অনেকে যখন প্রহর গুনছেন, ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে দীপিকা পাড়ুকোনের নতুনরূপে আবিষ্কারের, ঠিক তখনই এসেছে দুঃসংবাদ। আলোচিত এই সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে দীপিকাকে! এ খবর শুনে হতাশ অনেকে। কেন এই বলিউড তারকাকে সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হলো?

এ প্রশ্ন নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। নেটিজেনদের কেউ আবার বিষয়টি নিয়ে দুষছেন পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গাকে। আর তা নজরে পড়তেই, দীপিকাকে বাদ দেওয়ার কারণ খোলাসা করেছেন নির্মাতা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এ সময় অনলাইনে জানিয়েছে, ‘স্পিরিট’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য দীপিকা যেসব শর্ত জুড়ে দিয়েছেন, তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই দীপিকাকে নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা থাকলে, শেষমেষ সেই ইচ্ছাকে জলাঞ্জলি দিতে হয়েছে। বাধ্য হয়ে অন্য কোনো অভিনেত্রীকে নিয়ে কাজ করার কথা ভাবতে হয়েছে। এই সময় অনলাইন আরও জানিয়েছে, পরোক্ষভাবে  সোশ্যাল মিডিয়ায় দীপিকাকে ‘ডার্টি গেম’ খেলার অভিযোগে বিদ্ধ করেছেন সন্দীপ।

এক্সের একটি পোস্টে সন্দীপ লিখেছেন, ‘নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট লঙ্ঘন করেছেন তিনি।’ দীপিকার ‘ফেমিনিজম’কেও প্রশ্ন করেছেন বঙ্গা।

এদিকে কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল, মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে সন্দীপের আগামী ছবি ‘স্পিরিট’-এর হাত ধরেই কামব্যাক করবেন দীপিকা। ছবির চিত্রনাট্য পছন্দও হয়েছিল অভিনেত্রীর। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কিছু শর্ত চাপিয়ে ছিলেন তিনি। যেমন– হিন্দি ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় সংলাপ বলবেন না। পারিশ্রমিক ছাড়াও সিনেমার লভ্যাংশের ভাগ দিতে হবে তাঁকে। দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করবেন না। অভিনেত্রীর এসব শর্ত পরিচালকের সিদ্ধান্ত বদলের বিষয়ে ভূমিকা রেখেছে।

নায়িকা বদলে ফেলে এক্স হ্যান্ডলে সন্দীপ লিখেছেন, ‘অবশেষে স্পিরিট-এর নায়িকা চূড়ান্ত হলো’। অবশ্য তাঁর পোস্টে নায়িকার নাম উল্লেখ করেননি। কিন্তু হালের আলোচিত তারকা তৃপ্তি সেই পোস্ট শেয়ার করায়, আসল ঘটনা অনেকে বুঝে ফেলেছেন। বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে, তৃপ্তি যখন সন্দীপকে ট্যাগ করে লিখেছেন, ‘আমাকে এই জার্নিতে ভরসা এবং বিশ্বাস করার জন্য ধন্যবাদ। আমি কৃতজ্ঞ এই ছবির অংশ হতে পেরে।’ 

উল্লেখ্য, সন্দীপের পরিচালনায় ‘অ্যানিম্যাল’ সিনোময় অভিনয় করে দর্শক হৃদয়ে ঝড় তুলেছিলেন তৃপ্তি। যার সুবাদে তৃপ্তি শুরু থেকেই ছিলেন পরিচালকের সুনজরে। ‘স্পিরিট’-এ দীপিকার বাদ পড়ায় তা আবারও প্রমাণ হলো।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাড়া দেয়নি সরকারি দপ্তর ভাঙন রোধে স্বেচ্ছাশ্রম

বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে কুমিল্লার তিতাসে গোমতী নদীর ভাঙন রোধের চেষ্টা করছেন গ্রামবাসী। তাদের অভিযোগ, বারবার সরকারি দপ্তরে যোগাযোগ করেও বাঁধ সংস্কারে কোনো সাড়া পাননি তারা। এ অবস্থায় নিজেদের টাকায় জিওব্যাগ কিনে বালু ভরে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছেন নারান্দিয়া ইউনিয়নের গোমতী নদীর পশ্চিম পাড়ের বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে গোমতীর দুই পাশে ভাঙন দেখা দিলেও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, তিতাস উপজেলার প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে গোমতী নদী। প্রতি বছর ভারতীয় পানির ঢলে গোমতী নদীর দুই তীরে ভাঙন দেখা দেয়। গত ৩০ বছর ধরে গোমতীর ভাঙন চলছে এই এলাকায়। তবে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বা স্থানীয় প্রশাসনের নেই কোনো স্থায়ী উদ্যোগ। গত ৬-৭ বছরে সামান্য কিছু জিওব্যাগ ও ব্লক নদীর পাড়ে ফেলা হলেও তা সঠিক জায়গায় পড়েনি। ক্রমাগত ভাঙনে বিলীন হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও গাছ-গাছালি। অনেকে আবার বাপ-দাদার ভিটাবাড়ি হারিয়ে অন্য স্থানে নিয়েছেন আশ্রয়। এ অবস্থায় ভাঙনকবলিত এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা পানি উন্নয়ন বোর্ডে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। পরে নিজেদের অর্থে ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
সরেজমিন দেখা গেছে, নারান্দিয়া ইউনিয়নের গোমতী নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রায় ৩০০ মিটার জায়গায় জিওব্যাগ ফেলেছেন গ্রামবাসী। এভাবে ঘরবাড়ি, রাস্তা ও ফসলি জমি রক্ষার চেষ্টা করছেন নদীর তীরবর্তী মানুষ। এ বাঁধ নির্মাণে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন গ্রামবাসী।
ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন বলেন, ভাঙনরোধে বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়ে নিজেদের উদ্যোগেই কাজ করছেন তারা। গ্রামবাসীর কাছ থেকে টাকা তুলে জিওব্যাগ কিনে বালু ভরে নদীতে ফেলছেন। কিন্তু যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন তা জোগাড় করতে পারছেন না।
নারান্দিয়া পশ্চিম পাড়ের বালিয়াকান্দি গ্রামের হোসেন আলী মাস্টার জানান, গত বন্যার পর থেকে বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেন তারা। কিন্তু কোনো কাজ না হওয়ায় গ্রামবাসী নিজেরা টাকা উঠিয়ে বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন, আপাতত ৩০০ মিটার বাঁধ সংস্কার করছেন। এই সংস্কার করতে ২০-২৫ লাখ টাকা লাগবে, কিন্তু টাকা উঠেছে মাত্র ১৫ লাখ। নদীর মধ্যে বালুভর্তি বস্তা ফেলতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামানের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, ভাঙনরোধে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো পুনর্নির্মাণের জন্য অনেক আগেই একটি প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে এটির কোনো অগ্রগতি নেই। প্রকল্পটি পাস হলে নদীভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ সম্পাদন করা হবে, বর্তমানে কোনো বরাদ্দ নেই। তারপরও জরুরি ভিত্তিতে কিছু কাজ করার চেষ্টা থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ