চট্টগ্রামে পাক্কা রাঁধুনি প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন ১০ জন
Published: 25th, May 2025 GMT
প্রতিটি রান্নায় ছিল দেশীয় ঐতিহ্যের স্বাদ। কারও রান্নায় মসলার ঘ্রাণ, কারওবা স্বাদের ভিন্নতা। বিচারকেরাও যেন দ্বিধায় পড়লেন এত পদের রান্না থেকে সেরাদের বাছাই করে নিতে। তবে স্বাদ, মান ও রান্নার বিচারে বাছাই করা হলো ১০ রাঁধুনিকে।
চট্টগ্রামে তৃতীয়বারের মতো শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী রান্নার প্রতিযোগিতা কনফিডেন্স সল্ট-প্রথম আলো ‘পাক্কা রাঁধুনি ২০২৫’। আজ রোববার প্রথম আলো চট্টগ্রাম কার্যালয়ে ছিল প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্ব। এতে নিজেদের পাঠানো রেসিপিগুলো রান্না করে বিচারকদের সামনে উপস্থাপন করেন ৪০ জন প্রতিযোগী।
বিচারকদের সামনে ছিল মেজবানি মাংস, ইলিশের পাতুরি, দুরুস, শুঁটকি, বিরিয়ানিসহ নানা পদের রান্নার সমারোহ। প্রতিটি চেখে দেখেন তিন বিচারক। রান্নায় নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন রাঁধুনিরা।
চূড়ান্ত পর্বের জন্য বাছাই করা ১০ জন প্রতিযোগী হলেন তাসলিমা সিদ্দিকা, সাহিদা রহমান, জিন্নাত আরা, নুসরাত সুলতানা, ফজিলা আকতার, ফারমিন আজাদ, লাবনী ভৌমিক, সাইমা আক্তার, সালমা খানম ও মো.
প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্বে বিচারক হিসেবে ছিলেন র্যাডিসন ব্লু বে ভিউ চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ সু শেফ মো. খুরশেদ আলম, রন্ধনশিল্পী জেবুন্নেসা বেগম, ইসমত আরা আবেদিন, নাজনীন নাহার ইসলাম ও ফারহানা বীথি।
২৮ মে বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ছিল প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাইপর্ব। প্রতিযোগীদের লিখে পাঠানো পাঁচ শতাধিক রেসিপি থেকে যাচাই-বাছাই করে ৪০ জনকে দ্বিতীয় পর্বের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ছ ই কর
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল