পাকিস্তানভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশের কার্যক্রম কিনে নিচ্ছে ব্যাংক এশিয়া। এ লক্ষ্যে ব্যাংক দুটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।

এর আগেই বাংলাদেশে পাকিস্তানি ব্যাংকটির কার্যক্রম, সম্পদ ও দায় ব্যাংক এশিয়া কর্তৃক অধিগ্রহণের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে ব্যাংক আলফালাহর পরিচালনা পর্ষদ। আজ দেশের বিভিন্ন দৈনিকে এই সমঝোতা স্মারকের তথ্য সংবলিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

গতকাল ২৮ মে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যাংক অব পাকিস্তানের অনুমোদন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করে ব্যাংক এশিয়া। প্রতিষ্ঠার পর এ নিয়ে তৃতীয়বার কোনো বিদেশি ব্যাংকের বাংলাদেশ শাখা কিনে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। এর আগে কানাডাভিত্তিক নোভা স্কোটিয়া ও পাকিস্তানের আরেক ব্যাংক মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যক্রম অধিগ্রহণ করেছিল ব্যাংক এশিয়া।

এর আগে ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ শাখা কিনতে চেয়েছিল শ্রীলঙ্কার হাটন ন্যাশনাল ব্যাংক। এ লক্ষ্যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হাটন ন্যাশনাল ব্যাংককে আলফালাহর বাংলাদেশ শাখার কার্যক্রম খতিয়ে দেখার অনুমোদন দিয়েছিল।

কিন্তু হাটন ন্যাশনাল ব্যাংক শেষমেশ মতি পরিবর্তন করে। তারা এই প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ায়। ব্যাংক আলফালাহ অবশ্য আগেই জানিয়েছিল, হাটন ন্যাশনাল ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার অনুমোদন দেওয়ার আগে ব্যাংক এশিয়ার সঙ্গেও আলোচনার অনুমিত দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই আলোচনা চলমান থাকতেই হাটন ন্যাশনাল ব্যাংকের সঙ্গেও আলোচনার অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর গতকাল ব্যাংক এশিয়ার সঙ্গে তারা সমঝোতা স্মারক সই করল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক আলফ ল হ ন র অন ম স ম রক সমঝ ত

এছাড়াও পড়ুন:

ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফারাবীর জামিন

ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শফিউর রহমান ফারাবী অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ জামিন দেন।

বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন ফারাবী। ২০২২ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। বিচারাধীন আপিলে জামিন চেয়ে আবেদন করেন ফারাবী, যা আজ আদালতের কার্যতালিকায় ১৭৯ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

আদালতে ফারাবীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মুহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খান শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. এমরান খান।

পরে আইনজীবী মুহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১৫ সালের ৩ মার্চ থেকে কারাগারে আছেন ফারাবী। ফারাবী ১৬৪ ধারায় কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। মামলায় চারজন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের কেউই ফারাবীর নাম উল্লেখ করেননি। তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কোনো সাক্ষীর বক্তব্যেও তাঁর নাম আসেনি। এসব যুক্তিতে ফারাবীর জামিন চাওয়া হয়। বিচারাধীন আপিলে ফারাবীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।’

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় অভিজিৎকে। হামলায় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদও গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই মামলায় ২৮ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।

এই মামলায় ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান রায় দেন। রায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক আসামিকে (শফিউর রহমান ফারাবী) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই হাইকোর্টে আপিল করেন ফারাবী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ