ইশরাকের শপথ দাবিতে আজও নগর ভবন অবরুদ্ধ
Published: 24th, May 2025 GMT
আদালতের রায়ের আলোকে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথের দাবিতে আজ শনিবারও অবরুদ্ধ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। শনিবার সকাল থেকে নগর ভবনের প্রধান ফটকসহ ভবনের তালা খুলে দেয়নি ইশরাক সমর্থক আন্দোলনকারীরা। নগর ভবনের নিচতলায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। নগরীর সেবা প্রার্থীরা করপোরেশনে এসে ফেরত যাচ্ছেন।
শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বাবু সমকালকে বলেন, আদালতের রায়ের আলোকে এখনও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ইশরাক হোসেনের শপথের উদ্যোগ নেয়নি। ফলে আজ কর্মচারী ইউনিয়ন মেয়রের শপথের দাবিতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
এদিকে আজও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নগর ভবনে এসে ফেরত গেছেন। অনেকই নগর ভবনের নিচতলার জরুরী পরিচালনা কেন্দ্রের কক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অবস্থান নিয়েছেন ইশরাক সমর্থকদের আন্দোলনের প্লাটফর্ম ঢাকাবাসীর সমন্বয়ক সাবেক সচিব মশিউর রহমান।
ঢাকাবাসীর সমন্বয়ক সাবেক সচিব মশিউর রহমান বলেন, এখনও ইশরাক হোসেনের শপথের প্রক্রিয়া শুরু করেনি সরকার। ফলে আজও নগর ভবনের ঢাকাবাসী আন্দোলন করছেন। যতদিন সরকার শপথের প্রক্রিয়া শুরু করবে না ততদিন আন্দোলন চলবে। তবে সরকার জনতার মেয়রকে শপথের চিঠি দিলে তখন ঢাকাবাসী কর্মসূচি নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নগর ভবনে বাবার মৃত্যু সনদের জন্য এসেছেন লহ্মীবাজারের কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে তিনদিন এসে ফেরত গিয়েছি। ভাবছি আজ নগর ভবন খোলা থাকবে তবে আজও বন্ধ। বাবার মৃত্যুর পরে এক ভাই বিদেশ থেকে এসেছেন। তাই বাবার সম্পত্তি সব ভাইদের উপস্থিতিতে বন্টন করতে চাইছিলাম। কিন্তু আন্দোলনের কারণে পারছি না।
এর আগে গত ১৪ মে থেকে নগর ভবনের সামনে 'ঢাকা বাসী' ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ইশরাক সমর্থক ও বিএনপি নেতাকর্মীরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইশর ক হ স ন অবস থ ন ন য় নগর ভবন র র শপথ র সরক র ইশর ক
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন শেফালিকা ত্রিপুরা
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরাকে পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলিমা বেগমের সই করা এক চিঠিতে এ নিদের্শনা দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন, ১৯৮৯ এর ধারা ১৪ অনুযায়ী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
এর আগে, গত সোমবার অসদাচারণ ও দুর্নীতির অভিযোগে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে পরিষদের সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর এক দিনের মাথায় পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরা।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জিরুনা ত্রিপুরাকে চেয়ারম্যান ও আরও ১৪ জন সদস্য নিয়ে পুনর্গঠন করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন খাগড়াছড়ি পার্বত্য পার্বত্য জেলা পরিষদ। এর তিনদিন পর ১০ নভেম্বর নব নিযুক্ত সদস্যদের নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।