রাজধানীর উত্তরায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন রাসেল মিয়া (২২), মো. সাগর (১৯), নাহিদ মিয়া (১৯), সুমন বাবু (৩১), জাফর মোল্লা (২২) ও আবদুল আজিজ (২২)। পুলিশের দাবি, তাঁদের সবাই একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।

উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের আশুলিয়া-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কের পাশে ফ্লাইওভারের ১৫৩ নম্বর পিলারের কাছে একটি ফাঁকা জায়গায় ডাকাত দলের কয়েকজন অস্ত্রসহ জড়ো হয়েছে। খবর পেয়ে রাত সাড়ে তিনটার দিকে ওই এলাকায় অভিযান চালায় থানা-পুলিশের একটি দল।

পুলিশ জানায়, তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি চাপাতি, দুটি চাকু ও একটি লোহার রড উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় কয়েকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা ডাকাতির পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হয়েছে। পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।

আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।

এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।

রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫