Samakal:
2025-11-02@22:21:51 GMT

বইয়ের পাতায় জীবন

Published: 26th, May 2025 GMT

বইয়ের পাতায় জীবন

শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো বই পড়া প্রতিযোগিতা ‘বইয়ের পাতায় জীবন’। রাবেয়া কাদের স্মৃতি পাঠাগারের সহযোগিতায় শনিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘জ্ঞানালোকে প্রদীপ্ত হোক প্রজন্মের মেধা’ শীর্ষক এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসরের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উছেন মে। বিশেষ অতিথি ছিলেন সমকালের সহকারী সম্পাদক সাইফুর রহমান তপন, রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, রাবেয়া কাদের স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম ও সুহৃদ সমাবেশের বিভাগীয় সম্পাদক মো.

আসাদুজ্জামান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রতিযোগিতা প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রব সুমন। 

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উদ্বোধন পর্বে বক্তৃতা করেন প্রবীণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অ্যাডভেকেট দেবাহুতি চক্রবর্তী, রাজবাড়ীর সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজা খানম, রাজবাড়ী সুহৃদ উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক আহসান হাবীব প্রমুখ। এ পর্ব সঞ্চালনা করেন রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের সাধারণ সম্পাদক রবিউল রবি। 

প্রতিযোগিতা শেষে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী পূজা দাস, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সাহিত্য পোদ্দার, শেরেবাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী আয়শা সিদ্দিকা, আরএসকে ইনস্টিটিউশনের ছাত্রী গ্রেস স্তুতি হালদার, অংকুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র হাসিবুল হাসান সূর্য। 

শিক্ষকরা কীভাবে শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে পারেন, এ বিষয়ে শিক্ষকরা বলেন, বই জ্ঞানের প্রদীপ। বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। এখন থেকে তারা শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাবেন। এ পর্বে বক্তব্য দেন অংকুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক গোলাম সারওয়ার, আরএসকে ইনস্টিটিউশনের সহকারী প্রধান শিক্ষক চায়না রানী সাহা, রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওলিউল আজম তৈমুর, শেরেবাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তপন কুমার পাল ও রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহেদ আলী। 

রাজবাড়ী সুহৃদ উপদেষ্টা ও সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যে যত বেশি বই পড়বে সে তত আলোকিত হবে। এভাবেই বইয়ের পাতায় জীবন ফুটে উঠবে। 
প্রধান অতিথি রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উছেন মে বলেন, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাটাই বড় কথা। যারা পুরস্কার পায়নি তারা মন খারাপ করবে না। রাজবাড়ী জেলায় এ রকম একটি প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য সুহৃদ সমাবেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নিঃসন্দেহে এমন প্রতিযোগিতা মেধা ও মননের ক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শিক্ষার্থীরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সৃষ্টিশীল কাজে যাতে মনোনিবেশ করে সে দিকে সবারই লক্ষ্য রাখা উচিত। 

সাইফুর রহমান তপন বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মঞ্চে এসে যে বক্তৃতা দিয়েছে তা আমাদের খুবই আশান্বিত করেছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শুনে খুবই অবাক হয়েছি। এত চমৎকার করে তারা উপস্থাপন করেছে, যুক্তি উপস্থাপন করেছে। স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে কথা ডেলিভারি দিয়েছে যা সত্যিই অবাক করার মতে। একটা কথা চালু আছে, এখনকার ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করে না। কিন্তু এসব ছেলেমেয়েকে দেখে মনে হয়েছে তারা যুক্তির চর্চাও করে। সমকাল মানুষকে নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করছে। যত সংকটই থাকুক সমকাল এ কাজগুলো করে যাবে। সবকিছু মিলিয়ে প্রাণবন্ত পরিবেশ লক্ষ্য করলাম। এই প্রাণবন্ত পরিবেশকে ধরে রাখতে হবে। আমাদের আশাবাদী হওয়ার মতো অনেক কিছুই রয়েছে। 

জেলার পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে তিনজন প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়, আটজনকে বিশেষ পুরস্কার এবং অংশগ্রহণকারী সবাইকে সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সমকালের রাজবাড়ী প্রতিনিধি সৌমিত্র শীল চন্দন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ দ সম ব শ প রস ক র অন ষ ঠ সরক র সমক ল

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ