ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে যাওয়ার সময় ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া যেসব লোক তাদের পরিত্যাক্ত বাড়িতে খাদ্য সংগ্রহের জন্য যাওয়ার চেষ্টা করছে তাদেরও গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। বুধবার আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

বুধবার দক্ষিণ রাফাহতে ত্রাণ বিতরণের সময় হুড়াহুড়ি হয়। ওই সময় বিতরণ কেন্দ্রের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করলে ছয় ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় সরকারি মিডিয়া বিভাগের প্রধান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, শুধু ত্রাণবিতরণ কেন্দ্রেই নয়, অন্যান্য এলাকায় খাবার সংগ্রহের চেষ্টা করার সময়ও মানুষ হত্যার শিকার ও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গাজা শহরের শুজাইয়া পাড়ায় দুজন ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বাড়িতে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় তাদের হত্যা করা হয়েছে।

নিহতদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গত কয়েক সপ্তাহে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল; তারা সবকিছু পিছনে ফেলে এসেছিল - তাদের সব জিনিসপত্র, তাদের সব খাদ্য সরবরাহ ঘরের ভিতরে ছিল। তারা দুই ব্যাগ আটা সংগ্রহ করার জন্য বাড়িতে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। ওই সময় দুজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স গ রহ ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

জামালপুর শহরে সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরে ঢোকে পানি, দুই শতাধিক পরিবারের ভোগান্তি

জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রার পলাশতলা এলাকায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বুধবারবেলা দুইটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, জলাবদ্ধতায় দুই শতাধিক পরিবার চরম দুর্ভোগে আছেন।

‘পলাশতলার সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রা রেলক্রসিংয়ের সামনে পলাশতলা এলাকাটির অবস্থান। জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ মহাসড়ক থেকে একটি সংযোগ সড়ক এলাকাটির দিকে ঢুকেছে। ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের ভাষ্য, বর্ষা মৌসুমে তাঁদের বানভাসির মতো বসবাস করতে হয়। এলাকার সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনপ্রতিনিধি ও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চান তাঁরা।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এলাকাটিতে সামান্য বৃষ্টি হলে আঙিনা উপচে কয়েকটি ঘরে পানি ঢোকে। পানি মাড়িয়ে যাবতীয় কাজ সারতে হয়। যেকোনো কাজে বাইরে গেলে নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। ফলে তাঁরা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় চার বছর ধরে এমন অসহনীয় জলাবদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে তাঁদের বসবাস করতে হচ্ছে।

শহিদুল্লাহ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, গত চার বছর ধরে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার বানভাসির মতো বসবাস করছেন। জলাবদ্ধতার সমস্যা নিয়ে বহুবার পৌরসভাসহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। দীর্ঘ সময় ধরে পানি থাকায়, অনেকের হাত-পায়ে পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে পলাশতলার জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জামালপুর পৌরসভার প্রশাসক এ কে এম আবদুল্লাহ-বিন-রশিদ। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় আমি নিজে গিয়ে দেখে আসছি। যেসব স্থানে পানি আটকে আছে, সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই এলাকার পানি সরাতে ইতিমধ্যে পৌরসভার অন্য কর্মকর্তারা কাজ করছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ