দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কোন ধরনের তালবাহানা মেনে নিবে বলে কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছে বিএনপির নেতৃবৃন্দরা।

শুক্রবার (২৩ মে) বিকালে ফতুল্লা থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

বিক্ষোভ মিছিলটি ফতুল্লার পোস্ট অফিস থেকে বের করে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ পুরাতনের সড়কের পঞ্চবটি হয়ে পূনরায় ফতুল্লার পুরাতন গরুর হাটের সামনে গিয়ে মিছিলটি শেষ করে। পরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার বলেন, দুইদিনের রাজনীতিতে জন্ম নিয়ে আজকে তারা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে কটুক্তি করছে। সৈরাচার হাসিনা সরকার দেশের সকল সেক্টরকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। তাই নির্বাচনের আগে সংস্কারের জন্য আমরা দিতে চেয়েছিলাম। 

এখন আমরা জানতে পাই বর্তমান সরকারের কতিপয় উপদেষ্টারা লম্বা লম্বা কথা বলে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই শহিদ জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি বানের জ্বলে ভেসে আসেনি। বিএনপি যদি একবার চিন্তা করে দাবি আদায়ের জন্য যমুনাতে অবস্থান নিবে তখন যমুনা থেকে একটা লোকও বের হতে পারবে না। বিএনপির সেই ক্ষমতা রাখে। 

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ১৭ বছর ভোট দিতে পারেনি। ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে এবং শরীরের রক্ত জড়িয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কোন তালবাহানা না করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। 

তার বাহিরে কোন চিন্তা ভাবনা করলে বাংলার জনগণ তা কিছুতেই মেনে নিবে না। ডিসেম্বরে নিবর্বাচনের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। নতুবা বিএনপির লোকজন নির্বাচনের জন্য রাস্তায় নেমেছে। প্রয়োজনে আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচন দিতে বাধা করা হবে। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপি নেতা আনিসুর রহমান, ফতুল্লা থানা বিষয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিক, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান বাবু, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির চৌধুরী, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল আরমান, ফতুল্লা থানা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন, ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের আহবায়ক শাহ আলম পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আল-আমীন,ফতুল্লা থানা তাতীদল সভাপতি ইউনুস মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক হানিমুন রশিদ ইমন, আরিফ প্রধান প্রমুখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ঐকমত্য কমিশনে যারা আছেন, তারা নিজেদের কাজে ফিরে যান: খসরু

ঐকমত্য কমিশনে যারা আছেন, তারা আগে যে কাজ করতেন, তাদেরকে সে কাজে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। 

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী বিভাগের ব্যবসায়ীদের এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ জানান।

ঐকমত্য কমিশনের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলে আমীর খসরু বলেন, “জোর করে আরেকটি দলের অথবা দুটি দলের বা তিনটি দলের মতামত বাকি দলগুলোর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা একটা রাজনৈতিক দল, তারাও একটি রাজনৈতিক দল। এখানে ঐকমত্যের বাইরে গিয়ে তাদের দাবি আমাদের ওপর চাপাতে চাচ্ছে, জনগণের ওপর চাপাতে চাচ্ছে। অথচ, ঐকমত্য কমিশন করার উদ্দেশ্য ছিল, ঐকমত্য যতটুকু হবে, সেটা নিয়ে আমরা জনগণের কাছে যাব।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “ঐকমত্য হয়েছে, সই হয়েছে, তার বাইরে গিয়ে এখন নতুন নতুন দাবি নিয়ে আসছে। তাদের দাবি মানতে হবে, না মানলে এটা হবে, সেটা হবে...। আবার তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে ঐকমত্যের কিছু লোকজন। তাদেরও আবার মতামত আছে। রাজনীতিবিদদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে তারা তাদেরটা চাপাতে চাচ্ছে। আবার ঐকমত্য কমিশনেরও একটা নিজস্ব মতামত আছে। ঐকমত্য কমিশনের মতামতের জন্য তো তাদেরকে সেখানে রাখা হয়নি। এখন তাদেরও মতামত আছে এবং ওটা আমাদেরকে মানতে হবে।”

দেশের মানুষকেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “ঐকমত্য কমিশনে যারা আছেন, যাদের দাবি রাজনীতিবিদদের ওপর চাপাতে চান, জনগণের ওপর চাপাতে চান; তাদের প্রতি আমার অনুরোধ- আপনারা যে যেই কাজ করতেন আগে, ওই জায়গায় ফিরে যান। বাংলাদেশের মানুষকে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে দেন। আমি অনুরোধ করছি, আপনারা স্ব স্ব কাজে ফিরে যান। বাংলাদেশের মানুষকে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দয়া করে তাদের ওপরেই ছেড়ে দেন। আপনাদেরকে এই দায়িত্ব কেউ দেয় নাই।”

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে তাদের সিদ্ধান্ত দেবে। যেসব দল তাদের দাবি-দাওয়া চায়, তাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হবে তো। জনগণের মতামত নিতে হবে তো। জনগণের ম্যান্ডেট নিতে হবে তো। মতামত জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া চলবে না।”

নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা চলছে, অভিযোগ করে আমীর খসরু বলেন, “ব্যবসায়ীরা আমাকে প্রতিনিয়ত বলছেন, ফেব্রুয়ারি নয়; পারলে এখনই নির্বাচন করে আমাদেরকে একটু মুক্ত করেন। আমাদের ব্যবসা ধ্বংস হওয়ার উপক্রম। আমরা কোনো বিনিয়োগ করতে পারছি না। বিদেশিরা কোনো বিনিয়োগ করছে না। সুতরাং, এই নির্বাচনকে যারা বিলম্বিত করতে চায় তাদের স্বার্থের জন্য, এখানে ব্যবসায়ীদেরকে সোচ্চার হতে হবে। দ্রুতই নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।”

রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই বিভাগীয় ব্যবসায়ী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী বিভাগীয় ব্যবসায়ী ফোরাম এর আয়োজন করে। এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা ও সাবেক সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনুসহ রাজশাহী বিভাগের আট জেলার ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই সনদ জনগণের নয়, কিছু উপদেষ্টার প্রয়োজন: হাফিজ
  • একাত্তরের গণহত্যার জন্য জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে: আলাল
  • জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিতে সংগ্রাম, শপথ যুব সংসদের সদস্যদের
  • ঐকমত্য কমিশনে যারা আছেন, তারা নিজেদের কাজে ফিরে যান: খসরু
  • বন্দরে বিএনপি নেতা তাওলাদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম
  • বিএনপি ও জামায়াত কে কোন ফ্যাক্টরে এগিয়ে
  • অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে: ফখরুল
  • সরকার নিরপেক্ষতা হারালে জনগণ মাঠে নামবে: তাহের
  • সংস্কার ইস্যুতে সব দল ঐক্যবদ্ধ থাকলেও বিএনপি অবস্থান পরিবর্তন করে
  • বিএনপি-জামায়াত দেশকে অন্য এক সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী