মার্কিন প্রস্তাব গাজায় হত্যা ও দুর্ভিক্ষের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করবে: হামাস
Published: 30th, May 2025 GMT
ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে তা শুধু গাজায় ‘হত্যা ও দুর্ভিক্ষের ধারাবাহিকতাকেই’ নিশ্চিত করবে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের এক কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছিলেন, ইসরায়েল ইতিমধ্যে ওয়াশিংটনের নুতন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ প্রস্তাবটি পর্যালোচনার জন্য হামাসের কাছে পাঠিয়েছেন।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এই চুক্তি আমাদের জনগণের কোনো দাবিই পূরণ করে না। দাবিগুলোর অন্যতম হলো যুদ্ধ বন্ধ করা।’
তবে তিনি বলেছেন, “হামাস নেতৃত্ব বর্তমানে নতুন প্রস্তাবের একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং দায়িত্বশীল পর্যালোচনা করছে। এই মূল্যায়ন জাতীয় দায়িত্বের গভীর অনুভূতি এবং তার ভূমিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও ভবিষ্যত রক্ষার জন্য দৃঢ় অঙ্গীকার দিয়ে পরিচালিত হয়।”
হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এ প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেয়নি ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাদের গাজা উপত্যকা থেকে প্রত্যাহারের কথাও বলা হয়নি। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর বিষয়েও কোনো স্পষ্ট নিশ্চয়তা নেই।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে কয়েক দফা যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্বল্পমেয়াদী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও মার্চে পুনরায় গাজায় আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গভীর মতপার্থক্যের কারণে গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতির চেষ্টা বারবার ভেস্তে গেছে। ইসরায়েলের দাবি, হামাসকে পুরোপুরি নিরস্ত্র হতে হবে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির দাবি, ইসরায়েলি সেনাদের গাজা থেকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করতে হবে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল র প রস ত ব
এছাড়াও পড়ুন:
জনগণ প্রকৃত দেশপ্রেমিকদের ক্ষমতায় দেখতে চায় : অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে যে দল রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তারা দেশের উন্নয়নের চেয়ে নিজেদের উন্নয়ন করেছে।
ক্ষমতাকে ব্যবহার করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। বেশিদূর না গিয়ে, ৫ আগস্টের পর থেকে অদ্যাবধি যেভাবে চাঁদাবাজী, দখলদারীর খবর পাওয়া যাচ্ছে তা সত্যিই উদ্বেগের বিষয়। এই পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে জনগণ প্রকৃত দেশপ্রেমিকদের ক্ষমতায় দেখতে চায়।
শুক্রবার (৩০ মে) বিকাল ৩টায় শিবু মার্কেট দরগাবাড়ী জামে মসজিদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের প্রার্থী বাছাই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাও. লোকমান হোসাইন জাফরী, সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মাও. দেলাওয়ার হোসাইন সাকী। জেলা সভাপতি মাও. দ্বীন ইসলাম, নগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ জেলা ও নগর সহ তৃণমূল পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ।
ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির উচিত ছিল সরকারকে সহযোগিতা করা। উল্টো রাস্তায় সমাবেশ করে আল্টিমেটাম দেওয়াটা আসলে সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল যা ইসলামী আন্দোলন খুব ভালোভাবে দেখছে না।