আইপিএলে জরিমানাও কোটি টাকা, বড় ক্ষতি কার
Published: 29th, May 2025 GMT
এবারের আইপিএলে নিলামের দিন থেকেই ব্যাপক আলোচনায় ঋষভ পন্ত। আইপিএল–রেকর্ড ২৭ কোটি রুপিতে বিক্রি হওয়ায় এই ক্রিকেটারের দাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে প্রতিনিয়ত। মজার বিষয় হচ্ছে, ২০২৫ আইপিএলে একক খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বেশি জরিমানাও দিতে হয়েছে পন্তকেই।
শুধু পন্তই নন, ভালো অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হার্দিক পান্ডিয়া, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর রজত পতিদারকেও। আবার কম পারিশ্রমিকের দিগ্বেশ রাঠিকেও বড় অঙ্কের অর্থদণ্ডই দিতে হয়েছে।
১০ দলের আইপিএলে লিগ পর্ব পর্যন্ত হয়েছে ৭০ ম্যাচ। এই ম্যাচগুলোতে দলগুলোর খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের সদস্যরা দুটি কারণে অর্থদণ্ড পেয়েছেন। একটি হচ্ছে স্লো ওভার রেট, আরেকটি আচরণবিধির লঙ্ঘন। এর মধ্যে স্লো ওভার রেটেই জরিমানা হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
একটি দল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পারলে দায় প্রধানত অধিনায়কের। যে কারণে কোনো দল টুর্নামেন্টে প্রথমবার স্লো ওভার রেটের অপরাধ করলে শুধু অধিনায়ককে জরিমানা করা হয়। একই ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটলে অধিনায়কের জরিমানা দ্বিগুণ করা হয়, পাশাপাশি ওই ম্যাচের সব ক্রিকেটারের ম্যাচ ফির একটি অংশ জরিমানা করা হয়। তৃতীয়বার ঘটলে অধিনায়ক ও খেলোয়াড়দের জরিমানার পরিমাণ আরও বাড়ে।
স্লো ওভার রেটের কারণে একাধিকবার জরিমানা সবচেয়ে বেশি হয়েছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক পন্ত ও তাঁর সতীর্থদের। ১০ দলের মধ্যে সপ্তম হয়ে প্লে–অফের আগে বাদ পড়া দলটি মোট ৩টি ম্যাচে নির্দিষ্ট সময়ে ওভার শেষ করতে পারেনি। এর দুটিই মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে, একটি বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে।
দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি জরিমানা গুনতে হয়েছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।