আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সি উঠেছিল যে গোলকিপারের গায়ে
Published: 30th, May 2025 GMT
১০
ফুটবল মাঠে এটি শুধুই একটি সংখ্যা নয়। ১০ নম্বর জার্সি গায়ে চড়াতে চান না, এমন ফুটবলার খুঁজে পাওয়া দায়। তবে চাইলেই তো হয় না, সাধারণত এই জার্সি গায়ে ওঠাতে দলের সেরা খেলোয়াড় হওয়াটাই মূল যোগ্যতা।
আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের কথাই ধরা যাক। দেশটির ইতিহাসের সেরা দুই ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও লিওনেল মেসি। দুই প্রজন্মের দুই বিশ্বকাপজয়ী তো ১০ নম্বর জার্সি পরেই খেলতেন। তবে ম্যারাডোনা আর মেসি তো আর সব ম্যাচ খেলেননি। আর ম্যারাডোনার খেলা ছাড়ার পর ও মেসির গায়ে ১০ নম্বর ওঠার আগে মাঝের সময়টায়ও তো ১০ নম্বর জার্সিটা তুলে রাখা হয়নি। তাই কেউ না কেউ ১০ নম্বর জার্সিটা পরেছেনই। তাঁদের মধ্যে হুয়ান রোমান রিকেলমে, আরিয়েল ওর্তেগা, পাবলো আইমার, সের্হিও আগুয়েরো, আনহেল দি মারিয়ার মতো পরিচিতরা যেমন আছেন, তেমনি আছেন মার্সেলো এসপিনা ও নাচো গঞ্জালেসের মতো অখ্যাতরাও।
তাঁদের মধ্যে নাচো গঞ্জালেস নামটা আলাদা করেই উল্লেখ করতে হয়। না, তিনি শুধু আর্জেন্টিনার জার্সিতে মাত্র ৪টি ম্যাচ খেলেছেন বলেই নয়, মাঠে তাঁর পজিশনই ব্যতিক্রম বানিয়েছে। নাচো গঞ্জালেস যে গোলকিপার ছিলেন। ১৯৯৭ সালে কোপা আমেরিকায়ও খেলেছেন আর্জেন্টিনার হয়ে।
একজন গোলকিপারের গায়ে ১০ নম্বর জার্সি। সেটিও তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী একটি দলের। শুধু আর্জেন্টিনাতেই নয়, আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসেই এমন কিছু আর দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন‘শাকিব খানের সঙ্গে দেখা হলে বলব, নায়ক হিসেবে তাঁকে কতটা পছন্দ করি’ ২৭ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল।
আরো পড়ুন:
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস
চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।
জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।
এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।
ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী