আ.লীগের মাসুদের সভাপতিত্বে বিএনপির কর্মিসভা
Published: 24th, May 2025 GMT
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিএনপির এক কর্মিসভায় সভাপতিত্ব করেছেন আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা মনিরুল ইসলাম মাসুদ নামের এক ব্যক্তি। যিনি ২০২২ সালে আলফাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন, কিন্তু পাননি। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।
শুক্রবার (২৩ মে) উপজেলার আলফাডাঙ্গা ইউনিয়নের বেজিডাঙ্গা আমেনা ওয়াহেদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় ইউনিয়ন বিএনপির এই কর্মিসভা। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন মনিরুল ইসলাম মাসুদ। এছাড়াও, কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার নামের এক ব্যক্তি, যিনি উপজেলা যুবলীগের সদস্য ছিলেন।
বিএনপির কর্মিসভায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের উপস্থিতি নিয়ে জেলায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পাশাপাশি সাধারণ কর্মীদের মনেও তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, বিএনপির এই সভা কী আসলেই দলের আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করছে। নাকি আওয়ামী লীগের প্রভাবে পরিচালিত হচ্ছে?
আরো পড়ুন:
বিএনপি নেতার গাড়িবহরে হামলায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা
পুঁজিবাজারকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের প্রধান উৎস করতে হবে: আমির খসরু
সভায় উপস্থিত বিএনপির অনেক নেতাকর্মী এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ সভাস্থল ত্যাগ করেছেন, আবার কেউ এটিকে দলের মূলনীতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্থানীয় বিএনপির এক নেতা বলেন, ‘‘এভাবে চললে বিএনপির আদর্শের প্রতি কর্মীদের আস্থা নষ্ট হবে। এ ধরনের ঘটনা আমাদের হতাশ করে।’’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদারেস আলী ঈসা বলেন, ‘‘বিএনপির আদর্শের সঙ্গে কোনো আপস করা যাবে না। যিনি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তাকে সভাপতি করা সাংগঠনিক নিয়মের লঙ্ঘন। এটি দলের আদর্শের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা।”
তিনি আরো বলেন, ‘‘এ ঘটনায় তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এ বিষয়ে জানতে মনিরুল ইসলাম মাসুদ ও ইউনিয়ন বিএনপির কর্মিসভা আয়োজন কমিটির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
ঢাকা/তামিম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র আদর শ র র ল ইসল ম ব এনপ র উপস থ ত আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
দুই শীর্ষ তালেবান নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানের তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশটির নারী ও কিশোরীদের নানাভাবে দমন–পীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইসিসি গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, আফগানিস্তানে ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসে। এর পর থেকে দেশটিতে নারী ও কিশোরীদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগের ‘যুক্তিসংগত ভিত্তি’ রয়েছে।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নারী ও কিশোরীদের ওপর একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অনেক চাকরি থেকে নারীদের বিরত রাখা।
আফগানিস্তানে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা কত দূর ভ্রমণ করতে পারবে, সে বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে তালেবান। এমনকি জনসমক্ষে নারীদের কথা বলার বিষয়েও নির্দেশনা জারি করেছে তারা।
এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের জনগণের ওপর কিছু নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তালেবান। তবে তারা নারী ও কিশোরীদের বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে। জাতিসংঘ এসব বিধিনিষেধকে ‘লিঙ্গবৈষম্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তালেবান। তারা বলেছে, তালেবান এই আদালতকে স্বীকৃতি দেয় না। আদালতের এমন পরোয়ানাকে ‘সুস্পষ্ট শত্রুতামূলক পদক্ষেপ’ এবং ‘বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের বিশ্বাসের প্রতি অপমান’।
তালেবান সরকারের দাবি, তারা আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও ইসলামি আইন অনুযায়ী নিজস্ব ব্যাখ্যার ভিত্তিতে নারীদের অধিকারকে সম্মান করে।
গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের মতো গুরুতর অপরাধের তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে কাজ করে আইসিসি। কোনো দেশ এই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে না পারলে বা বিচার করতে না চাইলে আইসিসি এ উদ্যোগ নেয়।