‘অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হলে দাঁতভাঙা জবাব’
Published: 25th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম বলেছেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিপক্ষে কোনো ষড়যন্ত্র হলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।”
রবিবার (২৫ মে) বিকেলে কুমিল্লা নগরীর ফান টাউন মিলনায়তনে জামায়াতের মহানগর ইউনিট সভাপতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এটিএম মাছুম বলেন, “একটি গোষ্ঠী দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা আবারো আগস্ট-পূর্ব অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। দেশের মানুষ শান্তি চায়, আমরা চাই একটি গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ নির্বাচন।”
আরো পড়ুন:
ধর্মের ভিত্তিতে আমরা কাউকে বিবেচনা করি না: জামায়াতের আমির
সংস্কার-নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইলেন জামায়াত আমির
তিনি আরো বলেন, “আমরা দুইটি রোডম্যাপ চেয়েছি, এর একটি নির্বাচনের এবং অন্যটি সংস্কারের। এরপরই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হবে।”
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। সম্মেলন পরিচালনা করেন মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মু.
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মু. কামারুজ্জামান সোহেল, কাউন্সিল সদস্য মোশারফ হোসেন, নাছির আহম্মেদ মোল্লা, মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ হাসান ও কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক জাকির হোসেনসহ অনেকে।
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সব দলের সঙ্গে আলোচনা না করে নির্বাচন দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না: এনসিপি
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সরকারকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দিকে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করে সরকার নির্বাচনের দিকে যদি অগ্রসর হয়, সেটা যে গ্রহণযোগ্য হবে না।
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ১৯তম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এনসিপির সদস্যসচিব এ কথাগুলো বলেন।
রাজনৈতিক দলগুলো যদি দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সামগ্রিক রাষ্ট্রীয় স্বার্থ এবং বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে যায়, তাহলে জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ প্রণয়ন করা সম্ভব বলেও মনে করেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে, এ রকম একটা টাইমলাইন অনেক আগেই বলছে। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে বিচার-সংস্কারকে দৃশ্যমান পর্যায়ে উন্নীত করা, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা, নির্বাচনের জন্য মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং একই সঙ্গে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের ঘোষণার দিকে যেতে হবে। অবশ্যই জুলাই সনদ এবং জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের পরে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা যেতে পারে।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘এর আগে প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে বসে যখন একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন, তখন আমরা তার প্রতিবাদ করেছিলাম। যদি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করে সরকার নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হয়, সেটা যে গ্রহণযোগ্য হবে না, তা বলার অবকাশ রাখে না।’
এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, ‘যাঁরা বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, যাঁরা বাংলাদেশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, এই ফ্যাসিবাদবিরোধী পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই যদি সরকার নির্বাচনের মতো বিষয়কে খোলাসা ও সুনির্দিষ্ট করতে শুরু করে, তাহলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার বিষয়টি আমরা পুনর্বিবেচনা করব।’
রোববারের আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া। সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দার।