জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের দ্রোহ ও জাগরণের ১০টি গান নতুন আঙ্গিকে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট। ১০টি গান নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অ্যালবামের প্রকাশনা উপলক্ষে আজ শনিবার ‘নজরুল রক কনসার্ট ২০২৫’–এর আয়োজন করা হয়। বিকেল পাঁচটায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে কনসার্টটি শুরু হতে দেরি হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর শিরোনামহীনের পারফরম্যান্স দিয়ে শুরু হয় কনসার্ট। নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম নিজের ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে কনসার্ট শুরুর তথ্য জানান।

ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত এই কনসার্টে শিরোনামহীন ছাড়াও আরও নয়টি ব্যান্ডের পারফর্ম করার কথা। কনসার্টটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
কাজী নজরুল ইসলামের দ্রোহ ও জাগরণের ১০টি গানের অ্যালবামটিতে জায়গা পেয়েছে ‘কারার ঐ লৌহ-কবাট’, ‘এই শিকল-পরা ছল্’, ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, ‘জাগো অনশন-বন্দী’, ‘দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু’, ‘ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি’, ‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম’, ‘বাজিছে দামামা বাঁধরে আমামা’, ‘পরদেশী মেঘ’ এবং ‘জয় হোক জয় হোক’ গানগুলো। কথা, সুর ও স্বরলিপির নির্দেশনা মেনেই গানগুলো তৈরি হচ্ছে।

আরও পড়ুননজরুল রক কনসার্ট আজ৯ ঘণ্টা আগে

লতিফুল ইসলাম বলেন, ‘অ্যালবামটি করার উদ্দেশ্য হলো, ভবিষ্যতে এসব গান যদি কোনো ব্যান্ড কাভার করতে চায়, তাহলে গানগুলো রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে। কারণ, প্রতিটি গান সঠিকভাবে করা হচ্ছে। বাণী থেকে শুরু করে প্রতিটি জিনিস আমরা ঠিক করে দিয়েছি। পুরো প্রকল্পের মেন্টর হিসেবে আছেন নজরুলসংগীত পণ্ডিত ইয়াকুব আলী খান।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম কনস র ট নজর ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন। 

ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন। 

অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।

ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”

প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।

মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”

মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের অভিযান সমর্থন করেছিলেন।

গ্যালাপের মতে, পরিচয় প্রকাশ করে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ