‘রেহানা মরিয়মন নূর’ দিয়ে তুমুল আলোচনায় থাকা আজমেরি হক বাঁধনকে অনেক দিন ধরেই সিনেমায় দেখা যাচ্ছিল না।  তবে সিরেজে দেখা গিয়েছে। কিন্তু সিনেমা নেই কেনো? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই ছিল। তবে দেশের নানা ইস্যুতে আলোচনায় ছিলেন তিনি। ছিলেন না কেবল সিনেমায়। কিন্তু  এভাবে আর কতদিন? বাঁধনকে তো সিনেমায় থাকতে হবে, অভিনয়ে থাকতে হবে। ১ মিনিটের টিজারে প্রকাশ করে বাঁধন জানিয়ে দিলেন তিনি সিনেমায় ছিলেন, আছেন, থাকবেন।  আসন্ন ঈদুল আজহায় ‘এশা মার্ডার’ সিনেমা দিয়ে দেখা হবে তার সঙ্গে। 

২০০৯ সালে ঢাকার আজিমপুরে ঘটে যাওয়া এক চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। সিনেমাটিতে একজন পুলিশ তদন্ত কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন। সম্প্রতি প্রকাশিত টিজারে দেখা যায়, অর্চনা গোপ, জেসমিন টিউলিপ এবং এশা জান্নাত নামের তিনজন মেয়ে একই জেলায় খুনসহ ধর্ষণের শিকার হন। যার তদন্তের দায়িত্ব পড়ে পুলিশ অফিসার বাঁধনের উপর!

সিনেমাটি শুরুর দিকে  বাঁধন বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে নারীর এমন চরিত্র দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। তাই সিনেমাটিতে কাজের সিদ্ধান্ত নিই।’ টিজার প্রকাশের সেই বাঁধন বললেন, টিজার দর্শকদের কমেন্ট পড়ছিলাম। ছোট করে বললে বলব, দর্শক সাড়া আমাকে ও আমাদের টিমকে বিমোহিত করেছে। বিলিভ মি, এবার ঈদের সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘এশা মার্ডার’-এর পার্র্থক্য দর্শকরা সিনেমা হলেই ধরতে পারবেন। আমি নিশ্চিত আমাদের সিনেমা তার আনপ্রেডিক্টেবল স্টোরি লাইন-আপ দিয়ে দর্শকদের বিনোদিত করবে।

সিনেমাটির কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক সানী সানোয়ার বলেন, জীবন-জীবিকা, প্রেম, খুন আর মানবীয় আবেগের একটি উপখ্যান তৈরির চেষ্টা করেছি। কতটুকু পেরেছি তা দর্শকরাই বলবেন। টিজারে গল্পের খুব অল্প আবেশই রেখেছি।

লাক্স সুন্দরী হিসেবে পরিচিত এবং এশা ভূমিকায় অভিনয় করা পূজা এগনেস ক্রুজ বলেন, টিজার দেখে অনেকেই মুগ্ধতার কথা বলছেন। তবে, আমি পুরো সিমেনা দেখে মুগ্ধতা শোনার অপেক্ষায়। আমার বিশ্বাস, আমাদের টিম-ওয়ার্ক বিফলে যাবে না।

ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন– ফারুক আহমেদ, শরীফ সিরাজ, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুষমা সরকার, নিবির আদনান, হাসনাত রিপন, সরকার রওনক রিপন, শিল্পী সরকার অপু, এ কে আজাদ সেতু, ইশিকা সাকিন, সৈয়দ এজাজ আহমেদ প্রমুখ এবং স্পেশাল এপিয়ারেন্স দিয়েছেন মিশা শওদাগর ও সুমিত সেন গুপ্ত।

কপ ক্রিয়েশনের প্রযোজনায় নিমির্ত চলচ্চিত্রটিতে সহযোগী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত আছে বিঞ্জ এবং লিডস এন্টারটেইনমেন্ট। চলচ্চিত্রটি আসন্ন ঈদ-উল-আযহায় দেশব্যাপী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর ধাপে ধাপে বিশ্বের বিভিন্ন মুক্তির প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঈদ র স ন ম

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ