প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘নজরুল রক কনসার্ট’
Published: 1st, June 2025 GMT
প্রথমবারের অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘নজরুল রক কনসার্ট’। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে এ আয়োজন চলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। কনসার্ট উপলক্ষে বৃষ্টি উপেক্ষা করে এদিন শ্রোতারা হাজির হতে থাকেন রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। কনসার্টের আয়োজন করে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের উদ্দীপনামূলক ১০টি গান নতুন আঙ্গিকে অ্যালবামের পরিকল্পনা থেকেই এই কনসার্ট। এদিন অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচনের পাশাপাশি কনসার্টে গান পরিবেশন করে ১০টি ব্যান্ড। শিরোনামহীনের পরফরম্যান্স দিয়ে শুরু হয়, শেষ হয় সোলসের পরিবেশনা দিয়ে।
নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৃষ্টি উপেক্ষা করে, এই আবহাওয়াতে এই উপস্থিতি প্রমাণ করে আমরা নজরুলকে কতটা ভালোবাসি। তরুণদের এই উপস্থিতি আমাদের আশা জুগিয়েছে। নজরুলকে আমরা আমাদের জাতির মননের ভেতর একেবারে গ্রন্থিত করে দিতে চাই। এই তারুণ্যের ভেতর নজরুলকে আরও ভালোভাবে প্রবেশ করিয়ে দিতে চাই। যার ফলে আমরা নতুন ভাষার আশ্রয় নিয়েছি, তা হলো রক।’
প্রতিটি গানের বিরতিতে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করেন রেজাউল হোসাইন টিটো। এদিন আরও পারফর্ম করে ওয়ারফেজ, দলছুট, আর্ক, ডিফরেন্ট টাচ, মিজান অ্যান্ড ব্রাদার্স, রেবেল, ব্ল্যাক ও এফ মাইনর ব্যান্ড।
আরও পড়ুনশিরোনামহীনের গান নিয়ে শুরু হলো নজরুল কনসার্ট১৭ ঘণ্টা আগেকবি নজরুল ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, অ্যালবামটির প্রতিটি গান ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইট, ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোয় প্রকাশ করা হবে।
কনসার্টের গাইছে শিরোনামহীন। আয়োজকদের সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন