চবিতে বিআইসিএমর বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত, এমওইউ স্বাক্ষর
Published: 29th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগিতায় বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুষদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘ইনভেস্টমেন্ট ইন ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম আয়োজন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এফবিএ অডিটোরিয়ামে এ বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহিল ওয়ারিশ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
এনআরবিসি ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ১০০ শতাংশ
শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থান, কমেছে লেনদেন
বিশেষ অতিথি ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মাদ হায়দার আরিফ।
এ সময় আরো বক্তব্য দেন বিআইসিএম এর কোম্পানি সচিব এ এস এম সায়েম, ওয়ার্কশপ কনভেনর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আক্তার হোসেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফিন্যান্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ নেছারুল করিম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. ফিরোজা আক্তার খানম। এ সময় বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুষদের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিআইসিএম’র সহকারী অধ্যাপক জনাব ফয়সাল আহমেদ খান, প্রভাষক ইমরান মাহমুদ ও প্রভাষক গৌরব রায় বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রামের বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন।
বিআইসিএম নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজন করে থাকে।
এদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আগ্রহ সৃষ্টি ও বিনিয়োগে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতে তাদের পেশাগত উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিআইসিএম উক্ত বিভাগের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। এমওইউ-তে বিআইসিএম এর পক্ষে কোম্পানি সচিব এ এস এম সায়েম এবং ফিন্যান্স বিভাগের পক্ষে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষর করেন।
এ সময় প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, ফিন্যান্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নেছারুল করিম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মাদ হায়দার আরিফ ও বিআইসিএম এর সহকারী অধ্যাপক ফয়সাল আহমেদ খানসহ ফিন্যান্স বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এনটি/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
জামালপুর শহরে সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরে ঢোকে পানি, দুই শতাধিক পরিবারের ভোগান্তি
জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রার পলাশতলা এলাকায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বুধবারবেলা দুইটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, জলাবদ্ধতায় দুই শতাধিক পরিবার চরম দুর্ভোগে আছেন।
‘পলাশতলার সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রা রেলক্রসিংয়ের সামনে পলাশতলা এলাকাটির অবস্থান। জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ মহাসড়ক থেকে একটি সংযোগ সড়ক এলাকাটির দিকে ঢুকেছে। ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের ভাষ্য, বর্ষা মৌসুমে তাঁদের বানভাসির মতো বসবাস করতে হয়। এলাকার সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনপ্রতিনিধি ও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চান তাঁরা।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এলাকাটিতে সামান্য বৃষ্টি হলে আঙিনা উপচে কয়েকটি ঘরে পানি ঢোকে। পানি মাড়িয়ে যাবতীয় কাজ সারতে হয়। যেকোনো কাজে বাইরে গেলে নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। ফলে তাঁরা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় চার বছর ধরে এমন অসহনীয় জলাবদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে তাঁদের বসবাস করতে হচ্ছে।
শহিদুল্লাহ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, গত চার বছর ধরে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার বানভাসির মতো বসবাস করছেন। জলাবদ্ধতার সমস্যা নিয়ে বহুবার পৌরসভাসহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। দীর্ঘ সময় ধরে পানি থাকায়, অনেকের হাত-পায়ে পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে পলাশতলার জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জামালপুর পৌরসভার প্রশাসক এ কে এম আবদুল্লাহ-বিন-রশিদ। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় আমি নিজে গিয়ে দেখে আসছি। যেসব স্থানে পানি আটকে আছে, সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই এলাকার পানি সরাতে ইতিমধ্যে পৌরসভার অন্য কর্মকর্তারা কাজ করছেন।’