বিএনপির ২ পক্ষের সভা নিয়ে উত্তেজনা, আলফাডাঙ্গায় ১৪৪ ধারা জারি
Published: 26th, May 2025 GMT
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিএনপির দুই পক্ষ একই সময় সভা আহ্বান করায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সোমবার (২৬ মে) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আলফাডাঙ্গা সদর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সকালে আলফাডাঙ্গার চৌরাস্তায় বিএনপির দুইটি পক্ষ একই সময়ে পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করে। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে সকাল থেকেই উভয় পক্ষের সমর্থকরা নির্দিষ্ট দূরত্বে জড়ো হতে শুরু করেন। এ কারণে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
পুলিশ পরে দুই পক্ষের সমর্থকদের দ্রুত সরিয়ে দেয়। সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ কে এম রাহানুর রহমান ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা দেন।
আরো পড়ুন:
মাদারীপুরের রাজৈরে ১৪৪ ধারা জারি
টাঙ্গাইলে ঈদের মাঠে সংঘর্ষ এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোশবুর রহমান খোকন বলেন, “কিছুদিন আগে কৃষক দলের একজন নেতা আওয়ামী লীগের এক নেতার সহযোগিতায় সভা আয়োজন করেছিলেন। আমরা এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছি। তবে, আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কর্মসূচি সম্পন্ন করেছি।"
অপরদিকে, ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের গ্রুপ একটি সভার আয়োজন করেছিল। প্রশাসনের নির্দেশনার পর তা বাতিল করা হয়েছে। খোশবুর রহমান খোকনের বিএনপির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।”
ফরিদপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা সার্কেল) ইমরুল হাসান বলেন, “দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল, তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ কে এম রাহানুর রহমান বলেন, “এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে আলফাডাঙ্গা সদর এলাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ সময়ে কোনো ধরনের সভা বা সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।”
ঢাকা/তামিম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১৪৪ ধ র ব এনপ আলফ ড ঙ গ পর স থ ত ব এনপ র ১৪৪ ধ র র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
পশুর হাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধীর দুই নেতা গ্রেপ্তার
চাঁদাবাজির অভিযোগে কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর পশুর হাটের ‘বৈধ’ ইজারাদার মাহাবুব রহমান ও তাঁর সহযোগী মো. আলমগীর গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রসিদ ছাড়া চাঁদা তোলার সময় যৌথ বাহিনীর হাতে তারা আটক হন। গতকাল বুধবার সকালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। সেখানে বৈধতার কাগজপত্র দেখালে শুনানি শেষে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তার মাহাবুব রহমান কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বেলগাছা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। মো. আলমগীর কুড়িগ্রাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক। গত মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে যাত্রাপুর গরুর হাটে রসিদ ছাড়া চাঁদা তোলার অভিযোগ ওঠে। পরে ফেনী জেলার মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন আজাদ হাটে টহলরত যৌথ বাহিনীর কাছে অভিযোগ করলে তাদের আটক করা হয়। আলমগীর পুরো ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এজাহারে বলা হয়, ফেনীর ছাগলনাইয়ার মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার মঙ্গলবার যাত্রাপুর হাট থেকে ১৭টি মহিষ কেনেন। পরে অভিযুক্তরা তাঁকে (আনোয়ার) গরু-মহিষ বিক্রির রসিদ শেডঘরে নিয়ে যান এবং প্রত্যেক মহিষের জন্য ৫০০ টাকা করে ৮ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করেন। এ সময় আনোয়ার তাদের কাছে রসিদ চাইলে তারা তা দেখাতে পারেননি। আনোয়ার বিষয়টি যৌথ বাহিনীকে জানালে এ দু’জনকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ বলেন, ‘মাহাবুব রহমান ওই হাটের ইজারাদার। তিনি চাঁদাবাজ নন। আমার সঙ্গে মাহাবুব রহমানের কথা হয়েছে। তারা কাগজ প্রদর্শনের সময় পাননি। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের আটক করে যৌথ বাহিনী। সকালে কাগজপত্র দেখালে তাদের জামিন হয়।’
কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ জানান, মাহাবুব রহমান যাত্রাপুর হাটের বৈধ ইজারা মালিক। তবে ওই সময়ে তাঁর কাছে কাগজপত্র না থাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করা হয়। সকালে থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মো. আলমগীর বলেন, দুপুরে যথাযথ কাগজ আদালতে দাখিল করে জামিনে মুক্ত হয়েছি। এটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র ছিল।