সময়টা ২০০৭ সাল। এক তরুণ রাইটব্যাক উইঙ্গার আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরের আলো-আঁধারিতে ফুটবল খেলে বেড়াতেন। তখনকার সেই ছেলেটিই আজ বিশ্বের অন্যতম নামী ফুটবল তারকা। আর ১৮ বছরের ইউরোপভিত্তিক ঝলমলে অধ্যায় শেষে তিনি ফিরেছেন ঠিক সেই পুরোনো ঠিকানায়—রোজারিও সেন্ট্রাল।

হ্যাঁ, কথা হচ্ছে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে নিয়ে। ৩৭ বছর বয়সে, ক্যারিয়ারের শেষভাগে এসেও তার ভেতরের ছেলেটি হারিয়ে যায়নি। বরং অনেক দূর থেকে ফিরে এসে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমাদের গল্প এখনও শেষ হয়নি।’

ডি মারিয়ার এই ফিরে আসাটা শুধুই এক ক্লাব বদলের গল্প নয়। এটা তার শিকড়ে ফেরার, নিজের শৈশবকে আবার ছুঁয়ে দেখার প্রয়াস। রোজারিও সেন্ট্রালের যুব দলে পা রাখা সেই কিশোর আজ বিশ্বজয় করে ফিরেছেন একই মাঠে, যেখানে একদিন স্বপ্ন বুনেছিলেন।

আরো পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত দিনে ‘কুল-বিএসজেএ’ মিডিয়া কাপে ফুটবল আনন্দ

কনফারেন্স লিগ জিতে ইউরোপীয় ফুটবলে চেলসির অন্যরকম পূর্ণতা

তার ফিরে আসার ঘোষণায় রোজারিওর আকাশে যেন উৎসবের আলো। সমর্থকরা অপেক্ষায়—আবারও মাঠে দেখবেন তাদের 'হারানো রত্ন'কে।

২০০৭ সালে ডি মারিয়া ইউরোপে পা রাখেন পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকাতে। সেখান থেকেই শুরু তার নতুন জীবন। এরপর রিয়াল মাদ্রিদে পাঁচ মৌসুম; যেখানে তিনি জিতেছেন লা লিগা, কোপা দেল রে ও চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো শিরোপা।

এরপর একের পর এক গন্তব্য— ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি, জুভেন্টাস। সব জায়গায় রেখে গেছেন নিজের স্বাক্ষর।

সবশেষ মৌসুমেও তিনি খেলেছেন বেনফিকায়। এবং এখানেই এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী মাসে ক্লাব বিশ্বকাপে বেনফিকার জার্সিতেই মাঠে নামবেন তিনি। এরপরই একেবারে নিজের দেশে ফিরে আসবেন চূড়ান্তভাবে।

ডি মারিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও বার্তাটি যেন তার ফিরে আসার সবচেয়ে সুন্দর ভাষ্য। তিনি বলেন, “আমাদের গল্প এখনও লেখার অনেক পৃষ্ঠা বাকি। এটা কোনো বিদায় নয়, এটা হলো নতুন করে শুরু।” এই কয়েকটি বাক্যেই যেন ফুটে উঠেছে তার আবেগ, ভালোবাসা আর রক্তে মিশে থাকা রোজারিও।

ডি মারিয়ার ফেরা কেবল একটি ক্লাব পরিবর্তনের ঘটনা নয়, বরং এটি ফুটবলপ্রেমী আর্জেন্টিনার এক আবেগঘন মুহূর্ত। বিশ্বজয়ী একজন সৈনিক নিজের শেকড়ে ফিরেছেন, হাতে করে নিয়ে এসেছেন বিশ্বমঞ্চের অভিজ্ঞতা, সাফল্য আর ভালোবাসা।

রোজারিও সেন্ট্রালের সমর্থকেরা জানেন, তাদের মাঠে যে আবার খেলতে নামবে, সে একজন কিংবদন্তি—তাদেরই ঘরের ছেলে।

অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার ক্লাববদল যেন শুধুই একটি চুক্তি নয়, বরং নিজের অতীতকে আবার ছুঁয়ে দেখার এক স্মৃতির খোঁজ। যেখানে শেষ হতে যাচ্ছে এক জৌলুমপূর্ণ অধ্যায়, সেখানে শুরু হচ্ছে এক নতুন আবেগের অধ্যায়, ফুটবল যখন হৃদয়ের গল্প।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

বোনকে খুন করে লাশ বস্তায় ভরেন, পুলিশ জিজ্ঞেস করলে জানান বস্তায় গম

ভারতের উত্তর প্রদেশের গোরখপুরে এক তরুণ তাঁর বোনকে খুন করে লাশ একটি বস্তায় ভরে রেখেছিলেন। ওই বস্তা নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে ভেতরে কী আছে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ‘এর মধ্যে গম আছে।’

উত্তর প্রদেশের ৩২ বছর বয়সী রাম আশিস নিষাদ তাঁর ১৯ বছর বয়সী বোন নীলমকে খুন করেন।

ওই এলাকায় একটি সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। আশিসের বাবা চিংকু নিষাদ সেখানে সরকারের জমি অধিগ্রহণ বাবদ ছয় লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, ওই ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া অর্থের ভাগাভাগি নিয়েই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই রুপি বোনের বিয়েতে খরচ করা হবে জেনে রাম আশিস ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাম আশিস একটি কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে বোন নীলমকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর নীলমের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভেঙে ফেলে দেহটি একটি বস্তায় ভরেন। পরে বাইকের সঙ্গে বেঁধে তিনি গোরখপুর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে কুশীনগরের একটি আখখেতে বস্তাটি ফেলে আসেন।

সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে অভিযুক্ত

সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে রাম আশিসকে একটি বস্তা নিয়ে যেতে দেখা যায়। সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই বস্তার মধ্যে ছিল তাঁর বোনের লাশ। কুশীনগর যাওয়ার পথে পুলিশ তাঁকে থামিয়ে বস্তায় কী আছে জানতে চেয়েছিল।

রাম আশিস পুলিশকে জানান, বস্তায় গম আছে। পরে আবার তিনি কুশীনগরের দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে যান। সেখানে তিনি আখখেতে নীলমের লাশ ফেলে দেন।

এরপর নীলমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর বাবা প্রথমে ধরে নেন, মেয়ে ছটপূজার জন্য কোথাও গেছে। তবে প্রতিবেশীরা যখন জানান, সোমবার রাম আশিস একটি বস্তা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তখন পরিবারের সন্দেহ হয় এবং ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়।

পুলিশ প্রথমে নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে ও তদন্ত শুরু করে। গত মঙ্গলবার নীলমের পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়, রাম আশিসই নীলমকে খুন করেছেন।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় রাম আশিস প্রথমে কিছু না জানার ভান করেন। তবে পুলিশের টানা জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পরে বোনকে খুনের কথা স্বীকার করেন। গত বুধবার রাতে আখখেত থেকে নীলমের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

আগামী জানুয়ারি মাসেই নীলমের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিয়ের সবকিছু ঠিকঠাকও হয়ে গিয়েছিল।

রাম আশিসের বাবা চিংকু অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া ওই ছয় লাখ রুপি মেয়ের বিয়েতে খরচ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এ কারণে রাম ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। কারণ, তিনি জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া ওই রুপির ভাগ চেয়েছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
  • সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২
  • যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
  • বোনকে খুন করে লাশ বস্তায় ভরেন, পুলিশ জিজ্ঞেস করলে জানান বস্তায় গম