তারুণ্যের সমাবেশে রিপন-পাপ্পুর নেতৃত্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের শোডাউন
Published: 28th, May 2025 GMT
ঢাকা-সিলেট-ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগের সমন্বয়ে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের অধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রিপন সরকার ও সদস্য সচিব রেদোয়ান হোসেন পাপ্পুর নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের একটি বিশাল শোডাউন নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে।
রাজধানীর রাজউক ভবনের সামনে থেকে অন্তত দেড় হাজার নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (২৮ মে) দুপুর দুইটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এ সময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের মুখে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো নয়াপল্টনের আশ-পাশ।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম মাষ্টার, যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির, নুরুল ইসলাম, সুহিন, সেলিম প্রধান, কর্ণেল, সদস্য ইউসুফ মোল্লা স্বপন, রিয়াজুল ইসলাম, সোহাগ, আলামিন শেখ, ইকবাল, প্রিন্স, ইব্রাহীম, হীরা, মিজান, শাহ আলম, আলামিন জমাদ্দার ও সুমনসহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
৪০ মণের ‘যুবরাজ’কে ঘরের বাইরে নিতে হবে দেয়াল ভেঙে
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের খামারিরা যখন ব্যস্ত তাদের সেরা পশু প্রস্তুত করতে, তখন পঞ্চগড়ে আলোচনায় এসেছে বিশালাকৃতির একটি ষাঁড়। এর নাম রাখা হয়েছে ‘যুবরাজ’। নাম যেমন রাজকীয়, আকৃতিও তেমনই বিশাল। তার ওজন প্রায় ৪০ মণ, দৈর্ঘ্য ১১ ফুট আর উচ্চতা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি।
শুধু ওজন বা আকার নয়, যুবরাজকে ঘিরে স্থানীয় মানুষের কৌতূহলের বড় কারণ হলো—তাকে ঘরের দরজা দিয়ে বের করা যাবে না, ভাঙতে হবে দেয়াল। গরুটি জন্ম থেকে বেড়ে উঠেছে একটি ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে। কখনো বাইরে যায়নি। বিশাল আকৃতি হওয়ার কারণে এবার তাকে কোরবানির হাটে নিতে হলে দেয়াল ভেঙেই বের করতে হবে।
পঞ্চগড় পৌর শহরের কাগজিয়া পাড়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবুল কাশেম আবু এবং তার স্ত্রী সানোয়ারা খাতুন চার বছর ধরে সন্তানের মতো লালন-পালন করেছেন যুবরাজকে।
আরো পড়ুন:
প্রতিদিন হাজার টাকার খাবার খায় ১১০০ কেজির ‘জেট ব্ল্যাক’
দিনাজপুরে প্রস্তুত ৪ লাখ কোরবানির পশু
তারা জানিয়েছেন, যুবরাজকে প্রতিদিন দুইবার গোসল এবং ১৫ কেজির বেশি খাবার দিতে হয়। এর মধ্যে আছে- ধানের কুঁড়া, খৈল, ছোলার ভুসি, খড়, ঘাস ও লবণ। এত যত্নে ও ভালোবাসায় গড়া ষাঁড়টি তাদের কাছে শুধু একটা পশু নয়, যেন পরিবারের এক সদস্য।
এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্যই যুবরাজকে প্রস্তুত করেছেন আবুল কাশেম। যুবরাজের দাম হাঁকিয়েছেন ১৫ লাখ টাকা।
আবুল কাশেম বলেছেন, ওকে (যুবরাজ) বিক্রি করতে মন চায় না। তবে, বাস্তবতা অন্য কথা বলে। চার বছর ধরে নিজের হাতে খাইয়ে বড় করেছি। রাসায়নিক কিছু দিইনি, পুরোপুরি প্রাকৃতিক উপায়ে বড় করেছি।
প্রায় সাত বছর আগে একটি গাভি কিনে শুরু হয়েছিল আবুল কাশেমের গরু পালন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা পরিণত হয়েছে ২৮টি গরুর সফল খামারে। আবুল কাশেম নিজে গোয়ালঘরে সময় দেন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। পরিচর্যা, খাওয়ানো, চিকিৎসা—সবই করেন নিজ হাতে।
আবুল কাশেমের স্ত্রী সানোয়ারা খাতুন বলেছেন, বাড়িতে পালন করা একটি গাভি থেকে চার বছর আগে এই বাছুর পেয়েছিলাম। ঘরের ভেতরেই জন্ম। ওর যত্ন করেছি সন্তানের মতো। জন্মের সময় থেকেই বাছুরটির শারীরিক গঠন ভালো ছিল। কোনোদিন বাইরে বের হয়নি। এখন দরজা দিয়ে আর বের হয় না। কষ্ট হলেও দেয়াল ভেঙে বের করতে হবে।
প্রতিবেশী শফিজ উদ্দীন বলেন, কাশেম অনেক যত্নবান। পশুগুলোকে তিনি সন্তানের মতো দেখেন। খামারটাও খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। যুবরাজকে বিক্রি করে ভালো দাম পেলেই তার কষ্ট স্বার্থক হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন বলেছেন, পঞ্চগড় জেলায় ১১ হাজার খামার আছে। এ জেলায় কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদা আছে ১ লাখ ২৫ হাজারের মতো। এর বিপরীতে প্রস্তুত আছে অন্তত দেড় লাখ পশু।
তিনি বলেন, পঞ্চগড়ে প্রায় ২৫ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থেকে যেতে পারে। এসব পশু দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চাহিদা মেটাতে সহায়ক হবে।
মো. বাবুল হোসেন বলেন, কাগজিয়া পাড়ার যুবরাজ সর্বোচ্চ সুঠাম দেহের অধিকারি। আশা করছি, কোরবানির পশুর হাটে যুবরাজ ষাঁড়ের মালিক ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন।
ঢাকা/রফিক