বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) ব্যবস্থাপনায় এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজের পৃষ্ঠপোষকতায় কুল-বিএসজেএ মিডিয়া কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনে আসরের প্রথম হ্যাটট্রিক করেছেন দ্য ডেইলি স্টার-এর নাবিদ ইয়াসিন।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ৩২টি মিডিয়া হাউসের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে মঙ্গলবার জয় পেয়েছে দৈনিক কালের কণ্ঠ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, দৈনিক সমকাল, দ্য ডেইলি স্টার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, এখন টিভি, আরটিভি ও চ্যানেল ২৪।

টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাফুফে সদস্য ও সাবেক জাতীয় ফুটবলার গোলাম গাউস, সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও কোচ হাসানুজ্জামান খান বাবলু, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি এবং জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রশাসক কামরুল ইসলাম কিরন।

আরো পড়ুন:

ভগ্ন হৃদয়ে রোনালদোর ক্লাব ছাড়ার ইঙ্গিত

রূপান্তরের আভাস দিয়ে আনচেলোত্তির ব্রাজিল দল ঘোষণা

ম্যাচসেরা পুরস্কার প্রদান মঞ্চে ছিলেন বিএসজেএ সভাপতি আরিফুর রহমান বাবু, সহসভাপতি রায়হান আল মুঘনি, সাবেক সভাপতি এটিএম সাইদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান এবং বিএসজেএ সদস্য ও দ্য ডেইলি স্টার-এর ক্রীড়া সম্পাদক বিশ্বজিৎ কুমার রায়।

দিনের প্রথম ম্যাচে নয়া দিগন্তকে ১-০ গোলে হারায় দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। জয়সূচক গোলটি করে ম্যাচসেরা হন আল ইমরান। জাগোনিউজকে ৩-১ গোলে হারায় চ্যানেল ২৪। জুবায়ের শুভ করেন দুটি গোল এবং ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর গোলশূন্য থাকে বাংলা নিউজ ও আরটিভির ম্যাচ। টাইব্রেকারে ৪-১ ব্যবধানে জয় পায় আরটিভি। ম্যাচসেরা হন তাদের গোলরক্ষক রাফি আমিন।

এখন টিভি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের মধ্যকার ম্যাচও টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হয়। এখন টিভি ৪-২ ব্যবধানে জয়লাভ করে। ম্যাচসেরা হন গোলরক্ষক শুভাংশু।

ঢাকা পোস্টের বিপক্ষের ম্যাচে টুর্নামেন্টের প্রথম হ্যাটট্রিক করেন দ্য ডেইলি স্টার-এর নাবিদ ইয়াসিন। ঢাকা পোস্টের হয়ে একটি গোল করেন আমিনুল ইসলাম। ৩-১ গোলের জয়ে ম্যাচসেরা হন নাবিদ।

বিটিভি ১-০ গোলে হারায় দৈনিক ইনকিলাবকে। জয়সূচক গোলটি করেন সাজ্জাদ হোসেন, যিনি হন ম্যাচসেরা।

বাংলাভিশনকে ২-১ গোলে হারায় কালের কণ্ঠকে। এক গোল করার পাশাপাশি পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন তৌকির আহমেদ।

দিনের শেষ ম্যাচে সময় টিভিকে ২-০ গোলে হারায় সমকাল। দুই অর্ধে একটি করে গোল করে ম্যাচসেরা হন কাজী তামজিদ হাসান।

অনিবার্য কারণবশত আগামীকাল বুধবার (২৮/০৫/২৫) কুল-বিএসজেএ মিডিয়া কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে এক দিনের বিরতি দেওয়া হয়েছে। ফলে টুর্নামেন্টের পরবর্তী সূচি এক দিন করে পিছিয়ে যাবে। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় শুরু হবে খেলা।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ব এসজ এ প রথম ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী

আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।

রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’

বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ