কাঠবাদাম না আখরোট- কোনটিতে স্মৃতিশক্তি বাড়বে
Published: 29th, May 2025 GMT
অনেকেই আছেন ঘন ঘন সব কিছু ভুলে যান। এমন হলে বুঝতে হবে তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। এই সমস্যা জীবনে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। এ কারণে ছোটবেলা থেকেই স্মৃতিশক্তি বাড়াতে প্রতিদিন বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কাঠবাদাম শরীরের জন্য উপকারী। এর পাশাপাশি, আখরোটও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ভালো কাজ করে।
কাঠবাদাম এবং আখরোট-দুটি বাদামই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করতে কোন বাদাম বেশি উপকারী তা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। এ ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।
কাঠবাদাম এবং আখরোট উভয়ই স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। তবে,কাঠবাদামের তুলনায় আখরোটে দ্বিগুণ পরিমাণে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় এটি বেশি কার্যকর। ওমেগা থ্রি মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি, এটি স্মৃতিশক্তি এবং ঘনত্ব বাড়াতেতেও সাহায্য করে। যদি আপনি প্রায়ই সব কিছু ভুলে যান তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় আখরোট অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
প্রতিদিন কয়টি আখরোট খাবেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে প্রতিদিন ২-৪টি আখরোট খাওয়া উচিত। যে কোনও সময় আখরোট খাওয়া যায়, তবে সকালে খাওয়াই ভাল বলে মনে করা হয়। সারা রাত ভিজিয়ে রাখার পর সকালে কাঠবাদাম খেলে এর উপকার দ্বিগুণ হয়।
কোন খাবার স্মৃতিশক্তি বাড়াবে?
আখরোটই কেবল আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়ায় না, এর পাশাপাশি, আরেক অনেক খাবার আছে যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে সবুজ শাকসবজি, চিনা বাদাম, হলুদ, বেরি, ডিম, ব্রকোলি এবং ডার্ক চকলেট উল্লেখযোগ্য। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এসব খাবার মস্তিষ্কের কোষগুলিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ য য কর উপক র
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় বাড়ছে গোমতী নদীর পানি
নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাতে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বাড়ছে। তবে তা এখনও বিপৎসীমার অনেক নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি সমকালকে জানান, টানা বর্ষণ এবং ভারত থেমে আসা পানিতে গোমতীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রন কক্ষ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ১০৪ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোমতী নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৬ দশমিক ৮১ মিটার। যদিও বিপৎসীমা নির্ধারিত আছে ১১ দশমিক ৩০ মিটার। নদীর পানির উচ্চতাসীমা এখনও বিপৎসীমার ৪.৪৯ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতে কুমিল্লা রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে নগরীর অধিকাংশ প্রধান পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। জলাবব্ধতার সৃষ্টি হয় নগরীর বেশ কিছু এলাকায়। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে জনজীবনে। পানি ঢুকে পড়েছে বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও। শুক্রবার সকাল থেকে সরেজমিন নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুমিল্লা সিটি কপোরেশনে সামনের সড়ক, রেইসকোর্স, বিসিক শিল্পনগরী, জিলা স্কুল সড়ক, নগরীর টমছম ব্রিজ থেকে কান্দিরপাড় সড়ক, ঠাকুরপাড়া, মুরাদপুর, ছাতিপট্টি, কান্দিরপাড়-রাণীর বাজার সড়ক, অশোকতলা, ধর্মপুর ছায়া বিতান ও শুভপুরসহ নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। অনেকেই ড্রেনে পড়ে আহত হন।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সভাপতি রোকেয়া বেগম শেফালী বলেন, নগরীতে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই জলাবব্ধতার সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতামুক্ত নগরীর জন্য নাগরিক ও নগর কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল হতে হবে। পানি প্রবাহের ড্রেন ও খাল গুলি এখনই খনন করতে হবে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন সমকালকে বলেন, গত দুই দিনের হঠাৎ বৃষ্টিতে নগরীর বেশ কিছু সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। এতে সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা পানি সরাতে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, নগরীর পানি প্রবাহের প্রধান প্রধান বড় বড় ড্রেন ও খালের মাটি অপসারণে ৯ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ঈদের পর কাজ শুরু হবে।