মগবাজারে আলোচিত ছিনতাই: চারজন রিমান্ডে
Published: 30th, May 2025 GMT
রাজধানীর মগবাজার এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনার ভিডিও ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর গ্রেপ্তার চার আসামির তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (৩০ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জেনিফার জেরিন শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন মো. সোহেল রানা, মো. জীবন ওরফে হৃদয়, মো. শামীম ও মকবুল হোসেন। এদের মধ্যে মকবুল ছিনতাইয়ের মালামাল ক্রেতা। অপর তিন আসামি সরাসরি ছিনতাইয়ে অংশ নেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার এসআই ইব্রাহীম খলিল তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। সোহেল, জীবন ও হৃদয়ের পক্ষে তাদের আইনজীবী সেন্টু আলম খান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। মকবুলের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সোহেলকে কেরানীগঞ্জ এবং অপর তিন আসামিকে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ব্যাগ, ৯ হাজার ৬০০ টাকা, একটি মোবাইল ফোন, ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দুটি চাপাতি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, গত ১৮ মে মগবাজারের গ্রিনওয়ে গলিতে ওই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সিসিটিভি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ভুক্তভোগী এক তরুণ একটি ব্যাগ কাঁধে হেঁটে যাওয়ার সময় তার পথ আটকায় বাইকে আসা তিন যুবক। বাইক থেকে দুজন দুটি চাপাতি নিয়ে নেমে ওই তরুণকে একটি বাড়ির ফটকের সামনে চেপে ধরে। চাপাতি দিয়ে আঘাত করতেও দেখা যায় তাদের। এক পর্যায়ে ওই তরুণের ব্যাগ কেড়ে নিয়ে দুই ছিনতাইকারী বাইকে ওঠে। এ সময় ভুক্তভোগী বাইকের সামনে এসে বারবার অনুরোধ করতে থাকায় চাপাতি হাতে দুজন পুনরায় বাইক থেকে নেমে তাকে আঘাত করে সরিয়ে দেয়।
এর মধ্যে বাইকটি চলতে শুরু করলে হামলাকারী একজন আবারও ভুক্তভোগীর দিকে চাপাতি হাতে তেড়ে যায়। মাত্র এক মিনিটের মধ্যে ভুক্তভোগীর ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ গত ২৬ মে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন।
ঢাকা/এম//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল