তামিমের জন্য উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে বাবা-মায়ের
Published: 30th, May 2025 GMT
দশ দিন আগে সাইকেল নিয়ে স্কুলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয় আবদুল্লাহ তামিম। এরপর আর ফেরেনি সে। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে কেঁদে ফিরছেন মা। বাবা নজরুল ইসলামও
রয়েছেন উৎকণ্ঠায়।
তামিম রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের সাঁজুরিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় সরিষা প্রেমটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। নিখোঁজের ঘটনায় বাবা নজরুল ইসলাম ২১ মে পাংশা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
২০ মে বাইসাইকেল নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় তামিম। নির্দিষ্ট সময়ের পর স্কুলে খোঁজ নেয় স্বজনরা। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলে দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে বাবা-মায়ের। আশপাশে সব জায়গায় খোঁজ করা হয়। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজেও পাওয়া যায়নি তাকে। একমাত্র ছেলেকে না পেয়ে উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তার বাবা-মা। পথ চেয়ে প্রহর গুনছেন তারা।
তামিমের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তামিম শান্ত ও নম্র স্বভাবের। নিয়মিত নামাজ পড়ে। তাকে ঘিরেই আমাদের জীবন। হঠাৎ হারিয়ে যাওয়ায় আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। সে বাড়ি নেই– এটি ভাবতেই পারছি না।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চাই। কেউ তার খোঁজ দিতে পারলে উপযুক্ত পুরস্কার দেওয়া হবে।’
পাংশা থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, নিখোঁজ তামিমের সন্ধান পেতে পুলিশ আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। দেশের সব থানায় তার ছবিসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে। পুলিশের চেষ্টায় কোনো ঘাটতি নেই।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নজর ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।
ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫