সাংবাদিক হাবিবুর রহমান বাদলের জন্মদিন আজ
Published: 1st, June 2025 GMT
আজ ১ জুন দৈনিক ডান্ডিবার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার ও নারায়ণগঞ্জ নিউজ পেপার ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি হাবিবুর রহমান বাদলের জন্মদিন। শুভ জন্মদিন।
হাবিবুর রহমান বাদল ১৯৫৭ সালের পহেলা জুন নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ পাক্কা রোডের মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মরহুম মো.
তিনি গলাচিপা প্রাইমারী স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু করেন। নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করার পর ১৯৭৬সালে ঢাকা কলেজে পড়ার সময় খন্ডকালীন সাংবাদিকতা শুরু করেন। এসময় তিনি রাজনীতির সাথে জড়িত থাকাকালে তৎকালিন শিক্ষা উপদেষ্টাকে ঢাকা কলেজের একটি অনুষ্ঠানে প্রবেশে বাধা দিলে গ্রেফতার হন।
৮২ সাল পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক কাজ করার পর ১৯৮৩ সালে হাবিবুর রহমান বাদল দৈনিক ইত্তেফাকের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হিসাবে যোগদান করেন।
পরবর্তিতে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার পদ মর্যাদায় উন্নীত হন। ১৯৯৬ সালে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত প্রথম দৈনিক শীতলক্ষা তার সম্পাদনায় প্রকাশ লাভ করে। ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারী হাবিবুর রহমান বাদলের সম্পাদনা ও প্রকাশনায় দৈনিক ডান্ডিবার্তার আত্নপ্রকাশ ঘটে।
হাবিবুর রহমান বাদল ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ সাল ও ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৪ সালে পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯৮ সালে এবং ২০১১ সালে একাধিকবার নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হন।
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে বর্তমান বহুতল ভবন নির্মাণ কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব নির্মাণে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। নারায়ণগঞ্জ নিউজ পেপার ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
হাবিবুর রহমান বাদল ৩ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানের জনক। নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক মহলে যার নাম শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারণ করতে হয় সে মানুষটি হল দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার ও স্থানীয় বহুল প্রচারিত দৈনিক ডান্ডিভার্তার সম্পাদক আমাদের প্রিয় আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান বাদল ভাই।
বাদল ভাই সম্পর্কে সাংবাদিকতা জীবনের শুরু থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের পক্ষ নিয়ে আপোষহীনভাবে কলম যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন তার লিখনীর মাধ্যমে। যার ফলে তিনি বারবার হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন।
কিন্তু তারপরও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার কলম যুদ্ধ বিরত রাখতে পারেনি। মাথা নত করাতে পারেনি কোন রক্ত চক্ষু বা পেশীশক্তি। তিনি সৎ সাহস নিয়েই ন্যায়ের পক্ষে অটল ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। বাদল ভাই তার সততা ও নিষ্ঠার সাথে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন।
তারই ফসল নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক ডান্ডিবার্তা। এক ঝাক কলম যুদ্ধা নিয়ে তিনি ডান্ডিবার্তার মাধ্যমের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীনভাবে কমল যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছেন। তিনি তার সততার স্বাক্ষর রেখেছেন নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক মহলে, হয়েছেন ব্যাপক প্রশংসিত।
হাবিবুর রহমান বাদল সাংবাদিকতায় ৪৬ বৎসরের মধ্যে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় ৪৩ বৎসর যাবৎ সাংবাদিকতা করে যাচ্ছেন।
তার এই জন্মদিনে ডান্ডিবার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে-সিনিয়র সাংবাদিক আবুল হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র ফটো সাংবাদিক তাপস সাহা, দৈনিক ইত্তেফাকের বন্দর সংবাদদাতা ও দৈনিক ডান্ডিবার্তার বার্তা সম্পাদক- নাসির উদ্দিন, সিনিয়র ফটো সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান কচি, জাহাঙ্গীর ডালিম (বিভাগীয় সম্পাদক) সহ হাবিবুর রহমান বাদল ভাইয়ের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ হ ব ব র রহম ন ব দল ন র য়ণগঞ জ প র স অন য য় র ব র দ ধ ব দল ভ ই প রক শ ব দ কত
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ পাকিংয়ে তীব্র যানজট, জনদুর্ভোগ চরমে
বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যানজট। এ যানজটের কারণে মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা পেরুতে সময় লেগে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে প্রতিনিয়ত চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসীকে।
নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগ কিংবা সিটি কর্পোরেশন এ যানজট থেকে জেলাবাসীকে পরিত্রাণ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে দিন যতই বড়ছে ততই বাড়ছে নারায়ণগঞ্জবাসীর দুর্ভোগ।
নারায়ণগঞ্জে এমন কোন সড়ক নাই সেই সড়কে যানজট নাই। মূল সড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলি সব জায়গায়ই যানজট আর যানজট। তবে এ যানজটের পেছনে মূল সড়কের যানজটকেই দায়ি করছেন অনেকে।
তারা বলছেন, মূল সড়ক যদি যানজট মুক্ত থাকতো তাহলে এর আশেপাশের সড়কগুলো যানজটের সুষ্টি হতো না। মূল সড়কে তীব্র যানজটের কারণেই এর প্রভাব পড়ছে অন্য সড়কগুলোতেও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে শহরের চাইতে চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণে করেছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচলের কথা শুনলেই মানুষ আতকে উঠে। কারণ, যানজটের মাত্র পনেরো মিনিটের রাস্তা পাড় হতে সময় লাগে ঘন্টার পর ঘন্টা।
এ রাস্তায় এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীকেও যানজটে আটতে থাকতে দেখা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। একবার যানজটে আটকা পড়লেই দিন শেষ। কখন বাড়ী কিংবা অফিসে যাবেন তার কোন ঠিক নেই।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, এ যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে পঞ্চবটি-মুক্তারপুর ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ। ফ্লাইওভারের কর্মযজ্ঞের ফলে যানবাহনগুলোকে একটু ধীর গতিতে যেতে হয়। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
তবে এ যানজটের আরও একটি বড় কারণ চোঁখে পড়ে, আর তা হলো পঞ্চবটি এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে এবং চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কের দু’পাশে ট্রাক ও কভার্ডভ্যানগুলো অবৈধভাবে পাকিং করে রাখা।
এসব যানবাহনগুলো সড়কের দু’পাশে পার্কিং করে রাখার কারণে মূল সড়ক অনেকটাই সরো হয়ে যায়। ফলে এ সড়ক দিয়ে অন্যসব যানবাহনগুলো ঠিকমত চলাচল করতে পারে না। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
অথচ, পঞ্চবটির খুব কাছেই রয়েছে ট্রাক ও কভার্ডভ্যান স্ট্যান্ড। যানবাহনের চালকরা ওই স্ট্যান্ডে গাড়ী না রেখে সড়কের পাশে অবৈধভাবে বাঁকাত্যাঁড়া গাড়ীগুলো রাখছেন। এর ফলে যে, ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং যানজটের কবলে পড়ে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, এ বিষয়ে যেন তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।
তাদের ভাব-নমুনা দেখা মনে হয় যে, তারাই যেন এ সড়কটির মূল মালিক। না পুলিশে তাদের কিছু বলে, না তারা জনগণের কোন কথা শোনে। তারা তাদের ইচ্ছেমত গাড়ীগুলো রেখে যানজটের সৃষ্টি করছেন।
চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে চলাচল করা ভুক্তভোগী পথচারিরা বলছেন, এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করাটা বর্তমানে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এত ভয়াবহ যানজট আমরা কখনোই চোঁখে দেখিনি। পঞ্চবটি ফ্লাইওভারের নিচে যেভাবে ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো রাখা হয় পুরো সড়কটা তারা কিনে নিয়েছে। পুলিশও কিছু বলে না।
এছাড়া চাষাঢ়া থকে পঞ্চবটি পর্যন্ত পুরো সড়কে দু’পাশেই তারা গাড়ীগুলো রাখছেন। রাস্তাটি পাশে এমনিতেই জায়গা কম, আবার যদি তারা এভাবে গাড়ী রাখেন তাহলে যানজটের সৃষ্টিতো হবেই। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল বলেন, আসলে নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে ট্রাক স্ট্যান্ডটি সরিয়ে নেয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আইভী একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। তিনি শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে পঞ্চবটি এলাকাতে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে একটি ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে তোলেন এবং সেখানে এ স্ট্যান্ডকে স্থানান্তর করেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
এখন তারা কিছু গাড়ী ওই স্ট্যান্ডে রাখে বাকি গাড়ীগুলো সড়ক দখল করে এলোপাথারিভাবে রাখে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলেও যেন কারো কোন কিছু বলার নেই। কারণ, এ সমস্যা নিয়ে বহুবার ডিসি-এসপির সাথে বসা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে কিন্তু সুরাহা হয় নাই।
তবে, ৫ আগস্টে দেশে একটি বড় পরিবর্তনের পর আশা করছিলাম এবার হয়তো এর একটা সুরাহা হবে। কিন্তু না। সড়ক দখল করে রাখা ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে মানুষকে বাধ্য হয়েই যানজটের মত দুর্ভোগ দুর্দশাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পথ চলতে হচ্ছে।
তারা বলেন, আসলে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য সেদিন ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এতবড় একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু দেশের মানুষ যদি সেই শান্তি শৃঙ্খলা ভোগই করতে না পারে, তাহলে এত প্রাণ দিয়ে কি লাভ হলো?
আমরা জানিন না, প্রশাসন আসলে কাদেরকে খুশি করাতে চাচ্ছেন? মুষ্টিম কিছু চালকদের জন্য হাজার হাজার মানুষের এ কষ্ট কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি করবো, তারা যেন খুব শীঘ্রই এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়। নারায়ণগঞ্জবাসীকে যেন কিছুটা স্বস্তি দেয়।
এ বিষয়ে টিআই করিম বলেন, ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জে যানজটের যে ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়েছিলো বর্তমানে তা কমে আসছে। আশাকরছি, আগামীতে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। পঞ্চবটি সড়কে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য এ রুটে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এমতাবস্তায় যদি কোন চালক রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে গাড়ী পার্কিং করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।