নগর ভবনজুড়ে তালা, সেবা কার্যক্রম বন্ধ
Published: 29th, May 2025 GMT
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের অচলাবস্থা ১৪ দিনেও কাটেনি। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে শপথের দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তাঁর সমর্থকরা। নগর ভবনের মূল ফটক আটকানোর পাশাপাশি সব বিভাগের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় গতকাল বুধবারও বন্ধ ছিল সেবা কার্যক্রম।
এদিকে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট জারির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বক্তব্য জানতে চেয়েছেন আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ গতকাল এ দিন ধার্য করেন। এ ছাড়া ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলও একই দিন শুনানির জন্য রাখা হয়েছে।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল থেকে নগর ভবন চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইশরাক সমর্থক ও করপোরেশনের শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মচারীরা। এতে বন্ধ ছিল নগর ভবনকেন্দ্রিক সেবা কার্যক্রম। মূল ফটকে তালা লাগানোর পাশাপাশি নগর ভবনের ফটকগুলোতে এখনও তালা ঝুলছে। সেবাপ্রার্থীরা সেবা না পেয়ে ফিরে যান।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ডিএসসিসির শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, দু’দফা আদালত রায় দেওয়ার পরও ইশরাক হোসেনকে শপথ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা তাঁকে মেয়র হিসেবে পেতে চাই। এ দাবিতেই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ডিএসসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে।
এর পর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাঁকে যেন শপথ পড়ানো না হয়, সে জন্য গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট করা হয়। এ পরিস্থিতিতে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গত ১৪ মে থেকে আন্দোলনে নামে ইশরাক সমর্থকরা। তবে আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। রিট মামলার ওপর কয়েক দফা শুনানির পর বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড এসস স নগর ভবন ড এসস স ইশর ক
এছাড়াও পড়ুন:
নগর ভবনজুড়ে তালা, সেবা কার্যক্রম বন্ধ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের অচলাবস্থা ১৪ দিনেও কাটেনি। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে শপথের দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তাঁর সমর্থকরা। নগর ভবনের মূল ফটক আটকানোর পাশাপাশি সব বিভাগের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় গতকাল বুধবারও বন্ধ ছিল সেবা কার্যক্রম।
এদিকে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট জারির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বক্তব্য জানতে চেয়েছেন আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ গতকাল এ দিন ধার্য করেন। এ ছাড়া ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলও একই দিন শুনানির জন্য রাখা হয়েছে।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল থেকে নগর ভবন চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইশরাক সমর্থক ও করপোরেশনের শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মচারীরা। এতে বন্ধ ছিল নগর ভবনকেন্দ্রিক সেবা কার্যক্রম। মূল ফটকে তালা লাগানোর পাশাপাশি নগর ভবনের ফটকগুলোতে এখনও তালা ঝুলছে। সেবাপ্রার্থীরা সেবা না পেয়ে ফিরে যান।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ডিএসসিসির শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, দু’দফা আদালত রায় দেওয়ার পরও ইশরাক হোসেনকে শপথ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা তাঁকে মেয়র হিসেবে পেতে চাই। এ দাবিতেই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ডিএসসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে।
এর পর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাঁকে যেন শপথ পড়ানো না হয়, সে জন্য গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট করা হয়। এ পরিস্থিতিতে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গত ১৪ মে থেকে আন্দোলনে নামে ইশরাক সমর্থকরা। তবে আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। রিট মামলার ওপর কয়েক দফা শুনানির পর বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।