বিএনপিকে মাইনাস করে আরেকটি দল প্রতিষ্ঠা করার ষড়যন্ত্র চলছে : ফারুক
Published: 1st, June 2025 GMT
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মসনদ টা মনে হয় এখন কেউ কেউ আর ছাড়তে চায় না। নয় মাস অতিবাহিত হলো এখনো কেন নির্বাচনের তারিখ ও রোডম্যাপ দেওয়া হচ্ছে না। তাই জনগণের মাঝে সকলের কাছে প্রশ্ন আপনাকে চিরস্থায়ী ক্ষমতায় বসানো হয় নাই।
তিন মাসে যদি শাহাবুদ্দিন নির্বাচন করতে পারে আপনি কেন সাড়ে নয় মাসে নির্বাচন দিতে পারছেন না। মানুষ সন্দেহ করছে এবং বলা শুরু করেছে, কি যেন একটা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, দেশে আরেকটি দলকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটা হীন ষড়যন্ত্র চলছে।
আমাদেরকে বারবার ডেকে নির্বাচনকে প্রলম্বিত করার আর কোন সুযোগ নাই। আপনাকে ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে জন প্রতিনিধির হাতে সংসদের হাতে ক্ষমতা দেয়ার অনুরোধ করছি।
রবিবার (১ জুন) সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মিতালী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় জয়নুল আবেদীন ফারুক আরও বলেন, গণতন্ত্রকে শেখ মুজিবের মতো গলা টিপে হত্যা করেছে শেখ হাসিনা। ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় হলো। ঠিক এই মুহূর্তে আবার বাংলাদেশে আরেকটি ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার হচ্ছে।
সেই ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আমরা যেন এই বিএনপির পরিবার তারেক রহমানের নেতৃত্বে সুস্থ সংগঠন তৈরি করতে পারি। তাই আমি বলতে চাই যে, ষড়যন্ত্র চলছে বাংলাদেশে বিএনপিকে মাইনাস করার, আওয়ামী লীগকে যেভাবে নিষিদ্ধ করে মাইনাস করেছে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বিএনপিকে মাইনাস করার।
এই ষড়যন্ত্র রুখতে হলে, কে বড় নেতা, কে উঁচু দেয়ালে থাকে সেগুলো চিন্তা করলে চলবে না। একটাই চলবে যে আমি বিএনপি করি।
তিনি বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে একটাই বুঝি আমার আমার নেতা শহীদ জিয়া, আমার নেত্রী খালেদা জিয়া, আমার নেতা তারেক রহমান। এ তিনজন ব্যক্তি অপরিহার্য, আমার অপরিহার্য হওয়ার দরকার নাই।
শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শামীম ওসমান আমার নেত্রীকে সাইনবোর্ডে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে রেখেছে। বলেছিল খেলা হবে। আমি এখন বলছি আসুন খেলি, খেলার মাঠ খালি। আমরা ১১ জন প্রস্তুত তুমি তো নাই।
আসো, তখন খেলা শুরু করেছো পুলিশের উপর নির্ভর করে, অস্ত্রের উপর নির্ভর করে। এখন কিন্তু খেলার সময়। রেফারি মাঠে, খেলা সঠিক হবে, নিরপেক্ষ হবে। আমাদের মিতালী মার্কেটের ১১ জন দিয়ে আমরা খেলব। নারায়ণগঞ্জ শহরে যেতে হবে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ বিএনপি নেতা হাসিনার অত্যাচারে হাঁটু পানিতে থেকে কবরস্থানে ঘুমিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বিএনপির নেতাকর্মীরা রংপুরে এবং রংপুরের নেতাকর্মীরা নারায়ণগঞ্জে এসে রিকশা চালিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেছিল আমি যদি ক্ষমতা ছেড়ে দেই তাহলে আওয়ামী লীগের একটা নেতাকর্মীও তোমরা বিএনপির হাত থেকে বাঁচবে না। বিএনপির একটা নেতাকর্মী সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীর গায়ে হাত দেয় নাই। আমার নেত্রী খালেদা জিয়া এবং আমার নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি।
নবগঠিত একটি দলকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবেদী ফারুক বলেন, নতুন করে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলি, প্রিয় বন্ধুগণ নতুন দল করেছেন স্বাগত জানাই। আপনাদের আন্দোলনে অংশগ্রহণের মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে আপনারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের আন্দোলন করে হাসিনাকে বিদায় করেছেন। এ কারণে সকলের গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে আপনারা মসনদে বসিয়েছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ষড়যন ত র আম র ন ত ন ত কর ম ব এনপ র রহম ন ক ষমত আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে সাহেদের উদ্যোগে দোয়া, খাবার বিতরণ
মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি (বীর উত্তম) শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আলোচনা সভা, মিলাদ দোয়া ও খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বাদ জোহর শহরের খানপুর চিলড্রেন পার্কে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময়ে বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সু- স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়। পরে অসহায় মানুষের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও মাদ্রাসার এতিমখানার ছাত্রদের নিজ হাতে খাবার বেড়ে দেয় মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ এবং তাদেরকে নিয়ে মধ্যাহ্নভোজ করেন অতিথিসহ মহানগর যুবদলের নেতৃবৃন্দ।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজলের সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ- সাধারণ সম্পাদক ( ঢাকা বিভাগ) মো. মোশাররফ হোসেন, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু।
এসময়ে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বরকত উল্লাহ, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম,ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, মোঃ আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, এরশাদ আলী, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড. শাহিন খান, কাজী নাইসুল ইসলাম সাদ্দাম, আলী হোসেন সৌরভ, বাদশা মিয়া, মাসুদ রানা, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, রিয়াজুল আলম ইমন, জুনায়েদ মোল্লা জনি, হাবিবুর রহমান মাসুদ, আঃ কাদির, আশরাফুল হক তান্না, জাহিদুল হাসান শুভ, মাহফুজুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ ।
এছাড়াও মহানগর যুবদলের আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর থানা ও উপজেলা বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।