পবিত্র ঈদুল আজহা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষ্যে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির ব্যাপারে সতর্ক এবং অপরিচিত কারও দেওয়া খাবার খেতে বারণ করা হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও স্টিমারের ছাদে এবং ট্রাক, পিকআপ ও অন্য পণ্যবাহী যানবাহনে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
 
পুলিশ সদরদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাড়ি যাওয়ার জন্য ঈদের আগে ও পরে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে হবে। এতে ট্রেন, বাস, লঞ্চ ও ফেরিঘাটের শেষ মুহূর্তের ভিড় এড়ানো সহজ হবে। হাইওয়েতে নছিমন, করিমন, ভটভটি ইত্যাদি যানবাহনে চলাচল করবেন না। চালককে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর তাগিদ দেবেন না। বরং চালক যেন নিয়ম মেনে গাড়ি চালায় এবং ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং না করে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অপেশাদার, ক্লান্ত বা অসুস্থ চালক যাতে গাড়ি না চালায়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। দুর্ঘটনাকবলিত নৌযান শনাক্তের সুবিধার্থে নৌযানগুলোয় ১০০ থেকে ১৫০ ফুট লম্বা দড়ি সংবলিত বয়া এবং লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে মালিকদের। হাইওয়েতে ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি চলাচল করা যাবে না। যাত্রাপথে অপরিচিত কারও সঙ্গে যানবাহনে শেয়ারে চড়া যাবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হকার বা ফেরিওয়ালার কাছ থেকে কোমল পানীয়, ডাব, শরবত বা অন্য কোনো খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কাউকে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি বা প্রতারক চক্রের সদস্য সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দিতে হবে বা ৯৯৯ নম্বরে কল করতে হবে। সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে আশপাশের যাত্রীদের প্রতি। কেউ বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করতে হবে। 

কোরবানির পশু পরিবহন ও হাট সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ট্রাক, লঞ্চ, নৌকা বা ট্রলারে অতিরিক্ত পশুবোঝাই করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মহাসড়কের ওপর এবং রেললাইনের পাশে কোরবানির পশুর হাট বসানো যাবে না। পশুর হাটে কেউ অতিরিক্ত হাসিল অথবা চাঁদা দাবি করলে পুলিশকে জানাতে হবে। পশুর চামড়াবাহী যানবাহন সীমান্তমুখী হলে সেগুলো পাচার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ধরনের সন্দেহজনক ক্ষেত্রে বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানাতে হবে অথবা ৯৯৯ নম্বরে কল করতে হবে। পশুবাহী পরিবহনের সামনে পশুর গন্তব্যস্থান অথবা পশুর হাটের নাম লিখে ব্যানার টানিয়ে রাখতে হবে। পশুর হাটে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে ব্যাংকিং চ্যানেল। বড় অঙ্কের নগদ অর্থ বহনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা (মানি এস্কর্ট) নিতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে জাল টাকার বিষয়ে। কোনো নোট জাল সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানাতে হবে।

এ ছাড়া বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, নগদ ইত্যাদিতে লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কোনো অবস্থাতেই নিজের গোপন পিন নম্বর কারও সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না। শপিংমল বা মার্কেটের নিরাপত্তায় সিসিটিভি, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টরসহ অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে পুলিশ সদরদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ– ০১৩২০০০১৩০০, ০১৩২০০০১২৯৯; হাইওয়ে পুলিশ সদরদপ্তর (০১৩২০১৮২৫৯৮), রেলওয়ে পুলিশ সদরদপ্তর (০১৩২০১৭৭৫৯৮), নৌ পুলিশ সদরদপ্তর (০১৩২০১৬৯৫৯৮) ও র‍্যাব (০১৭৭৭৭২০০২৯) এবং জেলা পুলিশ সুপার ও থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঈদ ল আজহ

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ