সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ভারী বৃষ্টিতে টিলা ধসে পড়ে এক পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের ঢাকা দক্ষিণ বখতিয়ারঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আজ রোববার সকাল পৌনে সাতটায় তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল আটটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় অন্যজনের মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

নিহত ব্যক্তিরা হচ্ছেন মাটিচাপা পড়া বাড়ির মালিক রিয়াজ উদ্দিন (৫০) ও তাঁর স্ত্রী রহিমা বেগম। এ ছাড়া তাঁদের সন্তান সামিয়া খাতুন (১৫) ও আব্বাস উদ্দিন (১৩) নিহত হয়েছে। তবে রিয়াজ ছাড়া অন্যদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনজনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ। তিনি জানান, উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের প্রতিনিধিদের যৌথ সমন্বয়ে অভিযান চলছে। তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরেকজনের লাশ মাটির গভীরে আছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন ধরেই গোলাপগঞ্জে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল রাত দুইটার দিকে উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের ঢাকা দক্ষিণ বখতিয়ারঘাট এলাকায় আলভিনা গার্ডেনের বিপরীতে একটি বাড়ির পাশের টিলা ধসে পড়লে রিয়াজ উদ্দিনের ঘর চাপা পড়ে। এ সময় মাটিচাপা পড়েন রিয়াজ উদ্দিন, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের দুই সন্তান।

লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলকুর রহমান আজ ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে বলেন, রাত দুইটার দিকে টিলা ধসের পরপরই ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা দীর্ঘসময়েও ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন মাটি সরানোর চেষ্টা করলেও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ব্যর্থ হন।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

মনিরুজ্জামান মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ভারী বৃষ্টি হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় গাছ উপড়ে পড়ে ছিল। তাই তাৎক্ষণিক খবর পেলেও উদ্ধারকারী দল দ্রুততার সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ ল পগঞ জ উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

আরো একজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র, আশঙ্কাজনক ৩

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরো একজনকে ছাড়পত্র দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার নাম ফারজানা ইয়াসমিন (৪৫)। তিনি ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা। এ ঘটনায় এখনো আইসিইউতে ভর্তি আছেন ২ জন।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাসির উদ্দিন

তিনি বলেন, “মঙ্গলবার আইসিইউতে ছিল ৩ জন। তবে তাদের মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আজ তাকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখন মোট ৩২ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ৩ জন ক্রিটিক্যাল ক্যাটাগরিতে আর তাদের চেয়ে কম গুরুতর ৭ জন রয়েছে সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে। বাকিরা অন্যান্য ওয়ার্ড ও কেবিনে ভর্তি রয়েছে। গত তিন দিনে নতুন করে কোনো মৃত্যু নেই।”

আরো পড়ুন:

সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে বললেন ‘ভুল করিনি, মাথা গরম ছিল’

মাদ্রাসার মাঠ দখল করে ইউপি সদস্যের বীজতলা

ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, “৩২ জনের ১৪ জন শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। বাকিরা স্টেবল রয়েছে। ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত সব রোগীর একাধিকবারসহ সব মিলিয়ে ১৫৮টি ছোট-বড় অপারেশন করা হয়েছে।”

বার্ন ইনস্টিটিউটে আর আনুষ্ঠানিক ব্রিফ করা হবে না। প্রেস রিলিজের মাধ্যমে প্রতিদিনের আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক।

ঢাকা/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ