মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আজ রাতে। এই ম্যাচটি দেখতে ইউরোপিয়ান ফুটবলের প্রধান নিমন্ত্রণ করেছিলেন ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্ণধারকে। দুই ভুবনের দুই প্রধানের এই লাভটা নাকি ক্রিকেটের।

আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের আগে যা আপনার জানা দরকার৪ ঘণ্টা আগে

লাভ হবে কি না, তা ভবিষ্যতের হাতে তোলা রইল। আপাতত যেটা ঘটেছে, আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল সামনে রেখে গতকাল দেখা করেন উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিনের সঙ্গে। ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, স্বয়ং উয়েফা সভাপতি ম্যাচটি দেখতে নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের সাবেক সচিব ও বর্তমান আইসিসি সভাপতিকে। সেফেরিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে করা পোস্টে জয় শাহও বলেছেন, মিউনিখে ক্রিকেটের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে সম্মানিত লাগছে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিশ্বমঞ্চে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইউরোপিয়ান ফুটবলের কর্ণধারের সঙ্গে দেখা করেছেন জয় শাহ। তাঁর পোস্টেও এই ব্যাপারটি তুলে ধরা হয়েছে, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের আগে মিউনিখে ক্রিকেটের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে সম্মানিত লাগছে এবং উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিনের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে। অন্য খেলার নেতাদের সঙ্গে সময় কাটানো সব সময়ই মূল্যবান। আইসিসি আমাদের খেলাটিকে বিশ্বমঞ্চে পৌঁছে দিচ্ছে।’

আরও পড়ুনযে ৫টি বিষয় চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের ফল নির্ধারণ করতে পারে৫ ঘণ্টা আগে

‘ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস’ ও ‘টপেনড স্পোর্টস’ এর জরিপে ফুটবলের পরই পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। এ দুটি ওয়েবসাইটের হিসেবে পৃথিবীব্যাপী ফুটবলের ভক্তসংখ্যা সাড়ে তিন শ কোটি। প্রায় সব জায়গাতেই ফুটবলের বিস্তার ঘটেছে অনেক বেশি। ক্রিকেটের ভক্তসংখ্যা আড়াই শ কোটি। এশিয়া মহাদেশ, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে এই খেলাটির জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। টি–টোয়েন্টির আর্বিভাবের পর ইউরোপের বেশ কিছু ফুটবল পরাশক্তি দেশ ক্রিকেটে নামলেও এই মহাদেশে খেলাটির শেকড় অতটা গভীরে পৌঁছায়নি। ইংল্যান্ডের বাইরে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডস ক্রিকেটে মোটামুটি পরিচিত দল। এই চার দলের বাইরে ইউরোপ থেকে আইসিসি ছেলেদের টি–টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দলটি স্পেন—৩০তম।

চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে এ শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে পিএসজি ও ইন্টার মিলান.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল র জয় শ হ আইস স ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস

সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছে দেশটির এল–ফাশের শহরের পতনের পর সেখানকার বাসিন্দারা ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা শহরটিতে আটকা পড়েছেন। গতকাল শনিবার ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছে।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের লড়াই চলছে। গত ২৬ অক্টোবর এল-ফাশের দখল করে নেয় আধা সামরিক বাহিনীটি। শহরটির পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুনসুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে২২ ঘণ্টা আগে

এল–ফাশের শহর থেকে যাঁরা পালিয়ে কাছের তাউইলা শহরে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁরা বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা চালানোর কথা বলেছেন। তাঁদের ভাষ্য, এল–ফাশেরে মা–বাবার সামনে সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে। মানুষজন শহরটি থেকে পালানোর সময় তাঁদের মারধর করা হচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাবে, ২৬ অক্টোবর থেকে ‍৬৫ হাজারের বেশি মানুষ শহরটি থেকে পালিয়েছেন।

শনিবার ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, এল–ফাশেরের বিপুল মানুষ ‘চরম বিপদের’ মধ্যে রয়েছে। তাদের শহরটি ত্যাগ করতে দিচ্ছে না আরএসএফ ও তাদের সহযোগীরা। সংস্থাটির জরুরি বিভাগের প্রধান মাইকেল ওলিভিয়ার লাচেরিটে বলেন, এল–ফাশের থেকে যাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন, তাঁরা কোথায়? সম্ভাব্য উত্তরটা হলো—তাঁদের হত্যা করা হয়েছে।

গত শুক্রবার জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরএসএফের হামলায় এল–ফাশেরে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে সুদানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দুই হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, এল–ফাশেরে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।

সুদান ‘মহাবিপর্যয়কর পরিস্থিতির’ মধ্যে রয়েছে বলে শনিবার উল্লেখ করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল। বাহরাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেসামরিক লোকজনকে সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আরএসএফ। এরপরও এমন নৃশংসতার জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। একই সংবাদ সম্মেলনে সুদানের পরিস্থিতি ‘ভয়ংকর’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার।

আরও পড়ুনসুদানে আরএসএফের গণহত্যায় আরব আমিরাত ইন্ধন দিচ্ছে কেন৭ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ