ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে নাহিদ-জারার সাক্ষাৎ
Published: 28th, May 2025 GMT
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা।
বুধবার (২৮ মে) হাইকমিশনারের সঙ্গে এনসিপির নেতাদের বৈঠকের তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ হাইকমিশন।
হাইকমিশন জানিয়েছে, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবে নাহিদ ইসলাম এবং তাসনিম জারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠকে বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন এবং গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে অগ্রযাত্রা নিয়ে আলোচনা হয়।
ঢাকা/হাসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভিন্ন রাজনৈতিক মত দেখলেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে শিবির: গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ
সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাম কিংবা ছদ্মনামে পরিচালিত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহিংসতা, উস্কানি ও নারীঘৃণার মতো বর্বর আচরণ বারবার সামনে আসছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।
তারা বলেছে, ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর যে আকাঙ্ক্ষা ছাত্রসমাজ ধারণ করেছিল, সেই চেতনার সাথে শিবিরের বর্তমান অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী। নামে বেনামে বিভিন্ন সংগঠনের আদলে এই দায় এড়ানোর রাজনীতিকে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ প্রত্যাখ্যান করে।
বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রসংসদের মুখপাত্র আশরেফা খাতুন বলেন, পতিত স্বৈরাচারের সহযোগী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ যেভাবে বিরোধী মতাদর্শের কর্মসূচিতে সংঘর্ষে জড়াতো এবং সহিংসতা চালাতো, ইসলামী ছাত্রশিবিরও বর্তমানে একই কায়দায় নামে বেনামে সংগঠনের ব্যানারে কর্মসূচি দিয়ে ফ্যাসিবাদী ছাত্ররাজনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, “বিগত স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী শাসনের আমলে ইসলামী ছাত্রশিবির নিজেই রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়েছিল। সেই ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমরা বলি— মজলুম থেকে জালিমে পরিণত হওয়ার এই বিবর্তন শুধু দুঃখজনকই নয়, ছাত্রসমাজের প্রতি একধরনের বিশ্বাসঘাতকতা।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিবির ভিন্ন রাজনৈতিক অবস্থান দেখলেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে এবং সংঘবদ্ধভাবে ক্যাম্পাসে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও গুপ্তচর-রাজনীতির চর্চা করছে। এটি গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ও স্বাভাবিক শিক্ষাব্যবস্থার পরিপন্থী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মিছিলে হামলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরোধী মতের কর্মসূচিতে ধারাবাহিক বাধা এবং চট্টগ্রামে এক ছাত্রীকে পা দিয়ে আঘাত করে ফেলে দেওয়ার ঘটনাকে ছাত্রসংসদ রাজনৈতিক বিপজ্জনক রূপান্তরের নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেছে।
আশরেফা খাতুন আরও বলেন, “গুপ্ত রাজনীতি চর্চা, গুপ্ত এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং নামে-বেনামে বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের প্রবণতা ছাত্ররাজনীতির জন্য মারাত্মক হুমকি। আমরা মনে করি, ছাত্ররাজনীতি হবে উন্মুক্ত, মতপ্রকাশ থাকবে মুক্ত এবং গণতান্ত্রিক ভিন্নতা হবে সম্মানিত।”
সংগঠনটি প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংগঠিত সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে, দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং শিক্ষাঙ্গনকে উগ্রবাদ ও সহিংসতা থেকে মুক্ত রাখতে সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করতে হবে।
ছাত্রসংসদ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে গুপ্ত রাজনৈতিক চর্চা থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, “এখনই সময়, ঐক্যবদ্ধভাবে ক্যাম্পাসজুড়ে সকল প্রকার উগ্রতা, গুপ্তচর রাজনীতি এবং গণতন্ত্রবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার।”