দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে তাঁর শাশুড়ি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় ওই নারীর মেয়ে ও ভাগনে আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চাউলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত নারীর নাম বাহা বেশরা (৫৫)। তিনি চাউলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সামিয়েল মার্ডি (৪০)। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় আহত হয়ে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন তাঁর স্ত্রী ও বাহার মেয়ে মিনি হাসদা (৩৬) ও শ্যালক সুবল কিসকু (৩৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন মিনি হাসদা ও সামিয়েল মার্ডি দম্পতির মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে এক মাস ধরে মিনি বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। সামিয়েল মাদকাসক্ত ছিলেন। গতকাল রাতে সামিয়েল শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে যেতে চান। এ সময় কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে মিনিকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তিনি। শাশুড়ি বাহা বেশরা ও শ্যালক সুবল কিসকু ঠেকাতে গেলে তাঁদের মারধর করেন সামিয়েল। এ সময় সামিয়েলের ছুরির আঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাহা। পরে আহত অবস্থায় মিনি ও সুবলকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা।

বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল গফুর বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে জামাতার হাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে নারী মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন

চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী যশোর ঝিকরগাছা উপজেলার শাবানা বেগমের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শনিবার যশোরের বিশেষ বিচারক (জেলা জজ) এসএম নুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্পেশাল পিপি আনিছুর রহমান পলাশ।

দণ্ডিত শাবানা ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা গ্রামের আইমুদ্দীন গাজীর মেয়ে। এছাড়া এ মামলায় আরেক আসামি বেনাপোলের বালুন্ডা আওলিয়াপাড়ার সিরাজুল আওলিয়ার ছেলে শফিকুল আওলিয়াকে মুক্তি দিয়েছেন আদালত।

আরো পড়ুন:

ওয়াশিংটনে বন্দুক হামলায় নিহত ২ দূতাবাস কর্মীর নাম জানাল ইসরায়েল

কূটনীতিকদের ওপর ইসরায়েলের গুলিবর্ষণ ‘অগ্রহণযোগ্য’: ইইউ

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই শার্শা থানা পুলিশের কাছে খবর আসে জামতলা শার্শা সড়কের বিশ্বাস ব্রিকসের সামনে রাস্তায় দুইজন মাদক ব্যবসায়ী অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতেনাতে শাবানাকে আটক করে পুলিশ। এ সময় পালিয়ে যায় শফিকুল আওলিয়া।

পরে শাবানার হাতে থাকা একটি স্কুল ব্যাগ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শার্শা থানার এসআই মুরাদ হোসেন বাদী হয়ে ওই দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে একই থানার এসআই শফিকুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

শনিবার শাবানার উপস্থিতিতে বিচারক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। পরে শাবানাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ঢাকা/রিটন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ