বিরাট কোহলির সঙ্গে ধারাভাষ্যকারদের সম্পর্কের উত্থান-পতন দেখা গেছে বারবার। কখনো কখনো কোহলি এর জবাবও দিয়েছেন। কোহলির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রতিও কি ধারাভাষ্যকারদের মনোভাব একটু বিরূপ? কে জানে!

তবে বেঙ্গালুরুর কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্স ধারাভাষ্যকারদের ওপর খেপেছেন। তাঁর দাবি, পাঞ্জাবের বিপক্ষে বেঙ্গালুরুর সর্বশেষ ম্যাচে দলটির বেশি সমালোচনা করেছেন ধারাভাষ্যকারেরা।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ডি ভিলিয়ার্স বলেছেন, ‘আমি ধারাভাষ্যকারদের কথা শুনছিলাম (লক্ষ্ণৌ-বেঙ্গালুরু), সত্যি বলতে কি, আমি খুব রেগে গিয়েছিলাম। আমরা যখন বোলিং করেছিলাম, তখন তারা অনেক নেতিবাচক ছিল। তারা বলতে থাকল, “আরসিবির বোলিং চাপে আছে। তারা এটা সামাল দিতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। আবারও একটা ফর্মে থাকা দল গতি হারাচ্ছে।” কিন্তু এটা তো ব্যাটিং উইকেটও হতে পারে। আপনারা যাঁরা খুব বুদ্ধিমান ভাষ্যকার, আপনাদের জন্য একটা প্রশ্ন, এটা যে ব্যাটিংয়ের জন্য অসাধারণ উইকেট ছিল, সেটা কেন বিবেচনা করছেন না?’

ডি ভিলিয়ার্স যোগ করেছেন, ‘আরসিবির বোলিং ইউনিট আবারও খারাপ ছন্দে আছে, তারা এটা বলে যেতে থাকল। আমি তখন ভাবছিলাম, কখনো কখনো ভাষ্যকারেরা একটা বর্ণনায় আটকে যায়। হ্যাঁ, আরসিবি কখনো শিরোপা জেতেনি, কিন্তু মাঠে কী ঘটছে, সেটা বিশ্লেষণ না করে যদি আপনি বারবার বলে যান, “আবারও সেই একই গল্প। বোলাররা ব্যর্থ, তারা কিছুই করতে পারছে না”, তাহলে এটি অলস প্রকৃতির বিশ্লেষণ হলো।’

আরও পড়ুনআইপিএল প্লে–অফের রেকর্ড সুবিধার নয়, এবার কী করবেন কোহলি৪ ঘণ্টা আগে

দিন শেষে সেই ম্যাচটি জিতেছিল বেঙ্গালুরু। লক্ষ্ণৌর দেওয়া ২২৭ রান ৮ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখেই তাড়া করে দলটি। যা বেঙ্গালুরুর তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স, ‘হ্যাঁ, মাঝেমধ্যে কিছু খারাপ বোলিং হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ বড় ছবিটা দেখতে হবে, যে উইকেটে সাধারণত বড় রান হয় না, সেখানে ২২৭ রান উঠেছে। তাতে প্রমাণিত হয়, এটি খুবই ভালো উইকেট ছিল। আরসিবি তখনো ম্যাচে ছিল; তারা উড়ে যায়নি, আর তারা সেটা প্রমাণও করেছে।’

আরও পড়ুনবাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজে ডিআরএস কেন নেই, কারণ কি জয় শাহ৫ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আরস ব উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’ গাওয়ার পর পালিয়ে থাকতে হয়েছিল

শিল্পীর সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ