১০

ফুটবল মাঠে এটি শুধুই একটি সংখ্যা নয়। ১০ নম্বর জার্সি গায়ে চড়াতে চান না, এমন ফুটবলার খুঁজে পাওয়া দায়। তবে চাইলেই তো হয় না, সাধারণত এই জার্সি গায়ে ওঠাতে দলের সেরা খেলোয়াড় হওয়াটাই মূল যোগ্যতা।

আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের কথাই ধরা যাক। দেশটির ইতিহাসের সেরা দুই ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও লিওনেল মেসি। দুই প্রজন্মের দুই বিশ্বকাপজয়ী তো ১০ নম্বর জার্সি পরেই খেলতেন। তবে ম্যারাডোনা আর মেসি তো আর সব ম্যাচ খেলেননি। আর ম্যারাডোনার খেলা ছাড়ার পর ও মেসির গায়ে ১০ নম্বর ওঠার আগে মাঝের সময়টায়ও তো ১০ নম্বর জার্সিটা তুলে রাখা হয়নি। তাই কেউ না কেউ ১০ নম্বর জার্সিটা পরেছেনই। তাঁদের মধ্যে হুয়ান রোমান রিকেলমে, আরিয়েল ওর্তেগা, পাবলো আইমার, সের্হিও আগুয়েরো, আনহেল দি মারিয়ার মতো পরিচিতরা যেমন আছেন, তেমনি আছেন মার্সেলো এসপিনা ও নাচো গঞ্জালেসের মতো অখ্যাতরাও।

তাঁদের মধ্যে নাচো গঞ্জালেস নামটা আলাদা করেই উল্লেখ করতে হয়। না, তিনি শুধু আর্জেন্টিনার জার্সিতে মাত্র ৪টি ম্যাচ খেলেছেন বলেই নয়, মাঠে তাঁর পজিশনই ব্যতিক্রম বানিয়েছে। নাচো গঞ্জালেস যে গোলকিপার ছিলেন। ১৯৯৭ সালে কোপা আমেরিকায়ও খেলেছেন আর্জেন্টিনার হয়ে।

একজন গোলকিপারের গায়ে ১০ নম্বর জার্সি। সেটিও তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী একটি দলের। শুধু আর্জেন্টিনাতেই নয়, আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসেই এমন কিছু আর দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন‘শাকিব খানের সঙ্গে দেখা হলে বলব, নায়ক হিসেবে তাঁকে কতটা পছন্দ করি’ ২৭ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

চার হাজার কোটি টাকা দান করে যা বললেন জ্যাকি চ্যান

হংকংয়ের অ্যাকশন তারকা জ্যাকি চ্যান। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার ভক্ত-অনুরাগী। সিনেমায় কুংফুর কেরামতি দেখিয়ে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। ছয় দশক ধরে অভিনয় করেন এই অভিনেতা। সিনেমার দৃশ্য বাস্তবসম্মত করতে জ্যাকি নিজেই নিজের স্টান্ট করেন। ‘পুলিশ স্টোরি’, ‘ড্রাগন ব্লাড’, ‘কুংফু ইয়োগা’সহ বেশ কয়েকটি আলোচিত সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। একদিকে যেমন পেয়েছেন তারকা খ্যাতি অন্যদিকে অনেক সম্পদের মালিকও তিনি। 

সম্পদের বিষয়ে রয়েছে তার আলাদা দর্শন। নিজের টাকা শুধুমাত্র সন্তানের সব জমিয়ে না রেখে অনেক বড় একটা অংশ দান করেছেন জ্যাকি। ২০২১ সালে চ্যানেল নিউজ এশিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জ্যাকি চ্যান বলেন, ‘‘আমার সন্তানের যদি সামর্থ থাকে তাহলে সে উপার্জন করে নেবে। আর যদি সামর্থ না থাকে তাহলে সে তো আমার টাকা খরচ করে ফেলবে।’’ 

জ্যাকি চ্যানের ইচ্ছা তার দানকৃত টাকা দুর্যোগ, ত্রাণ ও শিক্ষার মতো কাজে ব্যবহৃত হোক। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুল শিক্ষার জন্য আরও টাকা দানের পরিকল্পনা করেছেন তিনি।

আরো পড়ুন:

অপুকে ধর্ম নিয়ে মিথ্যা না বলার আহ্বান জয়ের

আজ হুমায়ুন ফরীদির জন্মদিন

জ্যাকি চ্যানের  একমাত্র ছেলের নাম জ্যাসি চ্যান। এই মুহূর্তে ৪৩ বছর বয়স তার। বাবার মতো তিনিও যুক্ত ফিল্মি দুনিয়ায়। গায়ক, অভিনেতা ও পরিচালক জ্যাসি। তবে জনপ্রিয়তায় বাবার চেয়ে অনেক পিছিয়ে।

১৯৮২ সালে বিয়ে জ্যাকি চ্যান বিয়ে করেন জন লিনকে। জন লিনও একজন  অভিনেত্রী এবং সংগীতশিল্পী। ২০১৪ সালে এই দম্পতির একমাত্র সন্তান জেসিকে মাদক গ্রহণের দায়ে অ্যারেস্ট করে স্থানীয় পুলিশ। জ্যাকি চ্যান এই ঘটনার পরে মুষরে পড়েন। এবং তিনি মনে করেন সন্তানকে ভালোভাবে বড় করতে পারেননি তিনি। এরপরে তিনি সন্তানকে সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর, জেসি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে তার বাবা জ্যাকি চ্যান তার চুল কেটে দিচ্ছেন। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ