্থী আহতদের মধ্যে রয়েছেন খোকসা কলেজের প্রভাষক সরাফাত সুলতানসহ ৫ জন, যাদের কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, জামায়াত-শিবিরের শতাধিক নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অন্তত ৩০টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এক ব্যবসায়ী আরজ আলী জানান, তার প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, সংঘর্ষের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে দেখা যায়, টুপি পরা শত শত লোক দেশীয় অস্ত্র হাতে হুমকির ভঙ্গিতে ঘোরাফেরা করছে।
জামায়াত নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে মেলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে গেলে প্রতিপক্ষ হামলা চালায়। বিএনপির নেতারাও পাল্টা অভিযোগ করে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, মেলায় অনুমতির অভাবে আইনি জটিলতা তৈরি হয়। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।