কানে প্রশংসিত রাজীবের ‘আলী’, হঠাৎ কেন ইরফানের ‘আলী’ সিনেমার ঘোষণা
Published: 29th, May 2025 GMT
বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব ‘কান’-এ স্পেশাল মেনশন পেয়েছে আদনান আল রাজীবের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘আলী’। উৎসবে এটি দর্শক প্রশংসা পেয়েছে। চলচ্চিত্রের সাফল্যে যখন সবাই উচ্ছ্বসিত এর ঠিক পরদিনই ‘আলী’ নামের পূর্ণদৈর্ঘ্য একটি সিনেমার পোস্টার প্রকাশ পাওয়ায় অনেকেই দ্বিধায় পড়ে গেছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন করেছেন এ আবার কোন ‘আলী’? এটিই কী কান উৎসবে পুরস্কৃত হলো। পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা আলীর নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ছোটপর্দার তারকা অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘আই অ্যাম লাভ উইথ দিস ক্যারেক্টার।’ এর মাধ্যমে ‘আলী’ সিনেমায় কাজের ইঙ্গিত দেন তিনি।
তখন ওই অভিনেতা সমকালকে বলেছিলেন, ‘‘গত দুই বছর পারিবারিক কারণে ছোটপর্দার কাজ থেকে একেবারে দূরে ছিলাম; যে জন্য দর্শক আমাকে টিভিপর্দায় কমই দেখেছেন। বেশ বিরতির পর বিপ্লব হায়দারের ‘আলী’ নামের একটি সিনেমায় অভিনয় করছি। এ সিনেমায় শুটিংয়ের জন্য গত তিন মাস নতুন কোনো কাজ করিনি।’’
আলী সিনেমাটি আসছে ঈদে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও সিনেমাটির এখন সেন্সর সার্টিফিকেটে মেলেনি। প্রায় দুই বছর আগের একটি কাজের প্রচারণায় হঠাৎ কেন নামলেন নির্মাতা। সেন্সর সার্টিফিকেট হাতে না পেয়ে এ কেমন প্রচারণা। এ প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ। ঈদের বেশি বাকি নেই। এখন প্রকাশ পাচ্ছে ঈদ সিনেমার পোস্টার, ট্রেইলার ও টিজার। এই ঢামাডোলের মধ্যে এলো ‘আলী’র পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার লুক পোস্টার। এতেও অনেকে ভেবে নিয়েছেন ‘আলী’ ঈদেরই সিনেমা। ফলে দ্বিধা আরও বেড়েছে।
সিনেমাটির মুক্তি এখনও অনিশ্চত। তাহলে কী কানে পুরস্কৃত হওয়া আলী নামের ইমেজকে কাজে লাগাতে হঠাৎ লুক পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। এমন ভাবনাও ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে। পূর্ণদৈর্ঘ্য ‘আলী’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন বিপ্লব হায়দার। চিত্রনাট্যও লিখেছেন তিনি।
এ বিষয়ে নির্মাতা বিপ্লব হায়দার বলেন, ‘সিনেমাটি ঈদে মুক্তি পাবে এটি অনেক আগ থেকেই বলে আসছি। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি চলছে। এটি ঈদে মুক্তির ব্যাপারে ৯০ ভাগ আশাবাদী। এর প্রচার-প্রচারণার দায়িত্বে রয়েছে অ্যাডকম। তারাই সব কিছু দেখভাল করছে। ঈদে তো অনেক সিনেমা মুক্তি পাবে শুনেছি। সিনেমা মুক্তি দিলে ভেবেচিন্তে দিতে হবে। আলী অসাধারণ গল্পের একটি সিনেমা, নির্মাণেও ছিল যত্নের ছাপ। এটি যদি মানুষ হলের সংকটের কারণে দেখতে না পারেন তাহলে তো মুশকিল। সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে কিনা তা আজ বৃহস্পতিবার বুঝতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন, কানে আলী পুরস্কার পাওয়ার পর আমি পোস্টার দিয়েছি। বিষয়টি তা নয়। সিনেমাটি শুরু করেছি দেড় বছর আগে। রাজীব [আদনান আল রাজীব] কবে নাগাদ শুট করেছে আমি জানি না। এর লুকে পোস্টার এক সপ্তাহ আগেও প্রকাশ করার কথা ছিল। ডিজাইনার পোস্টার দিতে দেরি করার কারণে তা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সিনেমাটি সেন্সরের জন্য জমা দিয়েছি অনেক আগে। এটি এখন মন্ত্রণালয়ে আছে। হয়তো শিগগিরই সেন্সর সার্টিফিকেট হাতে পাবো বলে আশা করছি।’
ইরফান সাজ্জাদ বলেন, ‘আদনান আল রাজীব ভাই আলী নামে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন– এটি আমাদের জানা ছিল না। সিনেমার দৃশ্য ধারণ শেষ হয়েছে বেশি দিন হয়নি। তবে অস্বীকার করার কারণ নেই, বিষয়টি সাংঘর্ষিক হয়েছে। হয়তো আরও কিছুদিন পরে পোস্টারটা রিভিল করলে ভালো হতো।’
এ বিষয়ে বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা মতিন রহমানের ভাষ্য, ‘শুনেছি আলী নামে দুটি চলচ্চিত্র হয়েছে। একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও অন্যটি পূর্ণদৈর্ঘ্য। একই দৈর্ঘ্যের হলে সমস্যা হতো। একটি সিনেমা নির্মাণ করলে তো এফডিসি থেকে নাম নিবন্ধন নিতে হয়। এন্ট্রি করে নিলে তো নামটা তার জন্য প্রযোজ্য। স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে না। সুতরাং এটি নিয়ে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব হওয়ার অবকাশ নেই। এটি যদি মুক্তির জন্য তৈরি হয় তাহলে তো অনেক আগ থেকেই নির্মাতার পরিকল্পনা ছিল। একটি নামে দুটি সিনেমা হতেই পারে। এতে কোনো সমস্যা দেখছি না।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইরফ ন স জ জ দ আদন ন আল র জ ব চলচ চ ত র প রক শ র জন য কর ছ ন ইরফ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।