Risingbd:
2025-05-27@20:12:19 GMT

ইফতির সেঞ্চুরি, মঈনের আক্ষেপ

Published: 27th, May 2025 GMT

ইফতির সেঞ্চুরি, মঈনের আক্ষেপ

চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান ইফতেখার হোসেন ইফতি ও মঈন খান। দলকে সামাল দেন, গড়েন জুটি। লড়াই করেন। দুজনই হাফসেঞ্চুরি করেন। একজন তুলে নেন সেঞ্চুরি, আরেকজন সেঞ্চুরির একেবারে কাছাকাছি গিয়ে হতাশায় থেমে যান।

দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের লড়াইয়ে প্রথম দিনটি শেষ পর্যন্ত অতিথিদের নামেই লেখা হলো।

ইফতি ব্যাট হাতে ঝলক দেখিয়ে ১০৯ রানের নজরকাড়া ইনিংস খেলেন। মঈন খান এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথে, কিন্তু ৯১ রানে থেমে যেতে হয় তাকে।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বাংলাদেশ

‘লাল-সোনালি’ স্বপ্নে চড়ে কোয়ালিফায়ারে পাঞ্জাব

তাদের দৃঢ়তায় ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ৭ উইকেটে ২৪২ রানে দিন শেষ করে। রাকিবুল হাসান ২ ও রিপন মন্ডল শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন।

মিরপুর শের-ই-বাংলায় দিনের শুরুতেই স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না করেই আশিকুর রহমান শিবলি সাজঘরে ফেরেন। তিনে নামা চৌধুরী মো.

রিজওয়ান করতে পারেন মাত্র ৭ রান।

পরের তিন ব্যাটসম্যান শাহাদাত দিপু (১), আরিফুল ইসলাম (০) ও প্রীতম কুমার (২) এসেছেন আর ফিরেছেন দ্রুতই। ৫৮ রানে অর্ধেক ব্যাটসম্যান ফিরে যান সাজঘরে।

সেখান থেকেই শুরু হয় ইফতি ও মঈনের প্রতিরোধ। উইকেটে সময় দেন, ধৈর্য দেখান। গড়েন ১৭৯ রানের দুর্দান্ত জুটি।

কিন্তু ‘নার্ভাস নাইন্টিজ’-এ পৌঁছে মঈন খান পেসার ডিয়ান ফোস্টারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।

সেঞ্চুরি পাওয়া ইফতিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি। তার আউটও আসে মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে।

দিনের সেরা বোলার ছিলেন প্রোটিয়া চার্লস মোগাকানে। ১২ ওভারে মাত্র ২০ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। ইনোসেন্ট টুলি নেন ২ উইকেট।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

দক্ষিণখানে নারীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

রাজধানীর দক্ষিণখানের চালাবন এলাকায় শিল্পী বেগম (২৫) নামে এক নারীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তাঁর স্বামী মো. তুহিন। মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে তুহিনকে বেধড়ক পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেন জনতা। পুলিশ তাঁকে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের সহকারী কমিশনার নাসিম এ গুলশান সমকালকে বলেন, কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে অন্তত এক মাস ধরে দু’জন আলাদা থাকতেন। এর মধ্যে শিল্পী তালাক দেন স্বামীকে। মঙ্গলবার বিষয়টি জানার পর তুহিন ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটান। 

পুলিশ সূত্র জানায়, চালাবন এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতেন শিল্পী। তিনি একটি পোশাক কারখানায় জুনিয়র অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। জান্নাত নামে তাঁর ৭ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে চালাবনের রাস্তায় শিল্পীর পথরোধ করেন তুহিন। এর পর তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দা দিয়ে কয়েকটি কোপ দেন। এতে ওই নারীর মাথা শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি ভোলার দুলালহাট উপজেলার আবু বাকেরপুর গ্রামে। বাবার নাম দুলাল মিয়া। তিনি উত্তরখানে থাকেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দোকানি কামাল শেখ সাংবাদিকদের জানান, কোপানোর দৃশ্য দেখে তিনি এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তুহিন তখন দা হাতে ভয়ংকর ভঙ্গিতে থাকায় আর এগোনোর সাহস করেননি। আরও কিছু লোক এ দৃশ্য দেখেছেন। তারাও নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন। স্ত্রীকে কোপানোর পর তুহিন পালানোর কোনো চেষ্টাই করেননি। বরং লাশের পাশে হাঁটাহাঁটি করছিলেন আর বলছিলেন, ‘এই মেয়ে আমার সব শেষ করে দিয়েছে।’ কিছুক্ষণ পর লোকজন তাঁকে আটক করে পিটুনি দেন। 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ