সিলেটে হত্যা মামলায় চার ভাইসহ ৮ জনের ফাঁসি
Published: 26th, May 2025 GMT
সিলেটে শেখ মাসুক মিয়া (৩৫) হত্যা মামলায় চার ভাইসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় দেন।
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মাসুক ২০১৮ সালের ১৩ জুন খুন হন। তিনি ওসমানীনগর উপজেলার ফতেহপুর গুপ্তপাড়া গ্রামের মৃত শেখ মদরিছ আলীর ছেলে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো.
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নিহত মাসুকের ভাই শেখ আলফু মিয়া (৪১), শেখ পংকী মিয়া (৪৩), শেখ তোতা মিয়া (৫৭), শেখ আব্দুর রব ওরফে লেবু মিয়া (৬৩), শেখ পংকী মিয়ার স্ত্রী লাভলী বেগম, লেবু মিয়ার শেখ আনোয়ারা বেগম (৪৮), একই গ্রামের মৃত আখলাছ আলীর ছেলে ফখর উদ্দিন ওরফে অহর (৪৬) ও গ্রামতলা দাসপাড়া গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন ওরফে দিপু মিয়া (৪৩)। তাদের মধ্যে দিপু মিয়া ছাড়া সবাই আদালতে রায় ঘোষণাকালে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৩ জুন বিকেল ৩টায় বাড়ি থেকে গোয়ালাবাজার যাওয়ার জন্য বের হন মাসুক মিয়া। সন্ধ্যায় বাড়ি না ফেরায় মোবাইল ফোনে তার স্ত্রী কল করেন। প্রথমে কল ঢুকলেও পরে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরের দিন ওসমানীনগরের দাসপাড়া গফুর মিয়ার বাড়ির পাশে ধানক্ষেত থেকে মাসুক মিয়ার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। মরদেহ শনাক্তে এলাকায় মাইকিং করা হয়। সেই সংবাদ পেয়ে নিহতের ভাই আলফু ও শেখ তোতা ঘটনাস্থলে যান এবং ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় আলফু মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয়ে থানায় মামলা করেন। কিন্তু মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ওসমানীনগর থানার তৎকালীন পরিদর্শক এসএম মাঈন উদ্দিন হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহতের ভাই আলফু, পংকী ও তোতাকে আটক করেন। পরে থানার এসআই মমিনুল বাদী হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্তি পিপি আল আসলাম মুমিন জানান, প্রবাসে থাকতে ভাইদের কাছে টাকা পাঠাতেন শেখ মাসুক মিয়া। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে নিজেদের নামে তারা জমি কেনেন। দেশে ফিরে পাঠানো টাকায় কেনা জমি তার নামে লিখে দিতে বললে বিরোধ দেখা দেয়। সেই বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে দুই ভাবি ও চার ভাই মিলে তাকে হত্যা করে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
আরো পড়ুন:
সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা
পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা
গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি।
এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/এনটি/বকুল