চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান ইফতেখার হোসেন ইফতি ও মঈন খান। দলকে সামাল দেন, গড়েন জুটি। লড়াই করেন। দুজনই হাফসেঞ্চুরি করেন। একজন তুলে নেন সেঞ্চুরি, আরেকজন সেঞ্চুরির একেবারে কাছাকাছি গিয়ে হতাশায় থেমে যান।
দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের লড়াইয়ে প্রথম দিনটি শেষ পর্যন্ত অতিথিদের নামেই লেখা হলো।
ইফতি ব্যাট হাতে ঝলক দেখিয়ে ১০৯ রানের নজরকাড়া ইনিংস খেলেন। মঈন খান এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথে, কিন্তু ৯১ রানে থেমে যেতে হয় তাকে।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বাংলাদেশ
‘লাল-সোনালি’ স্বপ্নে চড়ে কোয়ালিফায়ারে পাঞ্জাব
তাদের দৃঢ়তায় ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ৭ উইকেটে ২৪২ রানে দিন শেষ করে। রাকিবুল হাসান ২ ও রিপন মন্ডল শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় দিনের শুরুতেই স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না করেই আশিকুর রহমান শিবলি সাজঘরে ফেরেন। তিনে নামা চৌধুরী মো.
পরের তিন ব্যাটসম্যান শাহাদাত দিপু (১), আরিফুল ইসলাম (০) ও প্রীতম কুমার (২) এসেছেন আর ফিরেছেন দ্রুতই। ৫৮ রানে অর্ধেক ব্যাটসম্যান ফিরে যান সাজঘরে।
সেখান থেকেই শুরু হয় ইফতি ও মঈনের প্রতিরোধ। উইকেটে সময় দেন, ধৈর্য দেখান। গড়েন ১৭৯ রানের দুর্দান্ত জুটি।
কিন্তু ‘নার্ভাস নাইন্টিজ’-এ পৌঁছে মঈন খান পেসার ডিয়ান ফোস্টারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।
সেঞ্চুরি পাওয়া ইফতিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি। তার আউটও আসে মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে।
দিনের সেরা বোলার ছিলেন প্রোটিয়া চার্লস মোগাকানে। ১২ ওভারে মাত্র ২০ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। ইনোসেন্ট টুলি নেন ২ উইকেট।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদপুরের সেই ইমাম শঙ্কামুক্ত, হামলাকারী কারাগারে
চাঁদপুর সদরে জুমার নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরেই কুপিয়ে জখম করা আহত ইমাম ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি এখন আগের চেয়ে সুস্থ আছেন বলে জানিয়ে পরিবার। অন্যদিকে হামলাকারী বিল্লাল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার বিকেলে চাঁদপুরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাতুল হাসান আল মুরাদের আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
শুক্রবার চাঁদপুর সদরের প্রফেসরপাড়া মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজে খুতবা ও আলোচনার সময় ইমাম নূর রহমানের বক্তব্যে ক্ষিপ্ত হন ওই এলাকার তরকারির ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন। নামাজ শেষে বিল্লাল চাপাতি নিয়ে মসজিদের ভেতরেই ইমামের ওপর হামলা চালান। পরে মুসল্লিরা আহত অবস্থায় ইমামকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং হামলাকারীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এ ঘটনায় রাতেই চাঁদপুর মডেল থানায় মামলাটি করেন আহত নূর রহমানের বড় ছেলে আফনান তাকি।
শনিবার আফনান তাকি বলেন, বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে এসেছি। বর্তমানে তিনি হলি কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং শঙ্কামুক্ত।
তিনি আরও বলেন, আমার বাবার ওপর বর্বরোচিত হামলার বিচার চাই।
এদিকে বিল্লালকে শনিবার চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাতুল হাসান আল মুরাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসব তথ্য জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল কাদের জিলানি। তিনি বলেন, রোববার বিল্লালকে আবার কোর্টে হাজির করলে ৭ দিন রিমান্ড চাওয়া হবে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আব্দুর রকিব জানান, বিল্লাল নিজেই এই নির্মম কাজটি সম্পন্ন করেছেন। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হলে দায় স্বীকার করে তিনি জবানবন্দি দেন।
বিল্লাল ধর্মীয় কোনো উগ্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এমন কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত পাইনি। তদন্ত চলছে।